I Saw The Devil


Bangla Thriller Stories



-ধরুন আপনি কাউকে ভালোবাসেন! তার সাথে আপনার বিয়ে ঠিক হয়েগেছে! আপনি তাকে নিয়ে আপনাদের ভবিষ্যতের কথা ভাবছেন।
কিন্তু আপনাদের স্বপ্ন সত্যি হওয়ার আগেই,  কেউ একজন আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে খুন করে ফেলল! তাহলে আপনি তার সাথে কি করবেন? 
হয়তো আপনি তাকে নরকের থেকেও বেশী শাস্তি দিয়ে মারতে চাইবেন... 
নয়তো বা আপনি তার এমন অবস্থা করবেন, যার যন্ত্রণা সে সারাজীবন ভোগ করবে।
কেউ চায়না যে কারোর সাথে এরকম হোক! কিন্ত 
 যার সাথে এরকম হয়ে যায়! সে কিভাবে তার বদলা -নেয়, সেটাই আপনি এই গল্পে জানতে পারবেন। 


- কাহিনীর  শুরু হয় এক  রাত থেকে। যখন একটি মেয়ে গাড়ি নিয়ে যেতে থাকে, তখন হটাৎ করেই তার গাড়ি খারাপ হয়ে পরে। মেয়েটি গাড়িতে একাই ছিল। তাই স্বাভাবিক তার ভয় হওয়াটা স্বাভাবিক। মেয়েটি তার ফিয়ন্সে, " কিমসুর "কাছে কল করে তার অবস্থার কথা বলে। কিমসু তার কাজে ব্যস্ত থাকে, তাই তার পক্ষে সাহায্যে করতে আশা সম্ভব ছিলনা। তাই মেয়েটিকে কিমসুর আসার অপেক্ষা করতে হয়। 
- তখন সেখানে একটি স্কুল ভ্যান এসে থামে। স্কুল ভ্যান থেকে একটি লোক নেমে মেয়েটির কাছে যায়। লোকটি মেয়েটির কাছে তার দাঁড়িয়ে থাকার কথা জানতে চায়। মেয়েটি তাকে তার গাড়ি খারাপের কথা বলে। মেয়েটি লোকটিকে এও বলে, যে তার কোনো সাহায্যে দরকার নেই। ওদিকে কিমসু মেয়েটিকে সেই লোকটির থেকে দুরে থাকার কথা বলে। তাই মেয়েটি লোকটিকে যেতে বলে।
- লোকটি মেয়েটির থেকে দুরে চলে যায় ঠিকই.. কিন্তু হটাৎ করেই লোকটি মেয়েটির গাড়ি কাছে চলে আসে। আর মুহুর্তের মধ্যেই লোকটি, মেয়েটির গাড়ির কাচ ভেঙ্গে ফেলে! তার সাথে মেয়েটির মাথায় আঘাত করে! এবং এরপর সেই লোকটি মেয়েটিকে তার সাথে নিয়ে যায়... 
- এরপর যখন মেয়েটির চোখ খোলে, তখন মেয়েটি তার সামনে সেই লোকটিকে দেখতে পায়। 
- মেয়েটি বুঝে যায়, যে লোকটি তাকে এখন মেরে ফেলবে... মেয়েটি লোকটির কাছে তার প্রানের ভিক্ষে চায়! মেয়েটি তাকে এও বলে, যে তার পেটে বাচ্চা আছে! তাকে যেন না মারে... 
- কিন্তু লোকটি একজন সাইকো! তার কাছে কারোর আবেগ, কষ্ট, বা প্রানের কোনো দাম নেই!..
- লোকটি মেয়েটির কোনো কথাই শোনেনা.. 
- আর এরপর মেয়েটিকে খুব বাজে ভাবে পশুর মত কেটে ফেলে.... 


- কয়েকদিন পর মেয়েটির মৃত দেহের বিভিন্ন অংশ খুজে পাওয়া যায়। এখানে মেয়েটির বাবা ও তার ফিয়ন্সেও আসে। মেয়েটির বাবা একজন Detective। সে সারাজীবন অনেক খুনের ঘটনা দেখেছেন.. কিন্তু এটা কখনোই ভাবতে পারেননি, যে তার মেয়ের সাথে এরকম কিছু হতে পারে। 
- এখানে সেই কিমসুও আসে, যার সাথে মেয়েটির বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কিমসু তার হবু স্ত্রীর মৃত্যুতে পুরোপুরি ভেঙ্গে পরে। কিন্তু কিমসু একদম শান্ত হয়ে যায়। এটা সেই অবস্থা, যেমন  ঝড় আসার  আগে পরিবেশ শান্ত থাকে। 
- কিমসু মনে মনে এটা ঠিক করে নেয় - যে তার সাথে এমন একটা কাজ করলো! তাকে সে একই রকম যন্ত্রণার সাথে মারবে।

-  কিমসু এরপর তার কাজ থেকে দুই সপ্তাহের জন্য ছুটি নেয়। কিমসু যেখানে কাজ করে, সেখানে তার এক বন্ধু কিমসুকে একটি ক্যাপসুল দেয়। এটা এমন একটা ক্যাপসুল, যেটা যার শরীরে থাকবে, তার সব কিছুর অবস্থা জানতে পারা যাবে। সে  কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে কথা বলছে, এবং কোথায় যাচ্ছে! এসব কিছুই সেই ক্যাপসুলের সাহায্য জানতে পারা যাবে। 
-  কিমসু সেই ক্যাপসুলট নিয়ে বেরিয়ে যায়। 
-  জ্যাংগুই এর বাবা, বা যেই মেয়েটির খুন হয়েছে, তার বাবা কিমসুকে এমন চারজন সাইকো কিলারের সম্পর্কে বলে, যাদের ওপর তাদের সন্দেহ আছে। আসলে এসব সাইকো কিলার আগেও এরকম ঘটনা ঘটিয়েছিল। 
-  কিমসু সেই সাইকো কিলারদের ডিটেইলস নিয়ে তাদের খুজতে শুরু করে। কিমসু প্রথম দুজন সাইকো কিলারকে ধরে তাদের ওপর প্রচুর অত্যাচার করে! কিন্তু তারা নির্দোষ ছিল.. তাই কিমসুকে প্রথম দুজনকে ছেড়ে দিতে হয়। 
-  যখন কিমসু তৃতীয় ও সবচাইতে সন্দেহ জনক কিলারের সন্ধানে তার বাড়িতে যায়, তখন কিমসু জানতে পারে, সে তার পরিবারকে অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছে ।  কিন্তু কিমসু যখন তার ছোট ছেলেকে তার বাবার কথা জিগ্যেস করে, তখন সেই ছেলেটা তার বাবার ঘর দেখিয়ে দেয়। কিমসু সেই ঘরটা তল্লাশি করতে শুরু করে। আর এখানে কিমসু সেই আংটি টি খুজে পায়! যেটা সে তার ফিয়ান্সেকে গিফট করেছিল।  আর এরপর কিমসু বুঝে যায়! যে জ্যাং ই হল তার ফিয়ান্সের খুনি। আর এরপর কিমসুর মনের আগুনে পেট্রোল পরে! যার জন্য এই আগুন এক ভয়ানক রুপ ধারণ করে। 

-  কিমসু জ্যাংকে ধরার জন্য অনেক বার চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু জ্যাং এমন একজন সাইকো কিলার, যে কখনোই একটি শিকারকে ধরে বসে থাকে না। জ্যাং যাকে টার্গেট করে, তাকেই মেরেই দম নেয়। 
-  কিন্তু বহু খোজের পরে কিমসুর ভাগ্য তার সাথ দেয়। 
-  কিমসু অনেকদিন থেকে জ্যাং এর বাড়িতে নজর রাখছিল। কিন্তু জ্যাং সেখানে অনেকদিন থেকে আসছিল না। কিন্তু হঠাৎ একদিন, জ্যাং একটি মেয়েকে কিডন্যাপ করে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। 
-  যখন জ্যাং মেয়েটির সাথে খারাপ কিছু করার চেষ্টা করছিল, তখনই সেখানে কিমসু চলে আসে। 
-  
-  কিমসু জ্যাংকে তার নাম ধরে ডাক দেয়। কিমসুর আওয়াজ শুনে জ্যাং বাইরে আসে। জ্যাং কিমসুকে জিগ্যেস করে যে কিমসু পুলিশের লোক কিনা.. 
-  কিন্তু কিমসু কোনো উওর দেয়না.. 
-  জ্যাং কিমসুর দিকে দৌড়ে যায়! -জ্যাং কিমসুকে মারার চেষ্টা করে.. 
-  কিন্তু কিমসু খুব ফিট ও শক্তিশালী ছেলে। জ্যাং তাকে কিছু করার আগেই কিমসু জ্যাং এর অবস্থা খারাপ করে দেয়। কিমসু জ্যাংকে খুব খারাপ ভাবে মারে। কিমসু সেই সব মুহুর্ত গুলো Enjoy করছিল, যখন সে জ্যাং কে শাস্তি ব্যথা দিচ্ছিল। 
-  কিমসু জ্যাং কে এত খারাপ ভাবে মারে, যে জ্যাং অজ্ঞান হয়ে পরে। কিমসু জ্যাংকে এখানেই মেরে ফেলতে চায়। কিন্তু তার মাথায় জ্যাংকে আরও বেশি কষ্ট দিয়ে মারার ইচ্ছে জাগে। আর এজন্যই কিমসু তার সেই ক্যাপসুল টা জ্যাংএর মুখের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়। আর এরপর জ্যাংকে ছেড়ে দেয়। 
-  জ্যাং এর যখন তখন সে তার এরকম অবস্থা দেখে ভাবতে শুরু, যে কে তাকে এভাবে মারতে পারে। 
-  জ্যাং হয়তো ভেবেছিল এখানেই সব শেষ। কিন্তু এটা জ্যাং এর জীবনের সেইসব কষ্টের শুরু ছিল! যা সে অন্য লোকেদের দিয়েছিল। জ্যাং একজন সাইকো কিলার! তাই সে মানুষকে যত কষ্ট দিয়ে মারতে পারে, সেটা সে ততটাই উপভোগ করে। 
- জ্যাং  যখন হাসপাতালে তার ট্রিটমেন্ট করাতে যায়, তখন জ্যাং সেখানে একজন নার্সের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করে। আর তখনই সেখানে কিমসু চলে আসে। আর এরপর কিমসু আবার জ্যাংকে খুব খারাপ ভাবে মারতে শুরু করে। কিমসু জ্যাংকে এতটাই কষ্ট দেয়! যা জ্যাং নিজেও কাউকে দেয়নি। কিমসু জ্যাংকে মারতে মারতে অজ্ঞান করে ফেলে। আর এরপর কিমসু সেখান থেকে চলে যায়। 
- জ্যাং এর যখন চোখ খোলে, তখন সে আবারও নিজের এরকম অবস্থা দেখে ভাবতে শুরু করে, যে কে তার সাথে এরকম করছে। 
- যখন জ্যাং তার এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে এসব বলে। তখন তার বন্ধু তাকে এটা বলে, যে এমন কেউ তার সাথে এরকম করছে, যার পরিবারের কাউকে জত্যাং  মেরেছে। সে হয়তো তার পরিবারের কেউ। যে জ্যাং এর থেকে তার বদলা নিচ্ছে। জ্যাং যখন এসব ভাবতে থাকে। তখন সেখানে কিমসু চলে আসে। আর এরপর কিমসু আবারও জ্যাংকে খুব খারাপ ভাবে মারতে শুরু করে। শুধু জ্যাংকে নয়! কিমসু তার সেই সাইকো বন্ধুকেও খুব খারাপ ভাবে মারে। 
- আর যখন এদের অবস্থা একদমই খারাপ হয়ে যায়, তখন কিমসু এদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। 
- কিন্তু এখানেই কিমসু ভুল করে। কিমসু জ্যাংকে আরও শাস্তি দিয়ে মারতে চেয়েছিল! কিন্তু এখানে জ্যাং এই কথাটা জানতে পেরে যায়, যে কিমসু তার শরীরে ট্রান্সমিটার লাগিয়ে রেখেছে। 

- যখন কিমসু জ্যাংকে আবার ছেড়ে দেয়, তখন জ্যাং সব বুঝতে পারে, যে তাকে কেন কিমসু মারছে। জ্যাং এর কাছে এটা পরিস্কার ছিল, যে জ্যাংগুই হল সেই মেয়ে, যাকে জ্যাং মেরেছিল! আর কিমসু তার বদলাই নিচ্ছে। 
- জ্যাং এরপর কিমসু কে কল করে সেই সব কথা বলে, যা সে তার ফিয়ান্সের সাথে  করেছিল। 
- জ্যাং এরপর এটাও বলে, -যে কিমসুর ফিয়ান্সে প্রেগনেন্ট ছিল! কিন্তু জ্যাং তবু তাকে মেরে ফেলেছে। 
- জ্যাং এর কথায় কিমসু আরও ভেঙ্গে পরে। কারণ সে এটা জানতো না যে তার ফিয়ান্সে প্রেগনেন্ট ছিল। যদি সে এটা জানতো, তাহলে কিমসু জ্যাংকে আগেই মেরে ফেলতো।

- এরপর জ্যাং কিমসুর থেকে তার মারের বদলা নেওয়ার জন্য, জ্যাংগুই এর মা ও বোনকে মেরে ফেলে। আর এরপর সে নিজেকে পুলিশের কাছে ধরা দিতে চেয়েছিল। কারণ যদি সে পুলিশের কাছে ধরা দেয়, তাহলে কিমসু তাকে আর মারতে পারবে না! আর কিমসু সারাজীবন এটা ভেবেই আপসোস করবে! যে সে প্রথমেই কেন জ্যাংকে মেরে ফেললো না! 
- কিন্তু যখন জ্যাং পুলিশের কাছে ধরা দিতে যায়, ঠিক তখনই কিমসু সেখানে চলে আসে! আর জ্যাংকে তার সাথে এমন একটি জায়গায় নিয়ে যায়, যেখানে পুলিশ তাদের হাতের বাইরে। 
- জ্যাং এর এটাই ছিল শেষদিন। 
- কিমসু জ্যাংকে এমন এক মৃত্যু দিতে চাইছিল, যেটা দেখে জ্যাংএর মত সাইকো কিলারও ভয়ে কেপে উঠবে। 
- কিমসু তার গলার উপরে একটি বড়ো ব্লেড বেধে দেয়। আর সেই ব্লেডের সাথে একটি বড়ো দড়ি।
-কিমসু দড়িটা  দরজার সাথে এমন ভাবে আটকায় যে যখনই কেউ দরজা খুলবে! তখনই সেই দড়িতে টান পরবে! আর জ্যাংএর মাথার ওপরের ব্লেড টা জ্যাংএর গলার ওপর পরবে।  
- আর এরকম অবস্থা করে, কিমসু সেখান থেকে চলে যায়। কিন্তু জ্যাংএর পরিবার, জ্যাং এর এই অবস্থা দেখে ফেলে। তারা তাদের জ্যাংকে বাচানোর জন্য ঘরের দরজা খুলে ঘরে ঢুকতে চায়! কিন্তু যখনই জ্যাং ওর বাবা সেই দরজা খোলে! তখনই সেই ব্লেডটি খুলে যায়! আর সেটা সোজা জ্যাং এর গলার ওপর এসে পরে। আর এভাবে জ্যাং এর  মৃত্যু ঘটে। 
- কিমসু জ্যাং এর এইসব কিছু একটি ট্রান্সমিটারের সাহায্য শুনেছিল। কিমসু আজ তার বদলা নিয়েছে।
-কিমসু জ্যাংকে এমন শাস্তি দিয়েছে! যা জ্যাং তার স্ত্রীকে দিয়েছেল। 
-আর এখানেই  এই কাহিনীর সমাপ্তি ঘটে। 

 



 







Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন