The Trueman show - সিনেমার পুরো গল্পটা বাংলাতে পড়ুন খুব সহজেই || বাংলায় হলিউড সিনেমার গল্প।। Bangla Story 


Bangla short stories
Bangla short stories 





-ভাবুন! আপনি যেখানে থাকেন সেখানকার সবাই আপনার সাথে মিথ্যে অভিনয় করছে! আপনি এমন একটি জায়গায় থাকেন - যেখানে সব কিছুই সাজানো!, এমনকি আপনার পরিবারও আপনার সাথে মিথ্যে অভিনয় করছে! তাহলে আপনার কেমন লাগবে?
- যদি সত্যি আপনার সাথে এরকম কিছু হয়ে থাকে, তাহলে এই গল্পের মাধ্যমে তা জানতে পারবেন, যে যদি কারোর সাথে এমন হয়, তাহলে তার কেমন লাগে। 
- এই গল্পটা "True Man Show " নামক সিনেমার। এই সিনেমায় এমন একজন ব্যক্তিকে নিয়ে পুরো গল্পটা তৈরি, যাকে বাইরের দুনিয়ায় প্রায় সবাই চেনে। বাইরের দুনিয়ার মানুষের কাছে সে একজন বড়ো সুপারস্টার । কিন্তু সে নিজে যেখানে থাকে, সেখানে সে নিজেই জানেনা যে সে একজন সুপারস্টার। 
- এই গল্পটা যাকে নিয়ে তার নাম থাকে "Trueman ".
- আর এই সিনেমায়  Trueman কে নিয়েই পুরো কাহিনি তৈরি হয়েছে। 

- এই কাহিনিতে ট্রুম্যান একজন খুবই সাধারণ মানুষ।
- সে একজন  L.I.C এজেন্ট হিসাবে কাজ করে। বাকি সবার মতই ট্রুম্যানের জীবনকেও সাধারণ ভাবে দেখানো হয়। 
- ট্রুম্যান একজন হাসিখুশি মানুষ!, তার বিয়েও হয়েগেছে - তার স্ত্রীর নাম মেরাল। 

- যখন ট্রুম্যানের জীবন হাসিখুশি  চলতে থাকে, তখন একদিন তার সিনিয়র তাকে একটি অন্য আইল্যান্ডে যেতে বলে। সেখানে একজন ব্যক্তির Insurance করতে হত। আর ট্রুম্যানকে সেখানে জাহাজে করে যেতে হত। 
- কিন্তু ট্রুম্যান সেখানে যেতে না করে দেয়। কিন্তু তার সিনিয়র তাকে বলে - " ট্রুম্যান! তোমাকে সেখানে যেতেই হবে!" 

- আর ট্রুম্যান তার অনিচ্ছা সত্বেও বন্দরে পৌঁছে যায়। কিন্তু যেখানে তাকে যেতে বলা হয়েছিল, সেখানে না গিয়ে ট্রুম্যান তার বাড়িতে চলে আসে।

- আসলে এখানে একটি গল্প আছে! -যা ট্রুম্যানের জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে। সেই গল্পটা হল ট্রুম্যানের ছোটবেলার। 
- যখন ট্রুম্যান ছোট ছিল, তখন সে তার বাবার সাথে সমুদ্রে গিয়েছিল। আর হটাৎ করেই সমুদ্রে ঝড় ওঠে! আর সেই ঝড়ের জন্য ট্রুম্যানের বাবা জাহাজ থেকে পরে গিয়ে ডুবে যায়। ট্রুম্যান তার বাবাকে আর দেখতে পায় না! 
-  আর তারপর থেকেই ট্রুম্যানের মনে সমুদ্র ও জাহাজ নিয়ে এক ভয়ের সৃষ্টি হয়েছিল। যার জন্য এখনো সে সমুদ্র থেকে দুরে থাকতে চায়। 

-  ট্রুম্যান যখন একদিন তার কাজে যেতে থাকে, তখন সে তার বাবাকে দেখতে পায়!, যিনি অনেক বছর আগেই সমুদ্রে হারিয়ে গিয়েছিলেন। 
-  কিন্তু ট্রুম্যান তার বাবাকে কিছু বলার আগেই সেখানে কিছু লোকজন চলে আসে। আর সেই লোকগুলো তার বাবাকে একটি গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায়। 
-  ট্রুম্যান সেই গাড়িটিকে ধরারও চেষ্টা করে, কিন্তু সে তা ধরতে পারেনা। 

-  ট্রুম্যান এত বছর পর তার বাবাকে দেখতে পেয়ে ইমোশনাল হয়ে পরে। সে তার মাকেও এই কথা বলে। কিন্তু তার মা এটাকে তার মনের ভুল বলে বুঝিয়ে দেয়। কিন্তু ট্রুম্যানের বিশ্বাস যে সে তার বাবাকেই দেখেছিল। 
-  ট্রুম্যান বাড়িতে এসে তার বাবার পুরোনো কিছু ছবি দেখতে শুরু করে। যেখানে তার বাবার সাথে ছোটবেলার কিছু মুহুর্ত ধরা আছে। 

-  ট্রুম্যান তার বাবার ছবি বের করার সাথে সাথে একটি লাল রংয়ের জ্যাকেটও বের করে। এই জ্যাকেট টা দেখে ট্রুম্যানের কিছু মনে পরে। 
-  ট্রুম্যান তার পুরোনো দিনের কথা মনে করতে শুরু করে, যখন সে কলেজে ছিল। 
-  কলেজে ট্রুম্যানের সাথে একটি মেয়ের আলাপ হয়েছিল, যার নাম ছিল লরেন। 
-  লরেন ও ট্রুম্যান দুজন -দুজনকে ভালোবাসতো। 
-  যখন লরেন ট্রুম্যানকে নিয়ে একটি বিচে যায়। তখন সেখানে একটি গাড়ি এসে হাজির হয়। লরেন সেই গাড়িটা দেখে ট্রুম্যানকে কিছু বলতে শুরু করে। 
-  লরেন ট্রুম্যানকে বলে যে  তার নাম লরেন নয়! তার আসল নাম সিলভি। আর এখানে যা কিছু হচ্ছে তা সব মিথ্যে। তুমি যা করছো সেই সব কিছুই বাইরের দুনিয়া দেখছে। এই সবকিছুই মিথ্যে! তুমি যেভাবেই পারো এখান থেকে বেরিয়ে যাও। 
-  ট্রুম্যান লরেনের কথা কিছুই বুঝতে পারেনা। ট্রম্যাম তার কথায় অবাক হয়ে যায়। কারণ সে যা বলছে তা একদম ই বিশ্বাসের যোগ্য নয়। 

- এরপর সেই গাড়ি থেকে একজন লোক নেমে আসে। আর সে লরেনকে তার সাথে নিয়ে যায়। ট্রুম্যান তাকে কিছুই বলতে পারেনা। কারণ সেই লোকটি নিজেকে লরেনের বাবা বলে পরিচয় দেয়। আর সে এও বলে যে, লরেনের মাথায় প্রবলেম আছে। তাই সে সবাইকে নিয়ে  এখানে চলে আসে।
-  আর এরপর সেই লোকটি লরেনকে নিয়ে চলে যায়।
-  ট্রুম্যানের যদিও এখন বিয়ে হয়ে গেছে, - কিন্তু সে এখনো  লরেন (সিলভি) কে  ভালোবাসে। তার মনে এখনো সিলভির জন্য ভালোবাসা রয়েগেছে।

-  ট্রুম্যান যেখানে থাকে সে কোনোদিন ই এর বাইরে যায়নি। সে যেখানে থাকে সেই জায়গার নাম সি হেভেন। ট্রুম্যান ছোটবেলাই থেকেই বাইরের দুনিয়ায় যেতে চাইতো। কিন্তু সে কখনোই বাইরের দুনিয়ায় যেতে পারেনি। 
-  কারণ যখনই সে এখান থেকে বাইরে যেতে চায়, তখনই তার সাথে কিছু না কিছু ঘটেই যায়! - আর প্রতিবারের তার যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। 
-  ট্রম্যান মাঝে মাঝে যাই করেনা কেন, সেটাই রেডিওতে শোনানো হয়। 
-  ট্রুম্যান এর জন্য ভাবতে শুরু করে যে কেউ তাকে ফলো করছে।
-  আর যখন সেই এই কথা তার বন্ধুকে জানায়, তখন সে এটাও বলে যে এই কথা শুধুমাত্র আমার আর তোমার মধ্যে থাকবে। 
-  আর এখানে ট্রুম্যান  এও বলে যে সে তার বাবাকে দেখেছিল। কিন্তু এখন সে তার বাবাকে খুজে পাচ্ছেনা। 

-  কিছুদিন পর ট্রুম্যানের বন্ধু তার বাড়িতে আসে। 
-  আর সে তাকে বলে যে - সে ট্রুম্যানের বাবাকে খুজে পেয়েছে। 
-  যখন ট্রুম্যানের তার বাবাকে দেখে, তখন সে অত্যন্ত খুশি হয়ে যায়। সে এত বছর পর তার বাবাকে খুজে পায়।। 


- আর এরপর সেই সিন দেখানো হয়, - যেখানে এই সব ঘটনা ক্যামেরা বন্দি হচ্ছে। আর এই সবকিছুই বাইরের দুনিয়ার মানুষ লাইভ টিভিতে দেখছে।
-  আসলে ট্রম্যান যেখানে থাকে সেখানে ট্রুম্যান ছাড়া বাকি সবাই অভিনয় করছে। 
-  এমনকি তার তার বাবা মা ও যার সাথে তার বিয়ে হয়েছে সেও ট্রুম্যানের সাথে  অভিনয় করছে। 
-  আর এই সব কিছুই বাইরের দুনিয়ার মানুষ লাইভ দেখছে।

-  এটা এমন একটি সো যেটা ট্রুম্যানের সব মুহুর্ত নিয়ে তৈরি। তার ছোটবেলা থেকেই সবকিছুই সাজানো নাটক। এমনকি সেই ঘটনাটাও! - যেখানে তার বাবা সমুদ্রে হারিয়ে গিয়েছিল। 
-  ট্রুম্যান নিজেই জানেনা যে সে একজন কতো বড়ো সুপারস্টার ।
-  এখানে ট্রুম্যান ছাড়া বাকি সবাই ট্রুম্যানের বিষয়ে জানে। আর তারা সবাই ট্রুম্যানের সাথে শুধুমাত্র অভিনয় করে যাচ্ছে।
-  ট্রুম্যান যেই মেয়েটাকে ভালোবেসেছিল, অর্থাৎ যার আসল নাম " সিলভি "  - তাকেও ট্রুম্যানের সাথে অভিনয় করতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সিলভি ট্রুম্যানকর সত্যি সত্যি ভালোবেসে ফেলে। আর সে চাইতো না যে ট্রুম্যান তার আসল সত্যিটা থেকে অজ্ঞাত থাক। তাই সিলভি তাকে সত্যি কথা বলতে শুরু করেছিল। যার জন্য এই সো এর ডিরেক্টর তাকে এই সো থেকে বের করে দেয়। 
-  ডিরেক্টর কখনোই চাইতো না যে তার এই সো বন্ধ হোক। ট্রুম্যানের এর সো 24/7 লাইভ চলতো। এখানে ট্রুম্যানের ছোটবেলা থেকে আজ পযর্ন্ত যা যা ঘটেছে, সেই সবকিছুই লাইভ দেখানো হয়েছে।
-  আর বাইরের দুনিয়ায় এই সো খুব জনপ্রিয়। কারণ এতে ট্রুম্যানের চরিএ সবার কাছেই প্রিয়।
-  আর এই সো এর মাধ্যমে বড়ো বড়ো কোম্পানির লাভ হচ্ছিল।  তাই ডিরেক্টর কখনোই এই সোকে বন্ধ করতে চায়না।। 

-  কিন্তু ট্রুম্যান যখন এসব জানতে পারে, তখন সে এখান থেকে বেরোতে চায় । আর সে বহু কষ্টের  পর এখান থেকে বেরোতে পারে। 
-  যদিও এই সো  এর ডিরেক্টর এটা চাইতো না যে ট্রুম্যান কোনোদিন এই জায়গা থেকে বেরিয়ে যাক।
-  কিন্তু যখন ট্রুম্যান ফিরে আসতে চায়না, তখন সেই ডিরেক্টরও তাকে ছেড়ে দেয়। 
-  আর প্রথমবার ট্রুম্যান তার আসল জীবনে ফিরে আসে। আর তাকে বাইরের দুনিয়ায় আসতে দেখে সিলভিও তার জন্য বেরিয়ে পরে। কারণ এরা দুজন দুজনকে ভালোবাসে। আর এরা এখন নিজেদের আসল জীবনে ফিরতে চায়।।
-  আর এর সাথেই এই কাহিনির সমাপ্তি ঘটে। 


Post a Comment

أحدث أقدم