ils Movie's Full Story Explanation || Bangla Story
bangla short stories |
- এই কাহিনী টি খুবই অদ্ভুত। এখানে পর পর চারজনকে তাদের প্রান হারাতে হয়েছিল... তাও কোনো প্রকার দোষ ছাড়াই ।
- যখন আপনি এই গল্পের শেষের দিকে খুনিদের সম্পর্কে জানতে পারবেন, তখন আপনি হয়তো খুনিদের পরিচয়কে বিশ্বাস ই করতে পারবেন না!
- এই গল্পটা হল - 2 October, 2002 এর। এক রাতে একজন মা, তার মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন।
- তখন রাত প্রায় 11: 47 PM। এত রাতে আমাদের ইন্ডিয়া তে হয়তো গাড়ি নিয়ে আপনি কখনোই বেরোতে চাইবেন না.. কিন্তু বিদেশে এটা স্বাভাবিক।
- এত রাতে না বেরোনোর অনেক কারণ ই থাকে! মানুষের সাথে কখন কি হয়ে যায়.. তা বলা মুশকিল।
- কারোর ভয় এমনিতেই হতে থাকে.. আবার কারোর ভয়টা কখনো সত্যিও হয়ে যায়!
- আর এরকম ই ঘটনা এই দুজনের সাথে ঘটতে চলেছিল! কিন্তু এরা তা কখনোই বুঝতে পারেনি, - তাদের সাথে কি হতে চলেছে...
- যে
- যখন সেই ভদ্র মহিলা ড্রাইভিং করছিলেন, তখন তার স্বামী সেই মহিলাকে কল করে। যেহুতু সেই ভদ্র মহিলা ড্রাইভিং করছিলেন, তাই তিনি তার মেয়েকে তার বাবার সাথে কথা বলতে বলেন।
- কিন্তু তার মেয়ে নিজেকে তখন আয়নায় দেখছিল,.. যে কারণে সে তার বাবার সাথে কথা বলেনা।
- আর এই কথা নিয়ে সেই ভদ্র মহিলা ও তার মেয়ের মধ্যে ঝামেলার সৃষ্টি হয়।
- আর এর মধ্যে হটাৎ করে তাদের গাড়ি একটি বড়ো ল্যাম্পপোস্টের সাথে ধাক্কা খায়!
- এতে তাদের গাড়ির সামান্য কিছু ক্ষতি হয়।
- - কিন্তু তারা দুজনেই ঠিক ছিল।
যখন সেই ভদ্র মহিলা আবার তাদের গাড়ি স্টার্ট করার চেষ্টা করেন, তখন গাড়ি স্টার্ট হয় না।
তাই তাদের গাড়ি ঠিক করতে হতো।
- যেহুতু সেই রাস্তায় সেরকম কোনো গাড়ি ছিলনা! তাই তাদের অন্য কোনো গাড়ির কাছে সাহায্য চাওয়ার আশাটাই মিথ্যে।
- তাদের নিজেদের গাড়িতেই বাড়ি ফিরতে হত।
- সে কারণে সেই ভদ্র মহিলা গাড়ি থেকে নেমে, তার গাড়ি ঠিক করার চেষ্টা করেন।
- কিন্তু যখন তিনি গাড়ির বাইরে যান, তখন তিনি কাউকে দেখতে পান। এতে সেই মহিলা খুব ভয় পেয়ে গাড়ির ভেতরে চলে আসে। সেই মহিলা তার মেয়েকে এটা বলে যে, সে কাউকে দেখতে পেয়েছে।
- তার মেয়ের বলে, হয়তো আপনি কোনো কুকুরকে দেখেছেন।
- এরপর সেই মহিলা তার মেয়ের কথায় আবার গাড়ির বাইরে গিয়ে, গাড়ি বোনেট খুলে দেখতে থাকে।
- সেই মহিলা এরপর তাকে মেয়েকে ড্রাইভিং সিটে আসতে বলে।
- যখন মেয়েটি ড্রাইভিং সিটে বসে, তখন সে তার মাকে জিগ্গেস করে, যে এরপর তাকে কি করতে হবে?
- কিন্তু তার মায়ের কোনো উওর পাওয়া যায় না।
- যেহেতু গাড়ির বোনেট উপরে করা ছিল, তাই গাড়ির ভেতরে থেকে বাইরে দেখা যাচ্ছিল না!
- মেয়েটি বার বার তার মাকে জিগ্যেস করে... কিন্তু তার মায়ের কোনো সাড়া পাওয়া যায় না।
- মেয়েটি এটা বুঝতে পারে! যে তার মায়ের সাথে নিশ্চয়ই কিছু খারাপ হয়েছে।
- মেয়েটি বাইরে বেরিয়ে তার মাকে খুজতে থাকে.. কিন্তু তার মাকে খুজে পাওয়া যায়না।
-
- মেয়েটি ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি গাড়ির ভেতরে চলে আসে। তার কাছে যেই ফোন থাকে, সেটা দিয়ে সে পুলিশের কাছে সাহায্য জন্য কল করে। কিন্তু পুলিশের number, Busy ছিল.. যে কারণ সে পুলিশের কাছে সাহায্য চাইতে পারে না।
- আর তখন হটাৎ করেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়।
- বৃষ্টিতে মেয়েটা আরও অসহায় হয়ে পরে। সে খুব ভয় পেয়ে যায়। আর তখনই বাইরে থেকে, কেউ একজন তার গাড়ির জানালার মধ্যে কাদা ছুড়ে মারে। এতে মেয়েটা ভয় পেয়ে কাদতে থাকে...
- আর তখন তার গাড়ির ভেতরে থেকে, কেউ একজন তার গলা কেটে দেয়...
- আর সেই মেয়েটিকেও খুন করা হয়।
- এই ঘটনা কোথায় থেকে শুরু? আর কেনই বা এই দুজনকে খুন হত হল! তার নিদিষ্ট কোনো কারন ছিলনা। এদেরকে যারা খুন করেছিল, তাদের এরা কোনো ক্ষতি করেনি.. কিন্তু তবুও এদের খুন করা হয়েছিল।
- খুনি কেন এদের খুন করেছিল, তা আপনি একটু পরেই জানতে পারবেন।
- এর পরের দিন একটি নতুন দিনের শুরু হয়। একটি নতুন দিন সবার জন্যই অনেক কিছু নিয়ে আসে। কারোর জন্য নতুন সুযোগ! আবার কারোর জন্য নতুন আশা! আবার কারোর জন্য এর থেকে বেশি কিছু।
- জীবনে কখন কি হবে, তা বলা অসম্ভব। তাই আমাদের প্রতি মুহুর্তেই সাবধানে চলা উচিত।
- কিন্তু সাবধান জিনিসটাও হয়তো কাউকে বাচাতে পারে না..
- আর ঠিক এমনটাই হয়েছিল ক্লেমেন্টাইন ও ল্যানির সাথে। ক্লেমেন্টাইন একজন স্কুল টিচার। একদিন, যখন তার স্কুল ছুটি থাকে, তখন সে তার বয়ফ্রেন্ড - " ল্যানির " বাড়িতে যায়। ল্যানি একজন লেখক। এবং তার বাড়ি শহর থেকে অনেক দুরে। যখন ক্লেমেন্টাইন ল্যানির বাড়িতে যেতে থাকে, তখন ক্লেমেন্টাইন সেই গাড়িটা দেখতে পায়, যেটাতে সেই ভদ্র মহিলা ও তার মেয়ে ছিল। এবং যাদের গতকাল খুন করা হয়েছিল।
- ক্লেমেন্টাইন এসবে না জড়িয়ে ল্যানির বাড়িতে চলে আসে। ক্লেমেন্টাইন ও ল্যানি সারাদিন একসাথে কাটানোর পর, যখন তারা শুয়ে থাকে, তখন তাদের ঘরে অদ্ভুত আওয়াজ আসতে শুরু করে।
- এতে ক্লেমেন্টাইন ও ল্যানির ঘুম ভেঙ্গে যায়। মাঝ রাতে যদি এরকম আওয়াজ আসতে শুরু করে, তাহলে যে কেউ একটু ভয় পেয়ে যাবে। আর বিশেষ করে, ল্যানির বাড়ির চারপাশে জঙ্গল.. তাই তার ভয় পাওয়ার কারণ টা স্বাভাবিক ভাবেই একটু বেশী।
- ক্লেমেন্টাই ও ল্যানি সেই আওয়াজের সন্ধান করতে শুরু করে। কিন্তু তারা কাউকেই দেখতে পায়না।
- যখন ল্যানি বাইরে বেরিয়ে দেখে, তখন হটাৎ করেই তাদের গাড়ি টা কেউ নিয়ে যায়। এতে দুজনেই ভয় পেয়ে যায়। কারণ এরকম একটা জায়গায় এসব ঘটনা ভয় পাওয়ানোর জন্য যথেষ্ট।
- যখন ল্যানির গাড়ি টা কেউ নিয়ে যায়, তখন ক্লেমেন্টাইন ও ল্যানি এটা বুঝতে পারে! যে তাদের এখানে নিশ্চয়ই কেউ না কেউ আছে! যে তাদের ওপর নজর রাখছে।
- এজন্য তারা পুলিশ কে কল করার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের ঘরের সব লাইন কেউ অফ করে দেয়। যার জন্য ল্যানি ও ক্লেমেন্টাইন কাউকেই সাহায্যর জন্য বলতে পারেনা।।
- আর এরপর থেকেই তাদের সাথে অদ্ভুত ও ভয়ানক ঘটনা ঘটতে শুরু করে। ল্যানি ও ক্লেমেন্টাইমের ঘরে বার বার করে টর্চের আলো ফেলা হয়। এটা ল্যানি ও ক্লেমেন্টাইনের ধারণার বাইরে, যে কে তাদের সাথে এরকম করছে।
- ল্যানি যখন সেই টর্চের আলোর উৎসের খোঁজ করতে থাকে, তখন কেউ তাকে ধাক্কা দেয়, আর এতে ল্যানির পা, তার ঘরের দরজার কাচের সঙ্গে লেগে খুব খারাপ ভাবে কেটে যায়।
- ওদিকে ক্লেমেন্টাইন যেই ঘরে থাকে, সেখানেও কেউ একজন তাকে মারার চেষ্টা করে।
- এভাবে বেশ কয়েকবার কেউ একজন এদেরকে খুনের চেষ্টা করে।
- ল্যানি ও ক্লেমেন্টাইন এতে খুব বাজে ভাবে আতঙ্কিত হয়ে পরে।
- যদি এখানে কেউ তাদের আহত করে ফেলে! তাহলে এমন কেউ নেই যে তাদেরকে সাহায্য করতে পারবে। তাই ল্যানি ও ক্লেমেন্টাইনকে নিজেদেরই বাচার চেষ্টা করতে হবে।
- ল্যানি ও ক্লেমেন্টাইন কোনোরকম ভাবে তাদের বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসে। তাদের চারিদিকে শুধুমাত্র জঙ্গল ছিল। আর দিনের থেকে রাতে জঙ্গলে ভয়ের পরিমাণ টা নিজে থেকে দ্বিগুন হয়ে যায়। আর ল্যানি ও ক্লেমেন্টাইনের জন্য আজকের রাতের ভয়টা হয়তো তার থেকেও বেশী।
- যখন ল্যানি ও ক্লেমেন্টাইন জঙ্গলে পালিয়ে যেতে থাকে, তখন তাদের পেছন থেকে টর্চের আলো তাদের দিকে আসে। আর এটা থেকে বোঝা যায়, যে কেউ তাদের পিছু নিচ্ছে।
- ল্যানি ও ক্লেমেন্টাইন সেখান থেকে পালিয়ে একটি তারের বেড়ার সামনে এসে পরে। ক্লেমেন্টাইন সেই বেড়ার ওপারে চলে যায়, কিন্তু ল্যানি তার আহত পায়ের জন্য ওপারে যেতে পারেনা।
- ওদিকে ক্লেমেন্টাইন দৌড়াতে দৌড়াতে তার গাড়ি দেখতে পায়। যখন সে তার গাড়ির কাছে যায়, তখন ল্যানি একটি ছায়ার মত আকৃতি দেখতে পায়।
- আর এর পরেই ক্লেমেন্টাইনের চিৎকারের আওয়াজ শোনা যায়। ক্লেমেন্টাইমের চিৎকারের আওয়াজে ল্যানি কষ্ট করে সেখানে পৌঁছে যায়।
- ল্যানি এখানে আসার পর একজনকে দেখতে পায়। ল্যানি তার ওপর আঘাত করে!
- ছেলেটি মাটিতে শুয়ে পরে..
- ল্যানি যখন ছেলেটির মুখ দেখে, তখন সে দেখতে পায়, যে ছেলেটি একটি অল্প বয়সের বাচ্চা। আর এই বাচ্চাই তাদের সাথে এসব করছিল।
- কিন্তু এখানেই খেলা শেষ নয়। ক্লেমেন্টাইন এখনো নিখোঁজ। তাই ল্যানি আবার ক্লেমেন্টাইন কে খুজতে শুরু করে।
- এরপর ল্যানি ক্লেমেন্টাইনের চিৎকার শুনতে পায়! আর ল্যানি ক্লেমেন্টাইনের চিৎকার অনুসরণ করে একটি ম্যানহোলে চলে যায়।
- এখানে আরও দুজন বাচ্চা ছেলে ছিল, যারা ক্লেমেন্টাইনকে আটকে রেখেছে।
- ল্যানি ক্লেমেন্টাইনকে দেখতে পায়। ল্যানি সাথ সাথে সেখানের একটি ছেলেকে মেরে ফেলে।
- আর অন্য বাচ্চাটি তাদের এখান থেকে বেরোনোর জন্য সাহায্যে করার কথা বলে। তাই ল্যানি তাকে ছেড়ে দেয়।
- এরপর সেই ছেলেটি অনেক ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একটি সিড়ির সামনে আসে। এখানে সবার প্রথম ক্লেমেন্টাইন ওপরে ওঠে। এরপর সেই বাচ্চাটি, কিন্তু যখন ল্যানি সেই সিড়ি দিয়ে ওপরে ওঠার চেষ্টা করে, তখন সেই বাচ্চাটি বার বার ল্যানির হাতে আঘাত করে, ল্যানিকে নিচে ফেলে দেয়। আর ল্যানির নিচে পরার পর কয়েকটি ছেলে তাকে সরিয়ে মেরে ফেলে।
- এটা দেখে ক্লেমেন্টাইন সেই বাচ্চাটিকে মারার জন্য একটি পাথর তুলে নেয়,! কিন্তু বাচ্চাটি ক্লেমেন্টাইনকে এটা বলে,
- প্লিজ আমাকে মেরো না! আমরা তো তোমাদের সাথে খেলছি!
- সেই বাচ্চাটির কথায় ক্লেমেন্টাইনের মনে মায়া চলে আসে। আর এরপর সে পালানোর চেষ্টা করে।
- কিন্তু ক্লেমেন্টাইন এমন একটি জায়গা আকটে পরে, যেখান থেকে তার বেরোনো সম্ভব না। তার সামনে একটি লোহার গেট থাকে। আর এখান থেকে রাস্তাও দেখা যাচ্ছিল! কিন্তু কেউ তাকে দেখতে পাচ্ছিল না....
- আর ক্লেমেন্টাইন এখানে পৌঁছনোর পর অনেক চিৎকার করে! কিন্তু কেউ তার আওয়াজ শুনতে পায় না।।
- আর একটু পরেই সেই বাচ্চাগুলো ক্লেমেন্টাইনকে সরিয়ে নিয়ে যায়। আর এরপর তাকেও মেরে ফেলে।
- যখন এই ছেলেগুলো তাদের অপরাধের জন্য ধরা পরে, তখন একটি ছেলে এটা বলেছিল যে, তারা আমাদের সাথে ঠিকভাবে খেলছিল না!!তাই আমরা এরকম করেছি।
- মানে এটা তাদের কাছে একটি খেলা! যেখানে কেউ তাদের সাথে না খেললে তাদেরকে মরতে হবে।
- আপনি জানলে অবাক হবেন, যে এই বাচ্চাগুলোর বয়স 10 থেকে 15 এর মধ্যে ছিল। আর তাদের কাছে এটা একটা খেলা মনেছিল, যেখানে তারা চারজনের জীবন শেষ করে দিয়েছিল।।
- এই ঘটনাটি রোমানিয়ায় একটি দম্পতির সাথে ঘটেছিল। আর এই ঘটনার ওপর ভিত্তি করেই
- - "ILS " সিনেমা টি বানানো হয়েছিল।
-
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন