Flight Of The Phoenix 

এই গল্পটি একটি সত্য ঘটনা থেকে নেওয়া। যা "Flight O f The Phoenix " সিনেমায় তুলে ধরা হয়েছে। 
আজকে আমি সেই গল্পের প্রধান কিছু অংশ আপনাদের জন্য লিখছি। 
আমি যেই অংশ গুলো বাদ দিয়েছি, তা আপনি এই মুভিটা থেকে দেখে নিতে পারেন।।
- গল্পের শুরু হয় এমন কয়েকজনকে দিয়ে - যারা একটি কোম্পানির হয়ে মোঙ্গোলিয়া ( Mongolia) এর মরুভুমিতে তেলের খোজে এসেছে। কিন্তু তাদের কোম্পানির দেওয়া Information ভুল থাকে! - যার জন্য তারা এখানে কোনো তেলর সন্ধান পায়না। 
এজন্য এদেরকে ফিরে যেতে হবে।
- এদের নিয়ে যাওয়ার জন্য, এদের কোম্পানি থেকে একটি প্লেন পাঠানো হয়। এই প্লেনের  পাইলট এর নাম থাকে ফ্র্যাঙ্ক। এবং তার সাথে থাকে তার কোপাইলট। 
- ফ্র্যাঙ্ক তার প্লেন নিয়ে সেখানে চলে আসে, যেখানে থেকে সবাইকে নিয়ে বেজিং যেতে হবে। 
- এখানে সবাই তাদের সমস্ত জিনিসপত্র প্লেনের মধ্যে তুলে নেয়। আর এরপর এরা এখান থেকে বেজিংএর জন্য বেরিয়ে যায়। 
- কিন্তু এদের এই সফর এতটা সোজা হয়না। যখন এদের প্লেন মরুভুমির উপর দিয়ে যেতে থাকে, তখন হটাৎ করেই বালির ঝড় শুরু হয়। মরুভুমির বালির ঝড় খুবই ভয়ংকর হয় ! এতে প্রায় সবকিছুই ঢেকে যায়। 
- যখন এদের প্লেন বালির ঝড়ের কবলে পরে, - তখন ফ্র্যাঙ্ক ও তার কোপাইলটের প্লেন কন্ট্রোল করতে অসুবিধা হতে শুরু করে।  এদের প্লেন বালির জন্য ওভারলোডেড হয়ে পরে। 
- ফ্র্যাঙ্ক এর সামনে এতটা বালি চলে আসে, - যে তার সামনে সব কিছুই অন্ধকার হয়ে যায়। 
- ফ্র্যাঙ্ক এর কোপাইলট তাকে জিগ্গেস করে যে এখন তাদের কি করতে হবে? 
- ফ্র্যাঙ্ক তাকে Emergency  Landing করতে বলে! কারণ এ ছাড়া তাদের কাছে আর কোনো রাস্তা নেই। 
- কিন্তু মরুভুমির এই বালির ঝড়ের মধ্যে,  ফ্র্যাঙ্ক ও তার কোপাইলটের Emergency Landing এও অসুবিধা হতে থাকে। তাদের সামনে এতটা বালি ঢুকে পরে যে তারা কিছুই দেখতে পাচ্ছিল না। 
- কিন্তু তবুও ফ্র্যাঙ্ক প্লেনটি Emergency Landing করতে শুরু করে । কিন্তু যখন ফ্র্যাঙ্ক Emergency Landing করাতে থাকে, তখন তাদের প্লেনের পেছনের অংশ একটা পাথরের সাথে ধাক্কা লাগে। আর এই ধাক্কায় তাদের প্লেনের পেছনের অংশটা ভেঙ্গে আলাদা হয়ে যায়। আর সেই ভাঙা অংশ দিয়ে এদের একজন লোক বাইরে বেরিয়ে যায়! আর সেই ব্যক্তি পাথরের ওপর পরে গিয়ে মারা যায়। 
- আর ফ্র্যাঙ্ক কোনোরকমে তার প্লেনটি ল্যান্ড করে। 
- কিন্তু এখনো তারা বাইরে বেরোতে পারছিল না, কারণ এখনো বাইরে বালির ঝড় চলছিল।
- যখন বালির ঝড় থেমে যায় তখন এরা সবাই প্লেনের বাইরে বেরিয়ে আসে। 
- বাইরে এসে এরা দেখতে পায় যে এদের আরও দুজন লোক মারা গেছে। এদের মৃত্যু হয়েছে প্লেনের সেই ধাক্কাতেই - যেটা পাথরের সাথে লেগেছিল। 
- এরা সবাই সব জিনিসপত্র বের করে দেখে যে এদের সবার কাছে যতটা জল ও খাবার আছে, তা দিয়ে এদের 1 মাস কেটে যাবে। 
- কিন্তু এই 1 মাসের মধ্যে মরুভুমিতে এদের সাথে যা ইচ্ছে হতে পারে। 
- এরকম বালির ঝড় হয়তো আবারও আসবে! আর সেই ঝড়ে এদের আবারও কোনো ক্ষতি হতে পারে। 
- এরা এখন ঠিক  কোথায় আছে তা এরা জানে না। 
- হয়তো এরা এখন চিনে সীমানায় রয়েছে। কিন্তু এখান থেকে বেরোনো বা পায়ে হেঁটে এগিয়ে যাওয়া মৃত্যুর সমান। 
- এদের মধ্যে একজন বলে যে সে এখান থেকে পায়ে হেঁটেই এগিয়ে যাবে, কারণ তার কাছে  এসবের অভিজ্ঞতা আছে।
- কিন্তু - ফ্র্যাঙ্ক তাকে এটা করতে না করে। কারণ এটা এমন একটি মরুভুমি, যা শেষ বা  শুরু কোথায় তা কেউ জানে না! আর এখান থেকে কতদুরেই বা মানুষের দেখা তাও কারোর জানা নেই। 
- এদের মধ্যে একজন মেয়ে ফ্র্যাঙ্ককে জিগ্গেস করে যে তাদের কেউ  সাহায্যে করতে আসবে কিনা?
- ফ্র্যাঙ্ক তাকে বলে যে তার সম্ভাবনা 5% এর থেকেও কম। 
- কারণ এদের এই অবস্থার কথা কেউ ই জানে না।
- আর যদিও কেউ তাদের সাহায্যের জন্য আসে, তাহলেও এদের খুজে পাওয়াটাই মুশকিল যে এরা আসলে কোন জায়গায় আছে। 
- ফ্র্যাঙ্ক এর কথায় এটা পরিস্কার হয়ে যায় যে কেউ তাদের সাহায্য করতে আসবে না! 
- তাই এরা যদি এখান থেকে বেরোতে চায়, তাহলে এদের নিজেদের ই বেরোনোর চেষ্টা করতে হবে। 
- তাও আবার সম্পূর্ণ নিজেদের চেষ্টায়। 
- এদের মধ্যে প্রথমেই একজন প্লেন থেকে পরে গিয়ে মারা যায়। দুজন মারা যায় সেই পাথরের ধাক্কাতেই! আর আরও একজন মারা যায় বালির ঝড়ে নিখোঁজ হয়ে। 
- ফ্যাঙ্ক ও বাকি সবাই এটা বুঝতে পারে যে তাদের কাছে বেশি জল নেই! তাই তাদের এখান থেকে তাড়াতাড়ি বেরোতে হবে। কিন্তু এখান থেকে বেরোনো এতটাও সহজ না যতটা মনেহয়। 
- মরুভুমিতে প্রতিটা পদক্ষেপেই বিপদ লুকিয়ে থাকে। মরুভুমির মধ্যে সবচাইতে বড়ো বিপদ হল জলের সংকট। মরুভুমিতে মানুষ না খেয়ে অনেকদিন থাকতে পারে!, কিন্তু  জল ছাড়া দুদিনের বেশি থাকাটাই কষ্টকর। 
- এদের মধ্যে একজন ছেলে - যার নাম "এলিয়েট " - তার  মাথায় বুদ্ধি আসে যে এরা সবাই মিলে এদের ভাঙা প্লেনকে আবার নতুন করে বানাবে। কারণ এ ছাড়া তাদের কাছে কোনো রাস্তা নেই। যদি কোনো কিছু এদের এখান থেকে কিছু বের করতে পারে! তাহলে সেটা হল এদের এই প্লেন! - যা এখন পুরোপুরি ভাবে খারাপ হয়ে গেছে। 
- এলিয়ট এদের সবাইকে বলে যে সে আগে প্লেন ডিজাইনের কাজ করতো। কিন্তু কেউ এলিয়ট সম্পর্কে কিছুই জানতো না যে সে এসব করতে পারে। এলিয়েটের কথায় সবার মনে এক নতুন আশা জন্ম নেয়। ফ্র্যাঙ্ক প্রথমে এলিয়েটের কথায় বিশ্বাস করে না! কারণ তার মতে এটা সম্ভব নয়। 
- কিন্তু পরে সবার কথায় ফ্র্যাঙ্ক এলিয়েটের কথায় রাজি হয়। 
- আর এরপর এরা সবাই মিলে এলিয়েটের সাথে কাজে লেগে পরে।
- এরা সেই ভাঙা প্লেনটাকে আবার নতুন ভাবে গড়তে শুরু করে দেয়। 
- এরা সবাই মিলে দিনরাত কাজ করতে থাকে। 
- এরা অনেকদিন এভাবে কাজ করতে করতে এক নতুন মডেল তৈরি করে ফেলে। 
- যেই প্লেনটি ফ্র্যাঙ্ক এনেছিল, সেটাই ডিজাইন বা সাইজের থেকে এদের বানানো প্লেনের ডিজাইন ও সাইজ সম্পূর্ণ আলাদা হয়। 
- যখন  এদের প্লেনের কাজ শেষ হয়ে যায়, তখন ফ্র্যাঙ্ক একটি ম্যাগাজিন দেখতে পায় যেখানে বাচ্চাদের রিমোট কন্ট্রোন প্লেনের অনেক ডিজাইন ছিল। 
- আর এটা দেখে ফ্র্যাঙ্ক বুঝে যায় যে এলিয়ট যা বলছিল, যে সে প্লেন ডিজাইনের কাজ করতো! সেটা আসলে বাচ্চাদের প্লেনের কাজ ছিল। 
- আর এজন্য এলিয়টের ওপর সবাই রেগে যায়। 
- একজন তাকে মারতেও চায়! কিন্তু ফ্র্যাঙ্ক তাকে থামিয়ে দেয়। 
- সবাই এখন এটাই ভাবতে শুরু করে যে এলিয়টের বানানো প্লেন কখনোই আকাশে উড়তে পারবে না! আর তারা কেউই এখান থেকে বেরোতে পারবে না। 
- কিন্তু এলিয়ট সবাইকে বলে যে তাদের বানানো প্লেন নিশ্চয়ই আকাশে উড়বে। 
- আর এলিয়ট এর এই কথা তখন প্রমান হয়, যখন  তাদের বানানো প্লেন আবার এক বালির ঝড়ে নরতে শুরু করে। আর এটা দেখে সবাই বুঝে যায় যে তাদের বানানো প্লেন সত্যি আকাশে উড়তে পারবে। 
- আর এরপর এলিয়ট ও বাকি সবার মিলে বানানো প্লেনে সবাই বসে পরে। 
- এখানে শুধুমাত্র ফ্র্যাঙ্ক প্লেনের ভেতরে বসে, কারণ তাছাড়া বাকি সবাইকে প্লেনের বাইরে ধরে থাকতে হত! প্লেনের জায়গা এতটাই কম য ভেতরে শুধুমাত্র একজন বসতে পারতো। 
- আর তাদের এই প্লেনে করেই ফ্র্যাঙ্ক পাইলট এই সবাইকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে।
 
 
 
 
 
              
            
  
 
 
 
 
إرسال تعليق