-
Top 5 most brutal Torture Methods In History।। এই টপিক টা নিয়ে আমি এর আগেও দুটো পোস্ট লিখেছিলাম। যদি আপনি সেগুলো না পড়ে থাকেন, তাহলে একবার সেগুলো পড়ে দেখতে পারেন।।
আজকে এই টপিকের ওপর আমি তৃতীয় বার আরও কিছু লিখতে চলেছি।। আশা করছি এটা আপনার ভালো লাগবে।।
🔥🔥🔥🔥🔥Scaphism! 🔥🔥🔥🔥🔥
-
image by- pixabay.com |
- আমি এর আগের পোস্টগুলিতে যতোরকমের শাস্তি সম্পর্কে আপনাদের বলার চেষ্টা করেছিলাম, সেই সব ধরনের শাস্তির মধ্যে Scaphism হল সবচাইতে কষ্টদায়ক!! এবং নির্মম শাস্তি।।।
- Scaphism এ কোনো ব্যক্তিকে প্রথমে অনেক ভালো ভালো খাবার খাওয়ানো হয়।। সেই ব্যক্তিকে ততক্ষণ পযর্ন্ত খাবার খাওয়ানো হতে থাকে, যতক্ষণ না তার পেট পুরোপুরি ভরে যায়।।
- সেই ব্যক্তিকে বিশাল পরিমাণ খাবার খাওয়ানোর পর স্বাভাবিক ভাবেই তার শরীর ভারী হয়ে পরে! বা আপনি সেটাকে অলসতার উদাহরণ বলতে পারেন।।
সেই ব্যক্তিকে এত খাবার খাওয়ানোর পর - তার সারা শরীরে মধু( Honey ), ও দুধ( Milk) ঢেলে দেওয়া হত।
এরপর আরও কিছু দুধ ও মধু তার মুখের মধ্যে ঢেলে দেওয়া হত।
আপনি হয়তো ভাবছেন যে একজন ব্যক্তিকে যখন এরকম ভাবে খাবার খাওয়ানো হচ্ছে, তাহলে এত শাস্তির কি আছে?
Scaphism পদ্ধতিতে এই পযর্ন্ত শাস্তির কিছু নেই..
কিন্তু এরপর শুরু হয় Scaphism এর আসল শাস্তি।।
সেই ব্যক্তিকে ভরপুর দুধ ও মধু খাওয়ানোর পর, তাকে একটি নৌকায় আটকে দেওয়া হয়।।
সেই ব্যক্তিকে একটি নৌকায় শুইয়ে দেওয়ার পর, তার শারা শরীর একটি কাঠের তক্তার সাহায্য ঢেকে দেওয়া হত!! কিন্তু সেই ব্যক্তির মাথা ও মুখটা নৌকার বাইরে বের করে রাখা হত।।
আর এরপর সেই ব্যক্তিকে - সেই নৌকায় সেভাবে আটকে জলে ভাসিয়ে দেওয়া হত।।।।
যেহুতু সেই ব্যক্তিকে অনেক খাবার খাওয়ানো হত! সেই কারণে ব্যক্তিটি অনেকদিন পযর্ন্ত বেচে থাকতো।।
কিন্তু তার শরীরে যে দুধ আর মধু ঢেলে দেওয়া হত!! - তার জন্য জলাশয়ের বা, তার পাশ্ববর্তী জায়গার বিভিন্ন পোকামাকড় সেই দুধ ও মধুর আর্কষণে সেই ব্যক্তির নৌকায় এসে হাজির হত।।
আর নৌকায় এসে সবার প্রথমে সেই ব্যক্তির শরীরের ওপর তারা বাসা বাধতো।। আর সেই ব্যক্তিকে হাজারো ধরনের পোকামাকড়ের কামড়ের ব্যথা সহ্য করতে হত।।। কিন্তু সেই ব্যক্তি কোনো কিছুই করতে পারতো না!! কারণ তার হাত- পা এমন ভাবে আটকানো থাকে যে - সেই ব্যক্তি তা নড়াচড়া করার কোনো সুযোগ ই পেত না!!
যার ফলে সেই লোকটিকে এই নির্মম যন্টনা সহ্য করতে হত।।
প্রথম প্রথম লোকটির শরীরে হয়তো পোকামাকড় শুধুমাত্র সেই দুধ ও মধু খেতে তার শরীরে আসতো।।
কিন্তু ধীরে ধীরে সেই পোকামাকড় গুলোই - যখন লোকটির শরীরের ওপরের মধু ও দুধ শেষ হয়ে যেত, তখন পোকামাকড় গুলো সেই লোকটির শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে যেত।।
আর জীবিত অবস্থাতেই লোকটির শরীরকে!- পোকামাকড়ের দল তাদের খাবার বানিয়ে ফেলতো।।
আর এই সমস্ত কষ্টটা শাস্তি প্রাপ্ত লোকটিকে অনেক দিন ধরেই সহ্য করতে হত।।
পোকামাকড় গুলো দিনের পর দিন সেই লোকটির শরীরের ভেতরের অংশ গুলোকে খেয়ে ফেলতো।।
আর এভাবে প্রায় 1 থেকে দেড় সপ্তাহ পর লোকটি এই নারকীয় যন্ত্রণা সহ্য করার পর.. ধীরে ধীরে য়ার তার প্রান হারিয়ে ফেলতো।।।
কিন্তু লোকটি মারা যাওয়ার পরেও, তার শরীরের ভেতরে শরীরের ভেতরে থাকা পোকামাকড়গুলো তার বাকি শরীর টাকেও খেয়ে ফেলতো।।
আর যতদিন পযর্ন্ত না লোকটির সমস্ত শরীর শেষ হয়ে যেত! ততদিন পযর্ন্ত পোকামাকড় গুলো সেই শরীরের ভেতরেই থাকতো।।
এবং শেষ পযর্ন্ত একটি জীবিত মানুষের শরীরকে, মাংসপেশি বিহীন কঙ্গালে পরিণত করার পর! সেই পোকামাকড় গুলো তার শরীরের বাইরে বেবিয়ে আসতো।।
-🔥🔥🔥🔥 Chinese Bamboo 🔥🔥🔥🔥
- যদি আপনি বাঁশ সম্পর্কে কিছু জেনে থাকেন, তাহলে আপনি এটা নিশ্চয়ই জানেন যে বাঁশ হল এই পৃথিবীর সবচাইতে শক্তিশালী উদ্ভিদ।।
- আর বাঁশ যেকোনো বাধা পেরিয়ে লম্বা হতে পারে।। আপনি আর আমি এটা না জেনে থাকলেও চাইনিজরা এটা ভালো করেই জানতো।।
- আর বাঁশের এই শক্তিকেই চাইনিজরা! - কোনো ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়ার জন্য ব্যবহার করতো।।
- যখন কাউকে এই ধরনের শাস্তির জন্য তৈরী করা হত, তখন সেই ব্যক্তির হাত- এবং পা বেধে দেওয়া হত।। এরপর সেই ব্যক্তিকে কোনো বাঁশঝাড়ের সেই সমস্ত বাশেঁর উপরে ফেলে দেওয়া হত, যেই বাশঁ গুলো এখনো ছোট! - আর সেগুলো বড়ো হচ্ছে।।
- লোকটিকে সেই ধরনের বাশের ওপরে হাত পা বেধে উল্টো মুখ করে ফেলে দেওয়া হত।।
- আর সেই ব্যক্তির কোনো উপায় থাকতো না যে সেই ব্যক্তি সেখান থেকে পালিয়ে যাবে।। কারণ তার হাত পা বাধা থাকতো।।
- লোকটিকে নতুন চারাবাশেঁর ওপরে এভাবে উল্টো করে রাখার পর, কিছু সময় পরে যখন সেই চারাবাশঁ গুলো বড়ো হবার পথে বাধার সম্মুখীন হত!! তখন সেই চারাবাশঁ গুলো সেই লোকটির শরীর ফুটো করে বেরিয়ে যেত।।
- আর একজন জীবিত মানুষের শরীরের ভেতর দিয়ে যদি কয়েকটি বাশঁগাছ ঢুকে বেরিয়ে যায়!! তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই সেই মানুষটির মৃত্যু হবে।।
আর ঠিক সেটাই চাইনিজ ব্যাম্বুতে ঘটতো।।
- আপনি হয়তো ভাবছেন যে এটা কখনোই সম্ভব না যে একটি বাশঁ মানুষের শরীর ফুটো করতে পারে!!
- কিন্তু এটাই সত্যি।।
- একজন বিজ্ঞানী এটা পরিক্ষা করেও দেখিয়েছিলেন যে, বাশঁগাছের চারাগুলো শক্ত মোমের পুতুলের শরীরকেও ফুটো করতে পারে।।
- আর তার থেকেই বোঝা যায়, যে বাশ গাছের চারা মানুষের শরীরকেও ফুটো করতে পারে।।।
-🔥🔥🔥🔥🔥 Saying 🔥🔥🔥🔥🔥🔥
- Saying - এটা মানুষ মারার সবচাইতে সহজ পদ্ধতি হলেও!- এই শাস্তি যাকে দেওয়া হত, সে মোটেই সহজ ভাবে মারা যেত না।।। তাকে বহু কষ্টে তার প্রান দিতে হত।।
- Saying -এ একজন মানুষকে একটি খুটির সাথে বেধে দেওয়া হত।।
- সেই ব্যক্তিকে খুটির মাঝখানে রেখে, তার দুই পাশের হাত- খুটির দুইদিকে বাধা থাকতো।। আর শাস্তি প্রাপ্ত ব্যক্তিকে খুটির মাঝ খানে বেধে দেওয়া হত।।
- এরপর দুজন - বা একজন ব্যক্তি, - একটি বড়ো ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাস্তি প্রাপ্ত ব্যক্তির মাথা থেকে শুরু করে পা পযর্ন্ত দুই ভাগে তার শরীরকে কেটে ফেলতো।।
আপনি একবার ভাবুন যে, একজন জ্যান্ত মানুষকে যদি তার শরীরকে কেটে দুই ভাগ করে দেওয়া হয়! তাহলে সেই ব্যক্তির কতটা কষ্ট পেতে হতো।।
নিজের শরীর দুই ভাগ হওয়ার পরে যখন একজনের মৃত্য ঘটতো!
তখন কিছু রাজা- মহারাজার মনে হয়েছিল যে Saying পদ্ধতিতে মানুষ অল্প কষ্ট সহ্য করেই মারা যায়।।
তাই এরপরে Saying পদ্ধতিতে একটু পরিবর্তন করা হয়।।
প্রথমে একজন মানুষকে সোজা ভাবে দাড় করিয়ে রেখে, তার শরীরের দুভাগে কেটে ফেলা হত।।
কিন্তু এই পদ্ধতিকে পরিবর্তন করা হয়।। Saying এর নতুন এই পদ্ধতিতে একজন মানুষকে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হত।। আর এরপর সেই উল্টো অবস্থায় সেই ব্যক্তির শরীরের পেছনের দিক থেকে! অর্থাৎ সেই ব্যক্তির পশ্চাদদেশ থেকে কাটা হত।।
এভাবে সেই ব্যক্তির পা থেকে মাথা পযর্ন্ত কেটে ফেলা হত।।
যার জন্য সাথে সাথে সেই লোকটির মৃত্যু ঘটতো।।
-🔥🔥🔥🔥 Breaking Wheel 🔥🔥🔥🔥🔥
- Breaking Wheel এমন একটা শাস্তি! - যেখানে শাস্তি প্রাপ্ত ব্যক্তিকে, তার ব্যথা সহ্য করার শক্তির শেষ সীমায় নিয়ে যাওয়া হত।।
- এই পদ্ধতিতে কোনো ব্যক্তিকে একটি চাকার সাথে বেধে দেওয়া হত।। এর সেই শাস্তি প্রাপ্ত ব্যক্তিকে বাধা অবস্থায় চাকাটিকে ঘোরানো হত।।
- যখন সেই চাকাটি ঘোরানো হত, - তখন অপর এক ব্যক্তি,- চাকার সাথে বাধা ব্যক্তির শরীরের সমস্ত অঙ্গে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করতে থাকতো।।
- এই ধরনের আঘাত অনেক সময় ধরে চলতে থাকতো।।
-
- হাতুড়ির আঘাতের জন্য - শাস্তি প্রাপ্ত ব্যক্তির শরীরের প্রায় সমস্ত হাড় ভেঙ্গে যেত।।
- শরীরের সমস্ত হাড় ভাঙার পরে, সেই শাস্তি প্রাপ্ত ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হত।।
- আর সেই ব্যক্তি তার শরীরের অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে, খুব তাড়াতাড়ি মারা যেত।।।
-🔥🔥🔥🔥🔥🔥 Crucifixion 🔥🔥🔥🔥🔥
- আপনি যীশুখ্রিস্ট সম্পর্কে হয়তো নিশ্চয়ই কিছু জানেন।।
- আপনি হয়তো এটা কোথাও না কোথাও নিশ্চয়ই দেখেছেন যে- যীশুকে কিভাবে একটি (+) যোগ আকৃতির কাঠের মধ্যে পেরেক দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল!! আসলে এই পদ্ধতিকেই Crucifixion বলা হয়।।
- Crucifixion পদ্ধতিতে যখন কাউকে শাস্তি দেওয়া কথা ঠিক করা হত, তখন সেই ব্যক্তিকে দুই ভাবেই অত্যাচার করা হত।।-
- সেই ব্যক্তিকে প্রথমে বিভিন্ন ভাবে তাকে অপমানিত করা হত।। এবং তার সাথে বিভিন্ন রকম মানসিক অত্যাচার ও করা হত।।।
- প্রথমে মানসিক ভাবে অত্যাচার করার পর, সেই ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে শাস্তি দেওয়া হত।।
- শারীরিক শাস্তিটা এমন ভাবে হত যে, -
- শাস্তি প্রাপ্ত ব্যক্তিকে একটি (+) বা যোগ আকৃতির কাঠের সাথে রেখে, সেই কাঠের দুপাশের তক্তার সাথে, - সেই ব্যক্তির দুই হাত পেরেক গেথে আটকে দেওয়া হত।।
- এবং সেই কাঠের মাঝখানে -- শাস্তি প্রাপ্ত ব্যক্তির মাথার মধ্যে পেরেক মারা হত।।
- এবং এভাবে হাত, পা ও মাথায় পেরেক মারার পর!, সেই ব্যক্তিকে মাঠের মধ্যে রেখে দেওয়া হত।।
- যেমনটা আমরা যীশুর অনেক ছবিতে দেখতে পাই।।
এই পদ্ধতিতে কাউকে শাস্তি দেওয়ার পর, কয়েকদিনের মধ্যেই সেই ব্যক্তির মৃত্যু ঘটতো।।।
আর প্রাচীনকালে অনেককেই এই পদ্ধতিতে শাস্তি দেওয়া হত!!
।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন