এই গল্পটা এমন একজন ভারতীয় কে নিয়ে, যার কাছে কোনো ডিগ্রী তো ছিল না! কিন্তু সে অংকের দুনিয়ায় এমন কিছু করে গেছে, যা নিয়ে প্রত্যেক ভারতীয়ের তার ওপর গর্ব অনুভব করা উচিত।
এই গল্পটা হল রামানুজের । এই গল্পট হল সেই সময়ের, যখন আমাদরে দেশ ব্রিটিশ দের শাষনে ছিল।
- রামানুজ তার মা এবং স্ত্রীকে নিয়ে মাদ্রাসে থাকতেন। যদিও তিনি খুব উচ্চ শিক্ষিত ছিলেন না! তবুও তিনি অংক বিষয়টিতে খুব ভালো ছিলেন।
- রামানুজ যেখানে সময় পেতেন সেখানেই অংকের বিভিন্ন প্রবলেম গুলোর সমাধান করার চেষ্টা করতেন।
- তিনি বিভিন্ন জায়গায় কাজের খোঁজ করে বেড়াতেন, কারন তিনি গরিব ছিলেন এবং তার কাধের ওপর তার পরিবারের দায়িত্ব ছিল।
- পরিবার কে সামলানোর জন্য তার যেকোনো একটা কাজের প্রয়োজন ছিল।
-
- কাজের খোঁজে রামানুজ একজন ইংরেজের কাছে যান এবং তিনি সেই ইংরেজকে তার সমাধান করা গনিতের কিছু নোটস এবং গবেষণা দেখান। কিন্তু সেই ইংরেজ তাকে চাকরি না দিয়েই তাড়িয়ে দেয়।
- এরপর রামানুজ কাজের খোঁজ নারায়ানা বলে একজন ভারতীয়ের কাছে যান এবং সেখানে তার কিছু গনিতের সমাধান দেখান। এতে নারায়ানা খুব খুশী হয়ে যান এবং বুঝতে পারেন যে রামানুজ আসলে কি জিনিস। এরপর নারায়ানা রামানুজকে স্যার ফ্রান্সিস এর কাছে নিয়ে যান।
- এখানে স্যার ফ্রান্সিস রামানুজের অবস্থা দেখে বলেন যে --- " একে দেখে তো মনেহয় যে কোনো বস্তি তে থাকে! এ আমাদের জন্য কি কাজ করবে! একে এখান থেকে নিয়ে যাও""!
- রামানুজ স্যার ফ্রান্সিসের কথার জবাবে বলেন যে
- আমাকে দেখে এখন হয়তো আপনার এরকম মনে হচ্ছে! কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি আপনি বুঝতে পারবেন যে আমি কি করতে পারি। আমি কাচের টুকরো নই! আমি হীরের টুকরো। ''!
- স্যার ফ্রান্সিস রামানুজের এই কথা শুনে বুঝতে পারেন যে রামানুজের নিজের প্রতি বিশ্বাস আছে। এবং সত্যি এই ব্যক্তি একজন অসাধারন মানুষ। এবং এরপর স্যার ফ্রান্সিস রামানুজ কে একটি চাকরি দিয়ে দেন।
- এরপর রামানুজ তার নিজের পরিবারের জন্য ভাড়ায় একটি বাড়ি কিনে নেন। কারণ এর আগে তাকে তার পরিবারকে নিয়ে তার বন্ধুর সাথে থাকতে হত।
- যখন রামানুজ কাজ করতেন তখন নারায়ানা তাকে জিজ্ঞেস করতেন যে তিনি কাজের সময় অ্যাবাকাসের ব্যবহার করেন না কেন?
- এই প্রশ্নের উওরে রামানুজ বলেন যে তিনি অ্যাবাকাস ছাড়াই দ্রুত ক্যালকুলেশন করতে পারেন।
- তার এসব কিছুর দরকার নেই।
- স্যার ফ্রান্সিস আস্তে আস্তে রামানুজের কাজে খুশী হতে থাকেন। তিনি বুঝতে পারেন যে রামানুজ কোনো সাধারণ ব্যক্তি নন। তার বুদ্ধির তুলনা চলে না।
- তিনি রামানুজ কে বলেন যে তিনি রামানুজের গবেষণা এবং তার বুদ্ধির পরিচয় বাইরের দুনিয়ায় সাথে করাতে চান।
- এই কথা রামানুক বাড়িতে এসে তার মা এবং স্ত্রীকে বলেন। কিন্তু তার মা এতে রাজি হন না। কারণ তার তারা ব্রাহ্মণ। এবং সেই সময় ব্রাহ্মণদের কালো পানি, অর্থাৎ সমুদের জল পাড়ি দেওয়া যেত না।
- এটি করলে সমাজে তাদের বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন করতে হত।
- এরপর রামানুজ এই কথা নারায়ানাকে বলেন।
- নারায়ানা রামানুজকে বলেন যে তোমার কাজ এখানে এভাবে মরতে পারেনা। তোমাকে তোমার কাজ বাইরের দুনিয়ার প্রকাশ করতেই হবে।
- নারায়ানার কথা শুনে রামানুজ তার কিছু গবেষণার কপি কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির একজন বিখ্যাত গনিতবিদ G. H. Hardy এর কাছে পাঠান।
- G.H. Hardy রামানুজের কাজ দেখে মুগ্ধ হয়ে যান। তিনি রামানুজের কাজ দেখে এতোটাই খুশী হয়ে যান যে তিনি রামানুজ কে ইংল্যান্ডে ডেকে পাঠা।
- এরপর রামানুজ তার চুল কেটে ফেলেন!যা ব্রাহ্মণদের নিয়মে তখন ছিলনা। এবং এরপর তিনি তার মা এবং স্ত্রীকে মাদ্রাসে রেখে ইংল্যান্ডে চলে যান।
- G.H. Hardy যে রামানুজকে ইংল্যান্ডে ডেকে পাঠান তার এই কাজে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির কোনো প্রফেসর এবং অন্য সদস্য রা খুশী হয় না।
- কারণ তারা ভাবতেন যে রামানুজ,গনিতের সমাধানের কপি গুলো পাঠিয়েছে সে সব মিথ্যে।
- কারণ রামানুজের কাছে এই সমাধানের কোনো প্রুফ নেই।
- সেদিন G.H. Hardy রামানুজ কে পরের দিন দেখা করতে বলেন।
- পরদিন রামানুজ G.H. Hardy এর সাথে দেখা করতে তার রুমে যান। এখানে তার পরিচয় হয় Little Wood নামে এক ব্যক্তির সাথে যিনি কেমব্রিজের একজন গনিতবিদ এবং তিনি G.H. Hardy এর সাথে কাজ করেন।
- এরপর G.H. Hardy রামানুজ কে বলেন যে তোমাকে কিছু লেকচার Attend করতে হবে।
- এবং তোমার কাজের প্রফ করতে হবে এবং দুনিয়াকে তোমার কাজের বিষয়ে দেখাতে হবে।
- আসলে তারা এতক্ষন রামানুজ কে হালকা ভাবে নিচ্ছিল। কিন্তু এরপর রামানুজ তাদের বলেন যে আমি আপনাকে যে কপি গুলো পাঠিয়েছিলাম তা শুধু নমুনা মাএ ছিল। আমার কাছে এর চাইতেও বেশী কিছু আছে। এরপর রামানুজ তার দুটো নোট বই G.H. Hardy - এবং Little Wood এর হাতে দেন। যাতে তার গবেষণা এবং গনিতের বহু সমাধান এবং বহু সুএ ছিল! যা তার নিজের আবিষ্কার করা।
- এসব দেখে G.H. Hardy এবং Little Wood অবাক হয়ে যান। তখন লিটল উূড বুঝতে পারেন যে রামানুজের তুলনা আইনস্টাইনের সঙ্গে করা হলেও তা কম হবে।
- পরদিন রামানুজ একটি ক্লাসে যান এবং সেখানে একজন প্রফেসর ব্ল্যাক বোর্ডে একটি Mathematical Theory লেখেন এবং রামানুজ কে জিগ্যেস করেন যে সে এটা বোঝে কি না!
- তখন রামানুজ বলেন যে হ্যা!! তিনি বোঝেন।
- এরপর সেই প্রফেসর রামানুজ কে সেই Theory টি করে দেখাতে বলেন এবং রামানুজ তা কয়েক মুহুর্তেই করে দেখান। কিন্তু এতে সেই প্রফেসর খুশী হবার বদলে রামানুজের ওপর রাগ হয়ে যান। এবং রামানুজ কে ক্লাসের বাইরে বের করে দেন।
- পরদিন রামানুজ G.H. Hardy এর কাছে যান। এবং সেখানে G.H. Hardy তাকে জিগ্যেস করেন যে কালকের সেই Theory টি সে কিভাবে করে দেখিয়েছিল? এতে রামানুজ বলেন যে সে জানেন না। তার মাথায় হটাৎ করেই চলে এসেছিল এবং তাই সে করে দেখিয়েছে।
- এরপর রামানুজ G.H. Hardy কে বলেন যে তারা এখনো কেন কাজের সময় নষ্ট করছে? তার কাছে সুএ, এবং সমাধান আছে তাহলে তারা কাজ করছে না কেন?
- এই প্রস্নের উওরে G.H. Hardy বলেন যে সে রামানুজের বুদ্ধি এবং গবেষণায় সন্দেহ রাখেনা।
- কিন্তু রামানুজের এই কাজ বাইরের দুনিয়াকে বোঝানোর জন্য তাদের প্রুফ দরকার।
- এরপর G.H. Hardy রামানুজকে একটি জায়গায় নিয়ে যায় এবং সেখানে বিজ্ঞানী নিউটনের একটি বই দেখান। এবং রামানুজকে বলেন যে নিউটনের বই আমাদের পথ দেখায়। কেননা এখানে লেখা প্রত্যেকটি জিনিসের প্রুফ আছে এবং সবকিছুই ভালোভাবে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
- কিন্তু তোমার আবিষ্কার করা কোনো কিছুর ই প্রুফ নেই এবং তার বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা নেই। তোমাকে তোমার আবিষ্কারকের প্রুফ করতে হবে।
- আর আমি বিশ্বাস করি যে যদি তুমি তোমার আবিষ্কারের প্রুফ বানিয়ে ফেলো তাহলে তোমার সেই আবিষ্কার একদিন এখানে থাকবে।
- আসলে G.H. Hardy রামানুজ কে তার আবিষ্কারের এবং গবেষণা প্রুফ এজন্য করতে বলেছিলেন যাতে সে তার গবেষণার এবং সমস্যা সমাধানের বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে বলে এবং তা সে কেন এবং কিভাবে করলেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে লেখা। এবং যদি সে এই কাজ টি করতে পারে তাহলেই অন্যান্য গনিতবিদ রা তার কাজের সমর্থন করবেন এবং বাকিরা তা কাজে লাগাতে পারবেন।
- এরপর রামানুজ তার Theory প্রুফ করার কাজ শুরু দেন। এবং কিছু Theory প্রুফ করার পর তিনি তা G.H. Hardy কে দেখান। তাতে কিছু ভুল থাকে এবং সেই ভুল ঠিক করতে G.H. Hardy রামানুজকে সাহায্য করেন।
- এবং এরপর রামানুজের প্রথম Mathematical Discovery প্রকাশিত হয়। এবং রামানুজের নাম এবং ফটো খবরের কাগজেও ছাপানো হয়।
- এই খবর তার মা এবং স্ত্রী ও জানতে পারেন।
- এবং এই খবরে তারা খুব খুশী হন।
- এরপর কিছুদিন সব কিছু ঠিকঠাক চলার পর হটাৎ করেই ইংল্যান্ডে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এবং রামানুজ ইংল্যান্ড থেকে তার স্ত্রীকে একটি চিঠির মাধ্যমে জানান যে ইংল্যান্ডে এখন যুদ্ধ চলছে। তার এখন যাওয়া ঠিক হবে না।
- কিন্তু চিঠিতে রামানুজের কথা শুনে তার স্ত্রী ( জানকি) ঠিক করেন যে সে ইংল্যান্ডে তার স্বামীর কাছে যাবে। এবং এই কথা একটি চিঠির মাধ্যমে তিনি তার স্বামীকে জানাতে চান। কিন্তু রামানুজের মা সেই চিঠি ইংল্যান্ড পাঠানোর আগেই তিনি তা লুকিয়ে ফেলেন। কারণ তিনি ভেবেছিলেন, যদি জানকিও ইংল্যান্ড চলে যায় তাহলে রামানুজ আর কোনো দিন তার মায়ের কাছে ফিরে আসবে না।
- এদিকে ইংল্যান্ডে Little Wood যুদ্ধে সামিল হয় ।
- যুদ্ধে যাওয়ার আগে সে G.H. Hardy কে একটা চিঠি দিয়ে যায়। এবং সেখানে তিনি বলেন যে,
- Hardy তোমার কাছে রামানুজ আছে। যে একটা Miracle এর থেকে কম নয়। রামানুজ কে আমাদের জ্যাকোবি এর সাথে তুলনা করা উচিত নয়।
- রামানুজকে আমাদের নিউটনের সাথে তুলনা করা উচিত।
- এবং রামানুজের কাজ সারা দুনিয়ার সামনে আসা চাই। তুমি ওর খেয়াল রেখো। এখন সে তোমার দায়িত্ব ।।।
- G.H. Hardy রামানুজকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্যে করতেন কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে রামানুজনের ক্ষমতা কি! তার বুদ্ধি মাপের বাইরে।
- রামানুজ এমন একজন মানুষ যে চাইলে গনিতের সব বাধা ছিড়ে ফেলতে পারে।
- কিন্তু G.H. Hardy এই কথা বুঝতে পারলেও তখন পুলিশ তার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করে। তাকে কয়েকবার মার-ধর করা হয়।
- কিন্তু রামানুজ তবুও তার কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন।
- কিন্তু দিন দিন তার শরীরের অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। যখন তিনি ডক্টরের কাছে চেকআপ করান তখন তিনি জানতে পারেন যে তার টিউবারক্লসিস আছে। কিন্তু তিনি এই কথাটা G.H. Hardy কে বলেন না।
- অন্য দিকে G.H. Hardy রামানুজনের জন্য রয়্যাল সোসাইটিতে সদস্য হবার জন্য যে আপিল করেছিলেন সেটাও খারিজ করে দেওয়া হয়।
- এসব কিছুর মধ্যে রামানুজ আস্তে আস্তে মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পরেছিলেন। এবং তিনি আত্মহত্যা করতে রেলওয়ে স্টেশন চলে যান এবং রেললাইনে ঝাপ দিতে চেষ্টা করেন। কিন্তু রেলচালক তাকে দেখে ফেলেন। এবং কোনো ভাবে তিনি প্রানে বেচে যান।
- এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
- এখানে G.H. Hardy ও আসেন। এবং তিনি জানতে পারেন যে রামানুজের টিউবারক্লসিস আছে। এবং রামানুজ আর বেশীদিন বাচবেন না!!
-
- কিন্তু তিনি এটাও জানতেন না যে তার জীবনে এতসব প্রবলেম চলছে। তিনি রামানুজকে বলেন যে, সে যদি আগে তাকে এসব জানাতো তাহলে হয়তো G.H. Hardy তার জন্য কিছু করতে পারতেন।
- রামানুজ G.H. Hardy কে কথা দিতে বলেন। যে সে যেখানেই মারা যান না কেন! তার দেহ যেন তার ভারতে পৌছায়।
- G.H. Hardy তাকে বলেন যে - তুমি এত তাড়াতাড়ি মরতে পারো না। তোমার অনেক কাজ এখনো বাকি আছে যা দুনিয়াকে দেখাতে হবে।
- এরপর রামানুজ তার কাজ করে যেতে থাকেন। বহু কষ্টের পর রামানুজ তার কাজ সম্পূর্ণ করেন। এবং তার আবিষ্কার করা সূত্র এবং সমাধানের প্রুফ তৈরী করেন।
- তার এই কাজ দেখে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির বড়ো বড়ো গনিতের প্রফেসর এবং গনিতবিদ রাও অবাক হয়ে যান । তারা বিশ্বাসই করতে পারেন না যে রামানুজ এই কাজটি করেছেন।
- এরপর G.H. Hardy রামানুজের এই কাজের পর আবার রয়্যাল সোসাইটির ফ্যালো সিপ এর জন্য আবেদন করেন। এবং এইবার রামানুজকে রয়্যাল সোসাইটির ফ্যালো সিপ পেয়ে যান। যদিও অনেক এটা চাইতেন না। কারণ রামানুজ একজন ভারতীয়।
- কিন্তু G.H. Hardy এর প্রচেষ্টায় রামানুজ সেই জায়গা টা পেয়েছিল। যেটা তার জন্য অনেক বড়ো একটা পাওয়া। এবং এরপর রামানুজ সেখানে অনেক সম্মান লাভ করেন। যা বিভিন্ন গনিতের প্রফেসর এবং গণিতবিদরা দিয়েছিলেন।
-
- এবং এরপর আমাদের মহান এই ভারতীয় G.H. Hardy এর কাছে থেকে বিদায় নেন। কারণ তিনি এবার নিজের দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন।
- কিন্তু G.H. Hardy সেটি চাননি। কারণ তিনি চাইতেন রামানুজ তার সাথেই থাকুক। এবং আরও কাজ করুক। কিন্তু রামানুজ তার কথা শোনেনি।
- এবং তিনি তার মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন।
- রামানুজ ভারতে আসার পর, তিনি তার রোগের সাথে যে লড়াই করে যাচ্ছিলেন, তা হেরে যান। এবং দেশে ফেরার এক বছর পর অর্থাৎ 1932 খ্রিষ্টাব্দের তিনি সবাইকে ছেড়ে চলে যান।
- কিন্তু রামানুজ চলে গেলেও তার কাজ এবং গণিতের দুনিয়ায় তার যে ছাপ ছেড়ে গিয়েছেন তা মানুষ পৃথিবী থাকতে ভুলবে না।
- এবং প্রত্যেক ভারতীয়ের রামানুজন কে নিয়ে গর্ব করা উচিৎ।
-
-
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন