Rabbit Proof Fence -সিনেমার সম্পূর্ণ গল্পটি বাংলায় পড়ুন || হলিউড সিনেমার গল্প বাংলায় পড়ুন ||Bangla motivational story



Rabit Proof Fence 




Bangla motivational story
Bangla motivational story 


-সাহস! এটা এমন একটা জিনিস যেটা সবার মধ্যে থাকেনা! আর যার মধ্যে এই সাহস জিনিস টা থাকে-
- সে যেকোনো কাজ করতে পারে। তার মধ্যে থাকা সেই সাহস ই তাকে তার লক্ষ্যের পথে চলতে শক্তি জোগায়।।। আর আজকে আপনি এমন একটি গল্প পড়তে যাচ্ছেন, -যা পড়ার পর আপনার মধ্যেও হয়তো কিছু করার সাহস জেগে উঠবে।
- এই গল্পের মধ্যে এমন তিনজন বাচ্চা মেয়ের সাহস! ও সংঘর্শের কথা বলা হয়েছে!,যা এর আগে কেউ করেনি! আর হয়তো কেউ কোনোদিন করতেও পারবেনা!
- গল্পের মধ্যে দুজন মেয়ে এমন ছিল, যারা মাঝ পথে জল ছাড়া, খাবার ছাড়া, ও পায়ের জুতো ছাড়াই মরুভুমির মধ্যে 2400 কিলোমিটার পথ হেঁটেছিল।
- এই মেয়েদের মধ্যে একটি মেয়ে শুধুমাত্র  8 বছরের ছিল। আর একটি মেয়ে 14  বছরের ।
- তারা এইটুকু বয়সে এমন একটি অসাধ্য কাজ করেছিল! যা সবার পক্ষে কোনোকালেই সম্ভব নয়।
- এই গল্পটা Western England এর Ghigalong নামক একটি গ্রামের। এই গ্রামের লোকসংখ্যা খুবই কম। যারা এখানে থাকে, তারা কোনো রকমে তাদের জীবন কাটায়। এখানে আধুনিকতার কোনো বিশেষ স্পর্শ নেই। কিন্তু এই আধুনিকতার স্পর্শ ছাড়াও এখানকার লোকেরা তাদের স্বাভাবিক জীবন নিয়ে দিব্যি সুখেই আছে।
- কিন্তু সুখ বললেও সেই সুখ তাদের নিয়মে চলে না.. এখানে যত আদিবাসী লোক বসবাস করে, তাদের সবার ওপর ব্রিটিশদের শাষন চলে। এখানে এই সব আদিবাসীদের সাদা চামড়ার ব্রিটিশদের কথা মেনে চলতে হয়।
- এখানে এ.ও. নেভিল- নামের এক ব্যক্তিকে এখানকার গার্ডয়ান বানানো হয়!, যা ব্রিটিশ সরকারের হয়ে কাজ করে।
- এখানে এ.ও. নেভিলের এই ক্ষমতা থাকে যে, সে এখানকার যেকোনো আদিবাসীর জীবনের ওপর তার নিয়ম চালাতে পারবে।
- আর নেভিল যেকোনো আদিবাসী পরিবার থেকে - যেকোনো  হাফকাস্ট চাইল্ডকে নিয়ে যেতে পারবে।
- এই কথাটা অমানবিক শুনতে লাগলেও এটাই সত্যি। একটা বাচ্চাকে যখন তার পরিবারের  থেকে দুরে সরিয়ে নেওয়া হয়.. তখন সেই বাচ্চার মনে ও তার পরিবারের মনের কষ্টটা একমাএ তারাই বোঝে!!

-  হাফকাস্ট চাইল্ড তাদের বলা হয়, যাদের বাবা হোয়াইট চামড়ার! এবং তার মা ব্ল্যাক চামড়ার আদিবাসী।
-  এখানে একজন মেয়ে যার নাম মলি -, সেও একজন হাফ কাস্ট চাইল্ড। তার মা একজন ব্ল্যাক ও তার বাবা একজন হোয়াইট ম্যান।
-  এখানে শুধুমাত্র মলি হাফকাস্ট নয়! তার ছোটো বোন ডেজি,  যার বয়স মাএ 8 বছর সেও একজন হাফকাস্ট! এবং তার কাজিন বোন গ্রেজিও একজন হাফকাস্ট চাইল্ড।
-  এই তিনজন তাদের মা ও গ্র্যান্ডমার সাথে থাকে। 
-  কারন তার বাবা ফিন্স বা তাদের বেরা (Net) তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকে।
-  আসলে এই সময় ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ায় হাজারো মাইল লম্বা তারের বেরা ( Net) তৈরী করা হয়।
- যাতে ইস্ট অস্ট্রিয়ার খরগোশ ও অন্য জীবজন্তু, ওয়েস্ট অস্ট্রিয়ায় ঢুকে সেখানকার ফসল নষ্ট করতে না পারে।
- এখানে কিছুদিন পর কয়েকজন পুলিশ আসে, তার তারা মলি ও তার বোনেদের দেখতে পায়। তারা লক্ষ্যে করে যে মলি ও তার দুই বোন হাফকাস্ট চাইল্ড।
- তাই এরপর সেই দুজন পুলিশ -এ.ও.নেভিলের কাছে মলিদের সম্পর্কে বলে।
- এবং এরপর নেভিল মলি ও তার বোনকে, তার পরিবারের কাছে থেকে তুলে নেওয়ার অর্ডার দেয়।
- নেভিলের অর্ডার অনুযায়ী সেই দুজন পুলিশ মলি ও তার বোনকে সেখান থেকে জোড় করে নিয়ে আসে। এখানে মলি ও তার বোন কখনোই তাদের পরিবারের থেকে দুরে যেতে চাইনি! আর তার পরিবারও তাদের দুরে সরাতে চাইনি! কিন্তু সরকারের আইনের সামনে, তাদের অনুভূতি বা কষ্টের কোনো দাম নেই...
- -  মলি ও তার দুই বোন কে সেখান থেকে ধরে আনা হয়। এখান থেকে তাদের একটি খাঁচায় ভরা হয়,যেন এরা কোনো পশু। কিন্তু এরা  যে ছোট বাচ্চা! সেটা তাদের কাছে কোনো বিষয় ই নয়।।

-  এখান থেকে এই তিনজনকে এমন একটি জায়গায় পাঠানো হয়,যেখানে এদের মত আরও অনেক হাফকাস্ট চাইল্ড রয়েছে।
-  আসলে এ.ও. নেভিলের মতে, যারা হাফকাস্ট চাইল্ড হয় -, তারা যদি কোনো হোয়াইট ম্যানকে বিয়ে করে, -তাহলে সেই হাফকাস্টের চাইল্ডের যে ব্লাড বা সেলস থাকবে - সেটা তিন প্রজন্ম পরে সাদা চামড়ার মানুষের মত হয়ে যাবে। আর এই কারণেই নেভিল হাফকাস্ট চাইল্ড দের এভাবে ধরে আনেন।  এবং এরপর তাদের একটি ক্যাম্পে পাঠান।, যেখানে তারা বিভিন্ন কাজ শিখতে পারবে, আর তারপর কোনো হোয়াইট ম্যানকে বিয়ে করে হোয়াইটদের কমিউনিটিতে যোগ দেবে।
-  মলি ও তার দুই বোনকে একটি খাচার মধ্যে করে, পার্থ নামক একটি জায়গায় আনা হয়। এখানে তাদের মত আরও অনেক হাফকাস্ট চাইল্ডেকে আনা হয়েছে। যাদের এখান থেকে কাজ শেখানোর পর, যখন তারা বড়ো হবে!- তখন তাদের কোনো হোয়াইট ছেলের , বা কোনো হোয়াইট মেয়ের সাথে বিয়ে দেওয়া হবে।  এখানে অনেকজন মিশনারী কাজ করেন,- যারা সেইসব হাফকাস্ট চাইল্ডদের বিভিন্ন কাজ শেখায়। ও তাদের দেখাশোনা করে।
- মলি ও তার দুই বোন - ডেজি ও গ্রেজিকে এখানে আনার পর তাদের মনের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। যদিও এখানে তাদের থাকা, খাওয়া  নিয়ে কোনো অসুবিধা হয় না! তবুও তাদের মনের অনেক দিন দিন খারাপের দিকে যেতে থাকে।
- তারা এখনো বাচ্চা!  তাই তারা তাদেএ নিজের বাড়িতেই সবচাইতে বড়ো সুখ খুজেঁ পায়। কিন্তু নেভিলের মত মানুষেরা হয়তো সেটা বুঝতে পারেনা।
- নেভিলের মত মানুষেরা মলিদের মত মানুষের ভালো করতে গিয়ে তাদের আরও বেশি কষ্ট দিয়ে ফেলে।।

- এখানে কয়েকদিন থাকার পর মলি  ও তার দুই বোনের আর ভালো লাগে না। এরা সবসময় তাদের মায়ের কথা ভাবতে থাকে। আর একজন মানুষ হিসেবে সেটাই স্বাভাবিক।
- মানুষ হয়তো সবকিছুর কথা ভুলে যেতে পারে! কিন্তু কেউ কখনোই তার মায়ের কথা ভুলতে পারবেনা।।।
- মলি এখানে আর থাকতে চায়না! সে এখান থেকে পালিয়ে গিয়ে , তার বাড়িতে ফেরার সিদ্ধান্ত নেয়।
- পরদিন যখন এখানকার সব বাচ্চারা ও মিশনারী মেয়েরা, চার্চে প্রার্থনা করতে যায় , তখন মলি তার দুই বোন,- ডেসি ও গ্রেজিকে নিয়ে এখান থেকে পালিয়ে বেরিয়ে যায়।
- এখান থেকে বেরোনোর পর, মলি তার দুই বোনের সাথে তার বাড়ির দিকে পালাতে  শুরু করে। কিন্তু এই কাজটা এতটাও সহজ না! মলি জানেই না, যে তাকে তার বাড়ি থেকে কত দুরে আনা হয়েছে! আর এখান থেকে তার বাড়িই বা কতদুরে..
- কিন্তু এসব না জানা সত্বেও মলি তার দুই বোনের হাত ধরে হাটতে শুরু করে।
- এদিকে দিনের বেলা সেই ক্যাম্পের কেউ এটা বুঝতে পারে না, যে মলি ও তার দুই বোন এখানে নেই! কিন্তু রাতে যখন তাদের অ্যাটেনডেন্স নেওয়া হয়, তখন সবাই বুঝতে পারে যে মলি তার বোনেদের সাথে পালিয়ে গেছে।
- যখন এই কথা নেভিল ও ক্যাম্পের বাকি মেম্বারদের জানানো হয়, - তখন মলি ও তার দুই বোনকে খুজে বের করার জন্য  ট্র্যাকার নামের এক ব্যক্তিকে কাজে লাগানো হয়।
- পরেরদিন  ট্র্যাকার মলি ও তার দুই বোনের পায়ের ছাপ দেখতে পায়। আর এই পায়ের ছাপ দেখেই,ট্যাকার তাদের পেছনে পেছনে খুজতে শুরু করে।
- কিন্তু, যেহেতু মলি তার বোনেদের সাথে একদিন আগে পালিয়েছিল! তাই তারা ট্র্যাকারের থেকে অনেকটা এগিয়ে আছে। কিন্তু ট্র্যাকার এই সমস্ত অঞ্চলকে খুব ভালো করে চেনে! তাই সে তার অভিজ্ঞতার সাহায্যে খুব তাড়াতাড়ি মলি ও তার বোনেদের কাছাকাছি চলে আসে।
- মলি তার বোনেদের সাথে  যখন একটি নদীর কাছে এসে পরে, তখন সেখানে ট্র্যাকারও  পৌঁছে যায় ! নদীর পারের নরম ও ভেজা মাটিতে মলির পায়ের ছাপ দেখতে পেয়ে, ট্র্যাকার এটা বুঝতে পারে যে মলি আর তার দুই বোন এর আশেপাশেই আছে।
- কিন্তু মলিও ট্র্যাকারকে দেখে ফেলে! তাই সে তার বোনেদের সাথে বড়ো বড়ো ঘাসের মধ্যে লুকিয়ে পরে। যার জন্য ট্র্যাকার তাদের দেখতে পায় না।
- আর এরপর ট্র্যাকার সেখান থেকে এগিয়ে যায়।
- ট্র্যাকারের চলে যাওয়ার পর মলি তার বোনেদের নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে।
- অন্যদিকে মলির মা ও তার গ্র্যান্ডমা এটা জানতে পারে, যে তার মেয়েরা সেখান থেকে পালিয়ে গেছে। এই কথা শুনে মলির মা খুশি হয়ে যায়! কারণ সে চায় তার মেয়েরা যেন ফিরে আসে।  যদিও মলি ও তার  দুই বোনের জন্য এটা খুব কঠিন হবে! তবুও
- তারা যেন ফিরে আসে।
- অন্যদিকে  মলি তার দুই বোনকে নিয়ে হাটতেই থাকে। তারা জানেনা, যে তাদের বাড়ি এখনো কত দুরে।
- পথে মলি একজন কে দেখতে পায়। লোকটি মলিকে জিগ্গেস করে যে মলি কোথায় যাবে?
- মলি উওর দেয় - জিগলং!
- লোকটি মলিকে বলে যে জিগলং এখান থেকে অনেক দুরে, তাই এখনো কয়েকশো কিলোমিটার দুরে  রয়েছে। তাই এখনো তোমায় অনেক টা পথ হাটতে হবে।
- আর এই বলে, লোকটি মলিকে একটি দেশলাই ও কিছুটা মাংস খেতে দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।
- আর মলিকে তার বোনের সাথে খোলা আকাশের নিচেই রাত কাটাতে হয়।

- পরদিন মলি যখন তার জন্য,  ও তার বোনদের জন্য একটি ঘর থেকে ডিম নিচ্ছিল! তখন সেখান একজন হোয়াইট ওমেন আসেন। সেই ভদ্র মহিলা মলিকে দেখার পর,  তাকে কিছু খাবার ও  পরার জন্য জামাকাপড় দিয়ে দেন।
- আর মলি যখন তাকে তাদের র‍্যাবিট প্রুফ ফিন্স এর সম্পর্কে বলে, সেই মহিলা, -মলিকে বলে যে তুমি ইস্ট এর দিকে যাও। সেখানে র‍্যাবিট প্রুফ ফিন্স দেখতে পাবে। আর মলি এই কথা শুনে তার দুই বোনকে নিয়ে ইস্টের দিকে যেতে থাকে।
- আসলে মলি জানে যে, - সে যদি  র‍্যাবিট প্রুফ ফিন্স ধরে এগিয়ে যায়! তাহলে সে তার গ্রামে পৌঁছে যাবে। কারণ এই ফিন্স তার গ্রামেও বসানো আছে। 
- তাই মলি তাড়াতাড়ি করে ইস্টের দিকে চলে যায়।
- মলি ইস্টের দিকে এগোনোর পর, সেখানে সেরকমই ফিন্স দেখতে পায়, যেরকম তাদের গ্রামে লাগানো আছে। আর এট দেখে মলি খুশি হয়ে যায়।
- আর এরপর মলি তার দুই বোনকে নিয়ে, সেই ফিন্স ধরে হাটতে শুরু করে।
- যখন তারা একটু এগিয়ে যায়, তখন একজন হোয়াইট ম্যান তাদের দেখতে পায়।
- এই হোয়াইট ম্যান একজন ভালো মানুষ। সে মলি ও তার দুই বোনকে কিছু খেতে দেয়, আর সে মলিকে জিগ্যেস করে যে মলি কোথায় যাবে?
- মলি যখন তাকে তার গ্রামের নাম বলে তখন সেই হোয়াইট ম্যান,-মলিকে বলে যে, তারা  এতক্ষণ ভুল দিক এসেছে। তারা এতক্ষণ যেদিকে এসেছে,- সেদিকে জিগলং গ্রাম নয়! জিগলং তার উল্টো দিকে! অর্থাৎ যেদিক থেকে মলি হেটে এসেছে।
- আর মলি লোকটির কথা বিশ্বাস করে। আর লোকটি মলিকে একটি সর্টকার্ট ফিন্স ধরে হাটতে বলে!এতে মলি খুব তাড়াতাড়ি তার গ্রামে পৌঁছেতে পারবে। 
- আর মলি লোকটির কথা বিশ্বাস করে। আর এরপর মলি তার দুই বোনকে নিয়ে সেই সর্টকার্ট  ফিন্স ধরে এগিয়ে যায়।
- অন্যদিকে - এ.ও.নেভিল - মলি ও তার দুই বোনকে ধরার জন্য একটি প্ল্যান করে। সে পুলিশ কে এটা বলতে বলে যে - গ্রেজির মা তার জন্য ভিলুনাতে অপেক্ষা করছে!
- আর এরপর পুলিশ সবজায়গায় এই মিথ্যে খবরটা ছড়িয়ে দেয়।
- এদিকে মলি তার দুই বোনকে নিয়ে সেই সর্টকার্ট র‍্যাবিট প্রুফ ফিন্স ধরে হাটতে থাকে। এরা তিনজন দিনের পর পর হাটতেই থাকে। এদের মধ্যে এমন এক শক্তির সঞ্চার ঘটে! যা এদের এতটা পথ চলার শক্তি জোগাচ্ছিল।
- এরপর মলি আরও একজনকে দেখতে পায়।  সে মলি ও তার বোনেদের অবস্থা দেখে তাদের কিছু খেতে দেয়। আর সেই ব্যক্তি গ্রেজিকে এই কথা  বলে - যে তার মা তার জন্য ভিলুনাতে অপেক্ষা করছে! যদি গ্রেজি তার মায়ের কাছে ফিরে যেতে চায়, তাহলে সে ট্রেনে করে ভিলুনা যেতে পারে।
- এই কথা শুনে গ্রেজি সেখান থেকে রেল স্টেশনের দিকে যেতে শুরু করে। কিন্তু মলি তাকে সেই লোকটির কথা বিশ্বাস করতে না করে।
- মলি এটা বুঝতে পারে যে লোকটি তাদের মিথ্যে বলছে। এটা তাদেরকে ধরার জন্য, শুধুমাত্র একটা ফাদ!!
- কিন্তু গ্রেজি মলি কথা করে না। আর গ্রেজি লোকটির কথা বিশ্বাস করে রেল স্টেশনের দিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
- মলি তাকে তার সাথে, সেই  ফিন্স ধরে এগিয়ে যেতে বলে! - কিন্তু গ্রেজি তার কথায় রাজি হয়না।।
- মলি গ্রেজিকে বলে যে, " আমরা এখান থেকে এগিয়ে যাচ্ছি.. যদি তুমি বাঁচতে চাও তাহলে আমাদের সাথে এসো "!
- আর এই বলে মলি তার ছোট বোন " ডেজি " কে কোল করে নিয়ে এগিয়ে যায়।
- আর গ্রেজি একা একা রেল স্টেশনের দিকে যেতে থাকে।
- অনেকটা পথ যাওয়ার পর, মলির মনে গ্রেজির জন্য চিন্তা জেগে ওঠে... মলি গ্রেজিকে খুজতে আবার সেই দিকেই চলে আসে, যেখান থেকে তারা আলাদা হয়েছিল।।
- এখানে ফিরে আসার মলি দেখতে পায় যে, গ্রেজি একটা চেয়ারে বসে ট্রেনের অপেক্ষা করছে। কারণ সে ট্রেনে করে ভিলুনা যেতে চাই।
- মলি গ্রেজির কাছে যায়না! সে দুরে তার বোনকে নিয়ে লুকিয়ে পরে। এরপর মলি গ্রেজিকে সিটি বাজিয়ে ইশারা করে তার দিকে আসতে বলে।
- কিন্তু যখন  গ্রেজি মলিকে দেখতে পায়! আর তার দিকে যেতে থাকে, তখনই সেখানে নেভিলের গাড়ি চলে আসে! আর গ্রেজিকে তারা ধরে ফেলে।
- আর গ্রেজি আরও একবার ধরা পরে যায়।
- আর এরপর তারা গ্রেজিকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
- দুর থেকে মলি এসব কিছু দেখে! কিন্তু সে কিচ্ছু করতে পারে না। তার হা পা বাধা। তাই তার দেখে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
- গ্রেজিকে তুলে নেওয়ার পর,- মলি তার ছোট বোন ডেজিকে নিয়ে তার গ্রামের দিকে এগোতে থাকে।
- এরা দুজন কতটা পথ হেঁটে এসেছে, তার কোনো ধারণা এদের নেই! এরা শুধুই হেঁটেই!
- তাদের মধ্যে যেন এক অফুরন্ত শক্তি ছিল!  যা তাদের এতটা পথ চলার শক্তি দিয়েছে।
- মাঝের পথে ডেজি পুরোপুরি ভেঙ্গে পরে.. কিন্তু মলি তালে তার কোলে  নিয়ে হাটতে থাকে।
- আর এভাবে দীর্ঘদিন চলার পর তারা তাদের গ্রামের কাছে পৌঁছায়।
-  গ্রামে পৌঁছনোর পর মলির মা তাদের  দেখতে পায়! আর তা মায়ের চোখ থেকে অনবরত জল ঝড়তে থাকে...
-  সে এমন এক মুহুর্ত! যা শুধুমাত্র মলি, ডেসি ও তার মা ই বলতে পারবেন। 
-  মলি তার মাকে গ্রেজির কথা বলে! কিন্তু তাতে তার মায়ের  কষ্ট হলেও, তিনি এই কথায় খুশি ছিলেন যে - তার বাকি দুই মেয়ে তার বুকে ফিরে এসেছে।
-  কিন্তু মলি এখানে চলে আসলেও সে এখানে আর থাকতে পারবে না! কারণ যেকোনো সময় নেভিলের লোকেরা তাকে এখান থেকে নিয়ে যাবে।
-  তাই মলির মা, মলি ও তার বোনকে নিয়ে এই জিগলং গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে  চলে যায়।
-  আর এরপর মলি ও তার পরিবার, কোনোদিন জিগলং গ্রামে ফিরে আসে না!!

-
   
x

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন