Aginst The Sun
- এর আগের একটি পোস্টে আমি আপনাদের -
"Kon Tiki" সিনেমার বিষয়ে বলেছিলাম।
যেই সিনেমায় ছয়জন লোক সমুদ্রের 101 দিন কাটিয়েছিল। এই 101 দিনের মধ্যে তাদের নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল।
কিন্তু সেই ছয়জন ব্যক্তি কখনোই তাদের আশা ছাড়েননি। তাই তারা এক নতুন ইতিহাস রচনা করতে পেরেছিল।
আর সেই গল্প আমাদের শিখিয়েছিল যে, জীবনের যেকোনো পরিস্থিতিতেই আমাদের আশা ছেড়ে দেওয়া উচিৎ নয়।
কারণ আশা হল সেই জিনিস, যা আমাদের লড়তে সাহায্য করে।
আর আশা ছাড়া কেউই বড়ো কিছু করতে পারে না।
যেখানে কোনো আশা নেই!- সেখানে পাওয়ার মত কিছুই নেই..
- যদি আপনি সেই গল্পটি না জেনে থাকেন, তাহলে তা একবার পড়ে দেখতে পারেন।
- আজকের গল্পটাও সেরকম এ একটা সত্যি ঘটনার গল্প।
- এই গল্পটা হল " Against The Sun " নামক সিনেমার।
- এই Against The Sun সিনেমার গল্পটি তিনজন ছেলেকে নিয়ে।
- যারা হল - পাইলট হ্যারল্ড, বম্বাডিয়ার টনি, ও রেডিওম্যান জীন ।
- এদের গল্পটাও খুব সহজ ভাবে শুরু হয়।
- এরা তিনজন আমেরিকার সামরিক বাহিনীর সাথে যুক্ত ছিল। আর এটা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কাল। যখন জাপান আমেরিকার পলহার্বারে আক্রমণ করেছিল।
- জাপানের এই আক্রমণের জন্য আমেরিকাও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সামিল হয়ে যায়।
- আর জাপানের ওপর বদলা নেওয়ার জন্য এগিয়ে আসে।
- আমেরিকা তার অনেক বোমারু প্লেন জাপানে হামলা করার জন্য পাঠায়। আর এদের মধ্যেই একটা প্লেন ছিল, যার পাইলট ছিলেন হ্যারল্ড।
-
- আর এই প্লেনে হ্যারোল্ডের সাথে ছিল, রেডিওম্যান জীন । ও তার সাথে বোম্বাডিয়ান টনি।
- যখন এরা তিনজন সাউথ পেসেফিক থেকে ফিরতে থাকে, তখন পাইলট হ্যারল্ড তার পথ ভুলে যায়।
- আর তার সাথেই তাদের প্লেনের ফিউল- (জ্বালানি) হঠাত করেই শেষ হয়ে যায়।
- জীন রেডিওতে সম্পর্ক করার চেষ্টা করে, যাতে তারা পথ খুজে পায়!- কিন্তু এরা আমেরিকার রেঞ্জের বাইরে চলে আসে, তাই এদের রেডিওতে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয় ।
- হ্যারল্ড বুঝে যায় যে তাদের এখন Emergency Landing করতে হবে। কারণ তাদের প্লেনের সমস্ত জ্বালানি শেষ।
- তাই তাদের অনিচ্ছা সত্বেও হ্যারল্ডকে সমুদ্রের মাঝেই প্লেন ল্যান্ড করতে হয়।
- প্লেন ল্যান্ডিং এর পর হ্যারল্ড সবার প্রথমে বাইরে আসতে পারে। কিন্তু টনি ও জীন এর সিট বেল্ট খুলতে অসুবিধা হচ্ছিল!- তাই তারা দুজনে প্লেনের সাথেই ডুবতে শুরু করে।
- কিন্তু শেষমেশ এদের সিটবেল্ট খুলে যায়।
- আর এরা দুজনে প্লেনের বাইরে বেরোতে সক্ষম হয়।
- এরা তিনজন প্লেন থেকে কিছুই বের করার সময় পায়না।
- কিন্তু হ্যারল্ড সময় মতো তার এয়ারবোট বের করে ফেলে।
- যার জন্য এরা তিনজন সেই এয়ারবোটের উপরে উঠে পরে। আর এইজন্যই তাদের প্রান রক্ষা পায়।
- কিন্তু এদের কাছে এয়ারবোট থাকলেও, এদের কাছে না ছিল খাবার জল, আর না ছিল কোনো খাবার।
- আর অসমাপ্ত সমুদ্রে এভাবেই এদের প্রথম রাত কেটে যায়।
- পরদিন হ্যারল্ড, টনি ও জীনকে বলে যে খুব তাড়াতাড়ি তাদের জন্য সাহায্যে পাঠানো হবে।
- কারণ এতক্ষণে হয়তো আমেরিকান আর্মি তাদের অবস্থা সম্পর্কে বুঝে গেছে।
- পরদিন ঠিক তাই হয়। তাদেরকে উদ্ধার করার জন্য একটি প্লেন পাঠানো হয়। কিন্তু সেই প্লেন টা তাদের থেকে এত দুরে থাকে যে হ্যারল্ডদের এয়ারবোট দেখতেই পায়না। কারণ হ্যারল্ড, জীন ও টনি যেই এয়ারবোটে ছিল, সেটা এতটাই ছোট যে সেটা ওপর থেকে দেখাই যাচ্ছিল না।
- তাই সেই প্লেনটি ফিরে যায় ।
- প্লেনটিকে ফিরে যেতে এরা তিনজনই হতাশ হয়ে পরে।
- কারণ এই প্লেনটিই ছিল একমাএ উপায়, যার মাধ্যমে এরা এখান থেকে বেরোতে পারতো।
- কিন্তু সেই প্লেনটিও চলে যায় ।
- হ্যারল্ড বুঝে যায়, যে সেই প্লেনটি আর কখনোই এখানে ফিরে আসবে না। কারণ সে একবার খুজতে এসেছিল, কিন্তু সে হ্যারল্ডদের এয়ারবোট -খুজেই পাইনি! তাই এই আশা করা একদম ই বেকার যে সেই প্লেনটি আর কখনোই সেখানে ফিরে আসবে না! - যেখানে হ্যারল্ড, টনি ও জীন রয়েছে।
- আর হ্যারল্ড এরপর বুঝে যায়, যে তাদের এই যাএা খুব ই লম্বা হতে চলেছে।
- আর এদের এই যাএায় না আছে কোনো খাবার! আর না আছে কোনো পানীয় জল।
- কিন্তু এদের কাছে এসব কিছু না থাকাতেও এরা সমুদ্রে টিকে ছিল।
- এরা সমুদ্রের মাছকে তাদের খাবার হিসেবে বেছে নিয়েছিল। এরা কাচা মাছ খেয়েই নিজেদের খিদে মিটিয়ে ছিল।
- তাদের কাছে পানীয় জলও ছিল না! কিন্তু এরা বৃষ্টির জলের জন্যই বেচে ছিল।
- এরা হয়তো দিনের পর পর দিন না খেয়ে ছিল!, হয়তো এদের পানীয় জলের জলের জন্যেও লড়াই করতে হয়েছিল।।
- কিন্তু এত কিছুর পরও এরা হেরে যায়নি।
- এরা প্রায় 34 দিন পরে মাটিতে ফিরতে পেরেছিল।
- এই গল্প থেকে আমরা এটাই শিখতে পারি, যে জীবনে কখনোই আমাদের আশা ছাড়তে নেই।
- কারণ এই গল্পে এই তিনজন, এমন এক জায়গায় ছিল, যেখান থেকে হয়তো বেচে ফেরা মুশকিল ছিল! কিন্তু এরা এটা জানা সত্বেও কখনোই এরা তাদের আশা ছেড়ে দেয়নি! আর তাই এরা বেচে ফেরার কথা ভাবতে পেরেছিল।
-
এদের জায়গায় অন্য কেউ থাকলে হয়তো তাদের মধ্যে এই আশা টা থাকতো না।
কিন্তু এদের মধ্যে সেই আশাটা ছিল! - যার জন্য এরা এরকম পরিস্থিতি থেকেও বেচে ফিরতে পেরেছিল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন