In The Heart Of The Sea - সিনেমার সম্পূর্ণ গল্পটি বাংলায় পড়ুন || হলিউড সিনেমার গল্প বাংলায় পড়ুন ||
Bangla motivational story
-এই কাহিনী এমন একটি সামুদ্রিক যাএার ঘটনা, যেখানে সবাইকে- তাদের জীবনের প্রত্যেকটা মুহুর্তের সাথে লড়তে হয়েছিল। তারা এক - একটা মুহুর্তের সঙ্গে লড়াই করে জীবিত ছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকেই জীবনের সেই লড়াইতে হেরে গিয়েছিল.. আর যারা সেই লড়াইতে বেঁচে ফিরেছিল, - তারা এটা দেখেছিল, যে প্রকৃতি কতটা শক্তিশালী! - ও নিষ্ঠুর হতে পারে। - আসলে 1820 খ্রিষ্টাব্দের একটি সামুদ্রিক যাএার ঘটনা। এটি এমন সামুদ্রিক যাএা ছিল, - যেখানে অনেকের প্রান গিয়েছিল। তার চাইতেও বড়ো কথা - যারা এই যাএায় বেঁচে ফিরতে পেরেছিল, - তারা কোনো যুদ্ধের থেকে কম কষ্ট করেনি। তারা সেই প্রত্যেকটা মুহুর্তে হয়তো তাদের মৃত্যুকে দেখতে পেয়েছিল। কেউ কেউ এই লড়াইতে হেরে গিয়েছিল... আর যারা এই লড়াইতে থেকে বেঁচে ফিরতে পেরেছিল, তাদের মধ্যে "" থমাস "" হল একজন।। - থমাস হল সেই ব্যক্তি যিনি - " হারমান " নামের একজন লেখককে এই পুরো গল্পটা বলেন। এবং এখান থেকেই সেই পুরো গল্পটা জানতে পারা যায়। - ঘটনা শুরু হয় 1820 খ্রিষ্টাব্দে - একটি বন্দর থেকে। - এখানে বড়ো একটি কোম্পানির তরফ থেকে ওভেন চেস নামের একজন ব্যবসায়ীকে ডেকে পাঠান। সেই কোম্পানিকে ওয়েনকে তাদের একটি জাহাজ " SX" এ করে সমুদে তিমি ( Whale ) মাছের তেল আনার জন্য অফার করে। কিন্তু এখানে ওয়েন কে জাহাজের ক্যাপটেন হিসেবে পাঠানোর বদলে ফাস্ট মেড হিসেবে যাও। - প্রথমে ওয়েন না করলেও পরে একটি কনট্রাক্ট এর মাধ্যমে সমুদে যেতে রাজি হয়। - এখানে তাদের ক্যাপটেন হয় " জর্জ" নামের একজন। আসলে জর্জ সেই কোম্পানির মালিকদের মধ্যে, একজন মালিকের ছেলে। তাই তাকেই জাহাজের ক্যাপটেন বানানো হয়। কিন্তু আসল কথা এটাই যে জর্জ এর থেকে ওয়েন এর এই বিষয়ে অভিজ্ঞতা অ দক্ষতা দুই ই বেশি। তবুও তাকে ক্যাপটেনশিপ দেওয়া হয়না। - এরপর কোম্পানির জাহাজ অনেক লোকজন নিয়ে তাদের উদ্দেশ্য বেরিয়ে পরে। জাহাজের কর্মচারিদের মধ্যে একজন সবচাইতে কম বয়সের ছেলেও থাকে। যার বয়স মাএ 14! আর এই ছেলেটির নাম হল থমাস। যে বতর্মান সময়ে হারমান কে এই গল্পটা শোনাচ্ছে। - এরা খুব তাড়াতাড়ি বন্দর থেকে অনেক দুর চলে যায়। আসলে এদের কাজ হল সমুদের এমন একটি জায়গায় যাওয়া, যেখানে অনেক তিমি পাওয়া যাবে। কারণ তিমি থেকেই সেই তেল পাওয়া যাবে, যা কোম্পানির দরকার।
- এরা জাহাজ নিয়ে দিনের পর দিন ভেসে চলে। কিন্তু এরা কোনো তিমির সন্ধান পায়না। - মাঝে এদের জাহাজ ঝড়ের কবলে পরে, যার জন্য - জর্জ ও ওভেনের জাহাজ অনেকটাই ক্ষতি হয়ে যায়। এই নিয়ে জর্জ ও ওভেনের মধ্যে বচসার সৃষ্টি হয়। কারণ তাদের জাহাজের ক্ষতির জন্য জর্জ ই দায়ী। কিন্তু এভেন জর্জের সাথে ঝগড়া করে তাদের কাজ টাকে নষ্ট করতে চায়না। তাই জর্জের ফালতু কথাও সহ্য করতে হয়।
- দীর্ঘদিন সমুদ্রে তিমি খোজার পর, একদিন এরা একটি তিমির দল দেখতে পায়। আর এখান থেকে ওভেন একটি তিমি শিকার করে। এরপর সেই তিমি থেকে সামান্য কিছু তেল জোগাড় হয়। কিন্তু জর্জ ও ওভেনের প্রায় 2000 ব্যারেল তেল নিতে হবে। যার জন্য এদেরকে আরও তিমি শিকার করতে হবে। - আর সেই তিমি শিকারের আশায় এরা আরও এগিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু সমুদ্রে দিনের পর দিন তিমি খোজার পরও কোনো তিমির দেখা পাওয়া যায় না ।। - আর এদিকে জাহাজের মধ্যে তাদের খাবার ও দরকারি জিনিসপত্র শেষ হয়ে যাচ্ছিল। - কিন্তু সমুদ্রে থেকে কোথায় কোনো দ্বীপ বা বন্দরের দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না।
- সমুদ্রে দীর্ঘদিন এভাবে ভাসতে থাকার পর একটি আশার আলো দেখতে পাওয়া যায়। তারা একটি দ্বীপ দেখতে পায়, - যেখানে আদিবাসীরা বাস করে। এখানে গেলে ওভেন ও জর্জ তাদের সাথীরা টিকে, থাকার জন্য অনেক সরঞ্জাম আনতে পারবে। আর এটা ভেবেই ওভেন ও জর্জ তাদের জাহাজে করে সেই দ্বীপের দিকে পাড়ি যেতে থাকে। - এখানে নামার পর ওভেন ও জর্জকে সেই তেল টুকু বিক্রি করতে হয়, যেটা তারা সেই ছোট তিমির থেকে পেয়েছিল। তারা সেই তেলের বদলে প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র কিনে নেয়। - এখানে ওভেন ও জর্জ এর সাথে ক্যাপটেন এর আলাপ হয়। যার একটি হাত নেই! সম্ভবত কোনো দুঘটনায় কাটা পরেছিল । পরে সেই ক্যাপটেন জর্জ ও ওভেনকে তার পুরোনো গল্প শোনায়, যে কিভাবে তার হাত কেটেছিল। সেই ক্যাপটেন তাদের, সমুদের এমন একটি জায়গার কথা বলে, যেখানে প্রচুর তিমির দেখা পাওয়া যায়। আর সেখান থেকে একদিনেই প্রায় 3000 ব্যারেল তেল পাওয়া যায়। কিন্তু সেখানে এক বিশাল আকৃতির তিমি আছে, যা প্রায় 100 ফুট লম্বা। সে একবারেই ক্যাপটেনের জাহাজ ভেঙ্গে ফেলেছিল! আর তার আঘাতেই আমার একটি হাত চলে যায়। সেই তিমি একটা দৈত্য।। - এটা বলে সেই ক্যাপটেন সেখান থেকে চলে যায়। - কিন্তু ওভেন ও জর্জ ঠিক করে যে তারা সেই জায়গায় যাবে, যেখানে সেই তিমির দল দেখতে পাওয়া যায়,- অর্থাৎ ওয়েস্টের দিকে। - আর এরপর ওভেন ও জর্জ তাদের জাহাজ নিয়ে ওয়েস্টের দিকে বেরিয়ে পরে। প্রায় 2000 মাইল পেরিয়ে তারা সেই তিমির দল দেখতে পায়। এটা দেখে সবাই খুশি হয়ে যায়। তারা বড়ো জাহাজ থেকে ছোট ছোট বোটে করে সমুদে নেমে পরে। কিন্তু তখনই সেখানে সেই হোয়াইট তিমি চলে আসে, যার কথা সেই ক্যাপটেন বলেছিল। সেই হোয়াইট তিমি তাদের জাহাজের আক্রমণ করে! যার ফলে জাহাজের জল ঢুকতে শুরু করে। কিন্তু ওভেন সেই তিমি কে মারার জন্য, তাকে লক্ষ্য করে বল্লম ছোরে। বল্লমটি একটি দড়ির সাথে, তাদের জাহাজের সাথে বাধা ছিল। যখন সেই তিমি জলের গভীরে যেতে থাকে, তখন সেই দড়িতে টান পরার জন্য জাহাজের সেই অংশটি ভেঙ্গে পরে। - আর আস্তে আস্তে ওভেন ও জর্জের বড়ো জাহাজটি পুরোপুরি ভেঙে পরে। - তারা সবাই ছোট ছোট বোটে করে ভাসতে শুরু করে। - এখন তাদের কাছে না আছে খাবার! আর না আছে জল। ওভেন, জর্জ, থমাসের সাথে সাথে বাকি সবার সামনে এমন এক যাএা রয়েছে, যার শেষ কোথায় তা কারোর জানা নেই। সমুদ্র হল এমন এক জায়গা, যার শুরু ও শেষের খবর একমাত্র ভগবান ই রাখেন। - কয়েকদিন ভাসতে থাকার পর একটি দ্বীপ দেখা যায়। এই দ্বীপ দেখার পর সবার মনে একটি আশা জাগে, যে হয়তো সেখান থেকে কেউ তাদের উদ্ধার করবে। কিন্তু যখন এরা সেই দ্বীপের দিকে যেতে থাকে, তখন সেই তিমি আবার তাদের ওপর আক্রমণ করে। কিন্তু তারা কোনো রকমে সেই দ্বীপে পৌছায়। এখানে তাদের মনেহয় যে কেউ তাদের উদ্ধার করবে। কিন্তু ওভেন যখন একটি গুহার ভেতরে যায়, তখন সেখানে কয়েকজন মানুষের কঙ্কাল দেখতে পাওয়া যায়। আর ওভেন এটা বুঝে যায়, যে এখানে থেকে কেউ তাদের বাঁচাতে আসবে না। - আর এরপর এরা সবাই এখানে থেকে, তাদের ভাঙ্গা বোটে করে, আবার সমুদে বেরিয়ে পরে। - আর এরা আবার সেই একই অবস্থায় ফিরে যায়, যেখানে তাদের সামনে সমুদ্র ছাড়া আর কিছুই নেই। - দিনের পর দিন এরা এভাবেই ভাসতে থাকে। কিন্তু কোথায় কারোর দেখা পাওয়া যায়না। - এদের কাছে খাবার জল ও খাবার, কোনোটাই নেই। এই নির্মম সমুদ্রের জলে টিকে থাকাটা সবার পক্ষে মোটেই সম্ভব না। সমুদ্রের লবনাক্ত জল, তার সাথে সামুদ্রিক ঝড়, খাবারের অভাবে অনেকেই তাদের জীবন হারায়। - যেহুতু ওভেন, জর্জ,থমাস ও বাকিদের কাছে কোনো খাবার নেই! তাই তাদের সাথীদের মৃত্যুদেহ কেই খাবার হিসেবে খেতে হয়। এটা এমন একটি ঘটনা ছিল, যা কতটা কষ্টের ছিল, তা একমাত্র তারাই বলতে পারবে, যারা এখান থেকে বেঁচে ফিরতে পেরেছিল। - যখন এদের অবস্থা পুরোপুরি খারাপ হয়ে পরে, তখন একটি জাহাজ জর্জ ও তার বোটকে দেখতে পায়। আর সেই জাহাজের জন্যেই জর্জে ও তার সাথীদের জীবন বেঁচে যায়। - অন্যদিকে ওভেন, থমাস ও তার সাথীরা একটি আইল্যান্ড দেখতে পায়। আর সেখান থেকে তাদেরকেও উদ্ধার করে নেওয়া হয়। - এরপর 11th June, 1821 খ্রিষ্টাব্দে ওভেন ও জর্জ ও তাদের সাথীরা সেই বন্দরে ফিরে আসে। - এখানে অনেকেই তাদের প্রান হারিয়েছিল। যার ক্ষতিপূরণ হয়তো কোম্পানিকে দিতে হয়েছিল। - ওভেন এরপর আবার সেই দ্বীপে গিয়েছিল, যেখানে তাদের কয়েকজন সাথী কারোর অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে শুধুমাত্র তিনজনকেই বাচানো সম্ভব হয়েছিল। - থমাস এই কাহিনি হারমানকে শোনায়। আর এরপর হারমান এই কাহিনীকে ঘিরে একটি বই প্রকাশ করে। যার নাম হয় " Moby Dick "। - আর এই বইটি আমেরিকায় খুব খ্যাতি লাভ করেছিল। - এই কাহিনি থেকে আপনি কি শিখতে পারলেন, সেটা আপনি কমেন্টের মাধ্যম আমাকে জানাতে পারেন।
إرسال تعليق