- " CALL ME BY YOU'RE NAME " - সিনেমার গল্পটি সত্যিই অদ্ভুত। সাধারণ আমরা যখন কোনো সিনেমায় প্রেম ভালোবাসার কথা শুনি, তখন তাতে নিশ্চয়ই একজন ছেলে ও একজন মেয়ের চরিত্র থাকে। - কিন্তু এই সিনেমায় সেই চরিত্রের মিল নেই। - এই গল্পে এক অদ্ভুত ভালোবাসাকে তুলে ধরা হয়েছে। যা আমার আর আপনার কাছে একদম গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। কিন্তু এই কাহিনি যে লিখেছেন, সে তার কল্পনাকে এক অদ্ভুত পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। এই কাহিনির লেখক কি লিখেছে!- সেটাই আপনি আজকে পড়তে চলেছেন। - এই কাহিনিতে দুজন ছেলে মানুষের প্রেমের কাহিনিকে তুলে ধরা হয়েছে। সাধারণত আমরা একজন ছেলে ও একজন মেয়ের মধ্যে প্রেম ভালোবাসার গল্প দেখতে পাই। কিন্তু এই গল্পে তার উল্টো দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। এই গল্পে এলিয়ো ও অলিভারের ভালোবাসার একটি সাধারণ গল্প তৈরী করা হয়েছে। যেখানে এলিয়ো হঠাত করেই অলিভারকে পছন্দ করতে শুরু করে। আর তার এই পছন্দটাই ভালোবাসায় পরিণত হয়। - ঠিক একই ভাবে এলিয়োর মত অলিভারের মনেও এলিয়োর জন্য ভালোবাসা জেগে ওঠে। আর এরা দুজন এক অদ্ভুত ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। কিন্তু এদের এই ভালোবাসা এক অদ্ভুত সম্পর্ক। তাই এদের ভালোবাসার পরিণতির কোনো দিক তুলে ধরা হয়নি। - তাই আমি বা আপনি কেউই জানিনা যে এই গল্পের শেষ কোথায়। এটা আপনার জন্যই রেখে দেওয়া আছে যে আপনি এই সম্পর্কের পরিণতি সম্পর্কে কি ভাবেন। আপনি তখন এই গল্পের পরিণতি সম্পর্কে ভাবতে পারবেন যখন আপনি এই গল্পটা পড়বেন। - তাই আর না বলে নিচে গল্পটা বলার চেষ্টা করছি।।
- এই সিনেমার গল্পটা শুরু করার আগেই আমি Disclaimer দিয়ে নিতে চাই। -------------------- DISCLAIMER -------------------- - আমি এই সিনেমার কাহিনি সম্পূর্ণ ভাবেই নিজের মত করে সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করবো । আমার লেখা গল্পের সাথে আপনি হয়তো মুল গল্পের মিল নাও খুজে পেতে পারেন! কারণ আমি এই সিনেমার অনেক কথাঅ বাদ দিয়েছি!- - আমি শুধু সেটুকুই বলবো যেটা এই সিনেমার মুল কাহিনি।।।
--------------" CALL ME BY YOU'RE NAME "--------- - এই কাহিনি হল এলিও ও অলিভার নামের দুজন ছেলেকে নিয়ে। - এলিও নামের ছেলেটির বয়স মাএ 17 বছর। সে একজন ইটালিয়ান। আর এলিও তার মা - বাবার সাথেই থাকে। - এলিও নামের ছেলেটি খুবই সাধারণ। সে সবসময়ই তার বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে ভালোবাসে। - আর তার সবচাইতে বড়ো গুন হল -সে নানারকমের বই পড়তে ভালোবাসে। আর এভাবেই তার জীবন সাধারণ ভাবে চলে যায়। - কিছুদিন পর এলিওদের বাড়িতে 24 বছর বয়স্ক একটি ছেলে আসে যার নাম অলিভার। অলিভার একজন আর্কিওলজিস্ট। আর তার জন্যি এলিওর বাবা তাকে তার বাড়িতে ডেকেছিল। - যাতে অলিভার এলিওর বাবাকে তার পেপার ওয়ার্কে সাহায্য করতে পারে। - এই কাহিনিতে এলিওর চরিত্রের সাথে অলিভারের চরিত্রের সাধারণ মিল দেখতে পাওয়া যায়। - এলিওর মতো অলিভারও তার জীবনকে খুব সাধারণ ভাবে ইনজয় করে। - আর এলিওর সাথে অলিভারের চরিত্রের এই সাধারণ মিলের জন্যই, এলিও অলিভারকে পছন্দ করতে শুরু করে। - অলিভার যাই বলে বা যাই করে না কেন! -এলিওর সেই সব কিছু ভালো লাগে। - এলিও অলিভারকে তার রুম শেয়ার করে। যাতে অলিভার যতদিন তাদের বাড়িতে থাকবে ততদিন তার কোনো অসুবিধা না হয়। - কিন্তু অলিভার এলিওর পাশের রুমে সিফট্ হয়ে যায়। - এখানে এলিওকে এমন ভাবে দেখানো হয়েছে যে - এলিও সবসময়ই অলিভারের কাছাকাছি থাকতে চায়। - কারণ অলিভারের কথা বলা, জীবন যাএা, সবার সাথে মিশে যাওয়া, এইসব কিছুই এলিওকে খুব গভীর ভাবে আকর্ষণ করে। - আর এলিও চায় যে অলিভারও যেন এলিয়োর প্রতি আকৃষ্ট হয়। এর জন্য এলিও তার সাথে সময় কাটাতে শুরু করে। - এলিও অলিভারকে তার জীবন সম্পর্কে, তার বন্ধুদের সম্পর্কে বলে। কিন্তু অলিভার এসব কিছুই সাধারণ ভাবে নেয়। কারণ তার কাছে এসব ব্যাপার সাধারণ। - আর এলিওর এই সাধারণ জীবন নিয়ে তার ওপর আকৃষ্ট হওয়ার মত কিছুই নেই। - এই গল্পে এলিওর একজন বান্ধবীকে দেখানো হয় যার নাম মার্জিয়া। মার্জিয়া এলিওর ছোট বেলার বান্ধবী। এর আগে এলিওর- মার্জিয়া জন্য কোনো ফিলিংস জেগে ওঠেনি। কিন্তু হটাৎ করেই মার্জিয়া ও এলিও খুব কাছাকাছি চলে আসে। - এরা দুজন- দুজনকে ভালোবাসে ফেলে। আর একদিন এদের দুজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়। - এই কাহিনিতে যদিও এলিও অলিভারের প্রতি আকৃষ্ট ছিল, তবুও সে মার্জিয়াকে ভালোবাসতো। - কিন্তু মার্জিয়ার সাথে এলিওর সম্পর্ক থাকার পরও -, এলিও চাইতো যে- অলিভার যেন তার ওপর আকৃষ্ট হয়। - সেই জন্য এলিও তার ও মার্জিয়ার মধ্যে যা হয়েছিল, তা আরও বাড়িয়ে -চড়িয়ে বলতে শুরু করে। কিন্তু অলিভার এলিওর কথায় কোনোরকম মাথা ঘামায় না। - আসলে এলিও এসব কথার মধ্যে অলিভারের রিয়েকশন দেখতে চেয়েছিল। কিন্তু অলিভারের কোনো রিয়েকশন না দেখে এলিও হতাশ হয়ে পরে। - এভাবে কিছদিন যাওয়া পর অলিভারের ওপর এলিয়োর যে ফিলিংস বা আকর্ষণ!- সেটা বাড়তেই থাকে। - এলিয়ো অনেকবার অলিভারকে তার এই আকর্ষণ বা ভালোবাসার কথা বলতে চায়! কিন্তু সে বলতে পারেনা। - কারণ এখানে কোথায় না কোথাও এলিয়ো নিজের কাছে লজ্জা পাচ্ছিল। তাই সে তার মনের কথা খুলে বলতে পারছিল না।
- কিন্তু একদিন এরা দুজন যখন পোস্ট অফিসে যায়, তখন এলিয়ো তার মনের কথা বলতে শুরু করে। - কিন্তু এলিয়ো সোজাসুজি ভাবে বলে না! এলিয়ো indirectly বলে। - কিন্ত অলিভার তার মনের কথা বুঝে যায়। যে এলিয়ো তার কথাই বলছে। আর সে এটাও বুঝতে পারে যে এলিয়ো তার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে। - কিন্তু অলিভার এসব বুঝেও এলিয়োকে খুবই সাধারণ উওর দেয়। - অলিভারকে এলিয়োকে বলে যে আমাদের এই বিষয়ে আর বেশি কথা না বলাই ভালো। - অলিভারের এরকম জবাব শুনে এলিয়ো কোথাও না কোথাও আঘাত পায়। - কারণ অলিভার যা বলেছে -সেটা এলিয়োর জন্যেই। আর এলিয়ো কখনোই এরকম উওর আশা করেনি।
- এরপর এলিয়ো অলিভারকে এমন একটি জায়গায় নিয়ে যায় যেটা এলিয়োর প্রিয় জায়গা গুলোর মধ্যে একটা। - এখানে এলিয়ো তার অনেক সময় কাটায়। তাই সে অলিভারকেও এখানে নিয়ে আসে। - এলিয়ো অলিভারকে বলে যে - তার এই জায়গাটা খুব প্রিয়। সে এখানে হাজারো বই পড়েছে। যেটা তার অভ্যেস। - এলিয়োর কথায় অলিভার সেরকম গুরুত্ব দেয়না। - আর এরা দুজন ই ঘাসের ওপর শুয়ে পরে। - এই কাহিনি এই পযর্ন্ত একটা দিক নিয়ে চলেছিল!- যেখানে শুধুমাএ এলিয়ো -অলিভারকে পছন্দ করতো। এলিয়োর জন্য অলিভারের কো fillings ছিল না! কিন্তু যখন এলিয়ো indirectly তার মনের কথা প্রকাশ করে- তখন অলিভারের মনেও কিছুটা fillings জেগে ওঠে। - অলিভার হটাৎ করেই এলিয়োর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পরে। - আর এভাবেই এই গল্পের দ্বিতীয় দিক শুরু হয়। যেখানে এলিয়ো ও অলিভার - দুজন - দুজনকেই পছন্দ করতে শুরু করে। - যখন এলিয়ো ঘাসের ওপরে শুয়ে থাকে - তখন অলিভার এলিয়োর ঠোটের ওপরে হাত দেয়। - আর হটাত করেই তাকে কিস করে। এরপর এলিয়ো নিজেও তাকে কিস করে। - কিন্ত অলিভার নিজেকে সামলে নেয়! অলিভারকে এলিয়োকে বলে যে - তাদের এমন কিছু করা ঠিক না যেটার জন্য তাদের লজ্জায় পরতে হবে। - অলিভারের কথায় এলিয়ো নিজেকে সামলে নেয়। - আর এরপর এরা দুজন বাড়িতে ফিরে আসে।
- এখন এরা দুজন যখন বাড়িতে ফিরে খাবার খেতে থাকে, তখন হটাৎ করেই এলিয়োর নাক থেকে রক্ত পরতে শুরু করে! এটা এলিয়ো ও তার পরিবারের জন্য স্বাভাবিক। কিন্তু অলিভারের জন্য অস্বাভাবিক। - এলিয়োর নাক থেকে রক্ত পরার জন্য সে তার রুমে চলে যায়। এলিয়োর এরকম অবস্থা দেখে তার মা -বাবা কিছুই বলে না। - কিন্তু অলিভারের এলিয়োর জন্য চিন্তা হতে শুরু করে। কারণ অলিভার এখন এলিয়োর সাথে জড়িয়ে পরেছে। তাই এলিয়োর জন্য তার চিন্তা হওয়াটা স্বাভাবিক। - এলিয়ো যখন তার রুমে বসে থাকে - তখন অলিভার সেখানে যায়। আর অলভার এলিয়োর শরীরে স্পর্শ করে। আর এরা দুজন আবার একে অপরকে কিস করতে শুরু করে। - এই ব্যপারটা আমার কাছে সত্যি অদ্ভুত একটা অনুভূতি। হয়তো আপনার কাছেও তাই। - কিন্তু এলিয়ো ও অলিভারের জন্য এটা তাদের ভালোবাসার প্রকাশ।
-এভাবে কয়েকদিন যাওয়ার পর যখন এলিয়ো আর অলিভার একে অপরের খুব কাছাকাছি চলে আসে - তখন এলিয়োর বাবা -মা এটা বুঝতে পারে যে - এলিয়ো ও অলিভার - একে অপরকে পছন্দ করে। -এলিয়োর মা এই বিষয় নিয়ে এলিয়ো সাথে কথাও বলে। কিন্তু এলিয়ো ব্যাপারটা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। -এলিয়োর মা এলিয়োর কাছে জানতে চায় যে সে অলিভারকে পছন্দ করে কিনা? - এলিয়ো এর জবাবে বলে যে - অলিভারকে সবাই পছন্দ করে। কারণ তার জীবন টাকে উপভোগ করার স্টাইলটাই এরকম। আর তার এরকম আচরণ ও স্বভাবের জন্যেই সবাই তাকে পছন্দ করে। - কিন্তু এলিয়োর মা সবটাই বুঝতে পারে। সে এলিয়োর গলায় সেই লকেট টা দেখতে পায় - যেটা অলিভার সবসময় পরে থাকতো। আর এটা দেখে এলিয়োর মা বুঝতে পারে যে এখন এরা দুজন দুজনের কাছাকাছি চলে এসেছে। কিন্তু এটা বুজতে পারা সত্বেও এলিয়োর মা ব্যাপারটাকে সাধারণ ভাবেই নেয়। - এখানে এলিয়োর মা -বাবার জায়গায় যদি আমি থাকতাম, বা আপনি থাকতেন! - তাহলে হয়তো কখনোই এটা মেনে নিতাম না!- কারণ এদের এই সম্পর্কটা মোটেই স্বাভাবিক সম্পর্ক নয়! কাজেই এটা মেনে নেওয়া সহজ নয়। কিন্তু এলিয়োর মা- বাবা এটা খুব সাধারণ ভাবেই নেয়। কারণ তারা তাদের ছেলের এই অনুভূতি বা খুশির মুহুর্ত গুলো নষ্ট করতে চাননি। - এরকম চলতে থাকার মধ্যে এলিয়ো তার প্রেমিকা মার্জিয়াকে সময় দিতেই ভুলে যায়। - তাই এলিয়োর খোঁজ নেওয়ার জন্য মার্জিয়া তাদের বাড়িতে আসে। - এলিয়োর বাড়িতে আসার পর মার্জিয়া তাকে জিগ্গেস করে যে সে এখনো এলিয়োর প্রেমিকা কি না? !!- - মার্জিয়ার কথা শুনে এলিয়ো তার কোনো জবাব দেয়না! - আর এরপর মার্জিয়া সেখান থেকে চলে যায়। এর সহজ মানে দাড়ায় এটাই যে এলিয়ো ও মার্জিয়ার মধ্যে এখন আর আগের সম্পর্কটা নেই। থাকলে এলিয়ো মার্জিয়াকে তার প্রশ্নের উওর দিত। কিন্তু সে এর কোনো উওর দেয়নি। তাই মার্জিয়া এই জিনিসট বুঝতে পারে। যে তাদের মধ্যে এখন আর আগের সম্পর্কটা ঠিক নেই।। তাই সে সেখান থেকে চলে যায়।। - যায় যেদিন এলিয়োর মা- এলিয়ো কাছে অলিভারের সম্পর্কে জানতে চায়!- সেই রাতেই এলিয়ো তার নিজের ঘরে জামা খুলে খালি গায়ে শুয়ে থাকে। যাতে অলিভার তাকে দেখে তার রুমে আসে। - কিন্তু যখন অলিভার তাকে এই অবস্থায় দেখে, তখন অলিভার কোনো দিক না ভেবেই তার নিজের রুমে চলে যায়। এতে এলিয়ো অবাক হওয়ার সাথে সাথে একটু হতাশ হয়ে যায়। কারণ তাদের দুজনের মধ্যেকার সম্পর্কটা এখন আগের থেকে আরও গভীর! - তাই অলিভারের থেকে এলিয়োর আশাটাও বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেদিন অলিভার - এলিয়োর আশাটাকে ভেঙ্গে দিয়েছিল। - কিন্তু সেদিন সেই আশাটাকে ভেঙ্গে দেওয়ার পর, কয়েকদিন পরে এলিয়ো যখন তার রুমে বসে থাকে!- তখন অলিভার তার রুমে আসে। অলিভার এলিয়োর কাছে জানতে চায়- " আমি কি তোমাকে কিস করতে পারি?"-... - এলিয়ো এই কথা শুনে বলে -" ইয়েস প্লিজ ".. - আর এরপর এরা দুজন আরও একবার Physical relationship এ জড়িয়ে পরে। - আর এখানে অলিভার এলিয়োকে তার নাম ধরে ডাকতে বলে। - আর সে এলিয়োকে তার নিজের নামে ডাকার কথা বলে। - মানে এলিয়ো অলিভারকে এলিয়ো বলে ডাকবে। আর অলিভার এলিয়োকে অলিভার বলে ডাকবে। - যদি আমি এর সাধারণ মানে বলতে চাই, তাহলে আমি বলতে পারি যে এখানে অলিভার এলিয়োকে এই কথাটা বলার সাধারণ মানে হল - - যখন আমরা কাউকে ভালোবাসি!- তখন তার মধ্যে আমর নিজেদের প্রতিচ্ছবি খুজে দেখার চেষ্টা করি, বা দেখতে পাই! তাই অলিভার এমন কথাটি বলেছিল। -
- যখন এদের মধ্যে সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে চলছিল তখনই সেই সময় চলে আসে যখন অলিভারকে ফিরে যেতে হতো। - কারণ অলিভার সারাজীবনের জন্য এলিয়োর কাছে আসেনি। - সে শুধুমাত্র তার কাজের জন্য এসেছিল!- আর এলিয়ো বা অলিভার কখনোই এটা ভাবেনি যে এরা দুজন এমন এক সম্পর্কে জড়িয়ে পরবে।।। - কিন্তু এখন অলিভারকে ফিরে যেতেই হবে। - যদিও এলিয়ো ও অলিভার কেউই এটা চায়না। কিন্তু জীবনে এমন কিছু জিনিস থাকে যা আমাদের না চাইতেও ছাড়তে হয়। - আর তাই হয় এলিয়ো ও অলিভারের সাথে। যেদিন অলিভার তার বাড়িতে ফিরে যায়, সেদিন এলিয়ো পুরোপুরি উদাশ হয়ে পরে। কারণ সে তাকে ভালোবাসে! আর তার ভালোবাসার মানুষটি আজকে তার থেকে অনেক দুরে চলে গেছে। - তারা দুজনে যেই মুহুর্ত গুলো এক সাথে কাটিয়েছে, তা এখন স্বৃতি ছাড়া আর কিছুই নয়। - এলিয়ো দিনের পর দিন অলিভারের জন্য উদাসীনতায় ভুগতে থাকে। সে তার মা-বাবার সাথে অলিভারকে নিয়ে কথা বললেও তার মন ভালো ঠিক থাকে না। - এই গল্পে এলিয়োর যে প্রেমিকা থাকে, -সেও এলিয়োর মনের কথা বুঝতে পারে। কারণ সে এলিয়োকে এখনো ভালোবাসে। তাই তার মন খারাপের কারণ টা হয়তো বুঝতে পারাটা স্বাভাবিক। মার্জিয়া এলিয়োর কাছে এটা বলে যে - সে সারাজীবন তার বন্ধু হয়ে থাকতে চায়। - এলিয়োও তাকে তার সারাজীবনের বন্ধু হিসেবে মেনে নেয়। - কিন্তু এতকিছুর পরেও এলিয়োর মন খারাপ থেকেই যায়। - কিন্তু বহুদিন পর অলিভার হটাত একটি এলিয়োকে কল করে। আর এরা দুজন বহুদিন পর একে- অপরের সাথে কথা বলে। - আর এতদিন পর অলিভারের সাথে কথা বলার পর এলিয়োর মন খারাপের সমাপ্তি ঘটে। -আর এভাবেই এই কাহিনীরও সমাপ্তি ঘটে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন