Lochnesss monster - এর পুরো গল্পটা বাংলায় পড়ুন ||জানুন এর আসল রহস্য ||


Folklore stories in bangla
Image source - Google || image by - Wikipedia 





লকনেস মনস্টার সম্পর্কে অনেক অনেক কাহিনী প্রচলিত রয়েছে।।

 শত শত বছর ধরে এইসব প্রাণীকে দেখতে পাওয়ার খবর আমরা শুনে এসেছি..  কিন্তু তার পরেও এইসব প্রাণীর অস্তিত্ব অনেক রহস্যে ভরা.।। কিছু কিছু মানুষ রয়েছে - যারা এখনো মনে করে যে, এইসব প্রাণীর অস্তিত্ব এখনো বিদ্যমান.... অন্যদিকে কিছু কিছু মানুষ মনে করে, -  এইসব প্রাণীর অস্তিত্ব কল্পনাতেই সম্ভব.... 

  আসলে লকনেস মনস্টার খুব রহস্যময় একটি প্রানী। অনেকেই এই প্রানীকে নিজের চোখে দেখার দাবী করেছেন।। 

 আর অনেকেই এটাকে শুধুমাত্র ভুয়ো খবর বলে উড়িয়ে দিয়েছে।। 

 কিন্তু এর আসল সত্য কি,,?? 

 এই প্রানী আজও আছে কি - না!! তা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন।।।

 


লকনেস মনস্টার জলদৈত‍্যদের মধ্যে রয়েছে।। এই প্রানীটি অনেকটা ডায়নোসরের মতো  হয়ে থাকে।।  যেটি জলের মধ্যে বসবাসরত অনেক বড় একটি প্রাণী.।। 

 আজ পর্যন্ত এই প্রাণীটিকে দেখার খবর অনেক বড় মাধ্যমে এসেছে... যেসব মানুষরা এই প্রাণীটিকে দেখতে পাওয়ার খবর দাবি করেছে.-,  তারা বলেছে যে নদীর নিচ থেকে  ডায়নোসরের মতো লম্বা গলার প্রাণী বেরিয়ে আসতে দেখেছে.।।। 

  যখনই তাদের চোখ - প্রানীটির ওপর পড়েছে.., তখনই ওই প্রাণীটি আবার সমুদ্রের মধ্যে হারিয়ে গিয়েছে.।।। কিন্তু যেসব মানুষরা এই প্রাণীটিকে দেখিনি, তারা এই প্রাণীর অস্তিত্ব সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করে থাকে!! কারণ আজ পর্যন্ত এই প্রাণীটির অস্তিত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা বিজ্ঞান দিতে পারেনি.... 

 

Bangla short stories
Image source - Google || image by - cnbc.com



অনেক বড় একটি মিথ রয়েছে -যার মধ্যে এটা মনে করা হয়, স্কটল্যান্ডের এই ছিলে এক অদ্ভুত ও বিশালাকার প্রানী রয়েছে!-  যার নাম দেওয়া হয়েছিল -  লকনেস মনস্টার।।

বলা হয়ে থাকে এই ঝিলের  মধ্যে এক বিশাল রহস্যময় প্রাণী বসবাস করে... যার একটি জিরাফের মত লম্বা গলা রয়েছে. প্রাণীটি, মাঝে মাঝে জল থেকে বের হয়, আর সেই জলের মধ্যেই গায়েব হয়ে যায়.।। বলা হয়ে থাকে যে, এটি একটি ভয়ানক প্রানী.. আর এই প্রাণীটি মানুষকে জলের মধ্যে টেনে নিয়ে যায়.... আর এরপর খেয়ে ফেলে।।  

 এই এলাকার আশেপাশের মানুষ এখনো   প্রাণীটিকে দেখতে পাওয়ার কথা  বলে থাকেন.।।  আসলেই কি এরকম প্রাণীর অস্তিত্ব রয়েছে? পনেরোশো বছর ধরে মানুষ এই প্রাণীটিকে  দেখতে পাওয়ার খবর বলে আসছে,।।। যেমনটা পাঁচশো ষাট খ্রিস্টাব্দের একটি বই, the life oxygen এ বলা হয়েছে।। 

 

এই বইতে বলা হয়েছে যে, লকনেস ঝিলে একজন ব্যক্তি প্রতিদিনের মতই সাঁতার কাটছিল! - 

 হঠাৎ একটি অদ্ভুত প্রাণী সেই লোকটির ওপর আক্রমণ করে।। আর এরপর  সেই লোকটি জলের মধ্যে তলিয়ে যায়।।।। 

 তারপর আধুনিক আঠারোশো সত্তর সালে - একজন নাবিক  আবারো এই অদ্ভুত প্রাণীটিকে দেখার দাবি করেছিল।।  এক ব্যক্তি তার বোটে করে এই ঝিলে নেমেছিল।। কিন্তু এই ঝিলে নামার কিছুক্ষণ পরেই সেই নাবিকের বোটের পেছনে একটি প্রানীর চলাচল বুঝতে পারা যায়।। 

 আর এই জিনিস টা যখন নাবিকের মাথায় ধরা দেয়!- তখন সেই নাবিক মোসান সেন্সর এর মাধ্যমে কিছু বোঝার চেষ্টা করেন।। 

 আর সেই নাবিক তার মোসান সেন্সরে একটি প্রানীর অস্তিত্বের কথা বুঝতে পারেনা।  যার আকার ও আকৃতি বেশ বড়ো মাপের ছিল।। 

 কিন্তু সেই প্রানীটির কোনো ছবি - সেই নাবিক তুলতে পারেননি।। যার জন্য তার কাছে অধরা প্রমান হয়ে সেটা থেকে যায়।।।

 

 সেই নাবিকের  কথাতে মানুষ বেশি একটা বিশ্বাস করে না।।।  কারণ তার কাছে কোনো প্রমান ছিলনা!- - যে সে লকনেস মনস্টারকে দেখেছে।। 


Bangla short stories
Image source - google || image by- abdn.ac.uk



এই ঘটনার পর -  উনিশশো তিরানব্বই সালে আর এই গভীর নির্জন জায়গাটিকে-  শহরের সাথে যোগাযোগ  বাড়ানোর জন্য এই, লেকটির পাশ দিয়ে একটি মহা সড়ক নির্মাণ করা হয়েছিল।। 

তখন থেকে এই লেকের পাশ দিয়ে মানুষের যাতায়াত বেড়ে যায়।।।।

 ওই লেকের পাশ দিয়ে যাতায়াত করা মানুষের মধ্যে অনেকেই ওই প্রাণীটিকে দেখতে পাওয়ার কথা বলেছেন।।।  কিছু কিছু মানুষ এইটাও দাবি করেছে যে যখন তারা গাড়ি চালিয়ে যেত, তখন  জঙ্গল থেকে এক বিশাল আকৃতির প্রাণী তাদের গাড়ির সামনে দিয়ে - জঙ্গলের কোনো প্রানীকে মেরে তাদের সামনে দিয়ে লেকের জলে হারিয়ে যেত।।।

  

এবং এরকম ঘটনা অনেকেই দেখার দাবি করেছিল।। এই ঘটনাটি তখন বিভিন্ন   দৈনিক পত্রিকাতেও ছাপা হয়েছিল...  আর সর্বপ্রথম nineteen thirty four এ এই প্রাণীটির ছবি  তোলা হয়েছিল.।।। 




লকনেস মনস্টারের একটি মোটামুটি পরিস্কার ছবি সর্বপ্রথম - উনিশশো চৌত্রিশ সালের একুশে এপ্রিল ডেইলি মেল পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছিল.. এবং পত্রিকায় এই ছবিটি পাবলিশ হওয়ার পর সারা পৃথিবীতেই অনেক গবেষণা হয়েছে.।।।  কিন্তু বন্ধুরা আমি আপনাদেরকে বলি যে এই ছবিটি একটি নকল ছবি।। . কারণ এটিকে ওই সময়ের একজন ফটোগ্রাফার নকল মনস্টার বানিয়ে - সেটার ছবি প্রকাশ করেছিল।। 

কিন্তু সেই ছবিটি নকল হলেও! - সেটি যথেষ্ট পরিমানে ভাইরাল হয়েছিল।।।


Bangla short stories
image source - google || image by - fortune.com



. বলা হয়ে থাকে যে উনিশশো তেত্রিশ সালে সর্বপ্রথম ফটোগ্রাফারের দ্বারা এই ছবিটি তোলা হয়.।।  কিন্তু উনিশশো চৌত্রিশ সালে এই ছবিটি তোলা হয়েছিল।।। 


 যাইহোক উনিশশো চৌত্রিশ সালের ছবিটি viral হওয়ার পর থেকে এই অনেকেই লকনেস মনস্টার কে আগ্রহী হয়ে পরেছিল।।কিছু কিছু মানুষ তো এই প্রাণীটির শিকার করার জন্য তারা বের হয়েছিল।। কিন্তু তারা কিছুই করতে পারেনি।।।

  অন্যদিকে একটি দল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্যামেরাসহ তারা তদন্তে নেমে পড়ে. কিন্তু তারা পাঁচ সপ্তাহ অনুসন্ধান য়ার পরেও তাদের হাতে কোনো ধরনের পুক্ত প্রমান হাতে পায়নি।।।  তাদের এই অনুসন্ধানের পর ঊনিশশো আটত্রিশ সালে south Africa র একজন tourist CE ডাইলক দাবি করেছেন যে তিনি ওই প্রাণীটির একটি ভিডিও ধারণ করেছিলেন।। কিন্তু ওই ভিডিওর মাত্র একটি ক্লিপ ছিল!! যেটার কোয়ালিটি খুবই খারাপ।।। 

  


Bangla  stories
Image source - google || image by - mining- journal.com


এরপর কয়েকজন ব্যক্তি বিজ্ঞানীদের সহায়তায় উনিশশো চুয়ান্ন সালে আবারও এই প্রানীর সন্ধান করেন।।

তারা তাদের কাজে একটি মোসান সেন্সর ব্যবহার করেছিলেন।। আর এই সেন্সের এর মধ্যে একশো ছেচল্লিশ মিটার গভীরে এক বড় প্রাণীর অস্তিত্ব তারা আবিষ্কার করেছিল।।  কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরেই  ওই প্রাণীটি জলের আটশো মিটার নিচে চলে গিয়েছিল.।। 

 ঠিক এই ঘটনার এক বছর পর উনিশশো পঞ্চান্ন সালে এক  photographer প্রাণীতে এই প্রাণীটির এই ছবিটি তুলেছিল.।।  যার মধ্যে দেখা যাচ্ছিল একটি রহস্যময় প্রাণী. তারপর আবারও উনিশশো একাশি সালে aronatical engineer. ওই লেকের জলে  একটি রহস্যময় প্রাণীর ভিডিও record করেছিল. তারপর উনিশশো বাহাত্তর সালে একদল সোলার scientist  আবারো এই প্রানীটির খোজ করেন।।  অনেক খোজার পর -  শেষ পর্যন্ত  আটই আগস্ট তারা এই সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে জানতে পারে যে পানির একশো মিটার নিচে বড় ধরনের একটি প্রাণীর অস্তিত্ব তারা আবিষ্কার রয়েছে।। কিন্তু তারা সেই প্রানীটির কোনো ছবি তুলতে পারেননি।।


 দুহাজার এগারো সালে  একটি নাবিক মনে করছিলো যে তার নৌকাকে জলের নিচ থেকে কিছু একটি অনুসরণ  করছি।।  তখনই তিনি ওনার  সেন্সর ও ক্যামেরার  দ্বারা - সেই প্রানীটির একটি ছবি তুলে নেন ।।  যার মধ্যে ধরা পরেছিল, one point five মিটারের একটি  এক রহস্যময় প্রাণী । উনিশশো তেত্তিরিশ সাল থেকে আজ পর্যন্ত অনেক ছবি তোলা হয়েছে. আর এই প্রাণীটিকে মানুষ এই থিমের মধ্যে এখনও দেখতে পায়নি. কিন্তু আজ পর্যন্ত এই প্রাণীটির অস্তিত্ব কোন ভাবেই প্রমাণ করা যায়নি.।। 

 শেষ পর্যন্ত সাতাশি বছর আসলেই মনে হচ্ছে এখন এই প্রাণীটি রহস্য এখন উন্মোচন হবে. কারণ দুহাজার আঠেরো সালে আমেরিকার জর্জিয়াতে সমুদ্র সৈকতে এক অজ্ঞাত সামুদ্রিক প্রাণীর শরীর মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।।  এবং যে প্রাণীটির শরীর,  সামুদ্রিক লকনেস মনস্টারের -  সাথে অনেক মিল পাওয়া গেছে।।।  একজন বাবা এবং তার ছেলে প্রথম  এই ছবিটি তোলে।।  প্রথমে তারা এই প্রানীটাকে কোনো তিমি মাছ ভেবেছিল.. কিন্তু যখন তারা প্রাণীর কাছে যায়, তখন তারা বুঝতে পারে এই প্রাণীটি তিমির থেকেও অনেক আলাদা।।  কিছুটা লকনেস মনস্টারের সেই দানবের মতো।।। তখন তারা এই প্রাণীকে ছবি বানিয়ে সোসাল মিডিয়ায়  আপলোড করে.।। আর এরপর এই ছবিটির  মাধ্যমে মানুষের মধ্যে, লকনেস মনস্টারকে নিয়ে, আগের থেকেও বেশি আগ্রহ জেগে ওঠে।। 

 কিন্তু এখনো পযর্ন্ত কোনো শক্তিশালী প্রমান খুজে পাওয়া গেল না।। 

 তাই এই লকনেস মনস্টার একটি রহস্য হয়েই থেকে গেল।।।।

 যার অস্তিত্বের কথা, একমাএ ভগবান ই বলতে পারবেন।।।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন