The Pianist - সিনেমার পুরো গল্পটির বাংলা অনুবাদ || The Pianist সিনেমার পুরো গল্পটা পড়ুন খুব সহজেই || বাংলায় সিনেমার গল্প।।
|
|
- The Pianist - মুভিটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়কালের কিছু ঘটনা নিয়ে তৈরী।
- এই সিনেমায় পোল্যান্ডয়ের লোকেদের বা জুয়িস লোকেদের ওপর জার্মান সৈনিকরা যেভাবে অত্যাচার করেছিল!- তার কিছুটা এই সিনেমার গল্পে রয়েছে।
- এই সিনেমায় প্রধানত ওয়ার্ডিক স্পিলম্যান নামক এক পিয়ানিস্টের কাহিনিকে তুলে ধরা হয়েছে।
- স্পিলম্যানকে বেচে থাকতে যে সংঘর্শ করতে হয়েছিল তা এই কাহিনির মুল অংশে রয়েছে।
- স্পিলম্যান ও তার পরিবার সহ সমস্ত জুয়িস মানুষের ওপর যে অকথ্য অত্যাচার করা হয়েছিল- তা এই কাহিনীর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
- এই কাহিনিতে আপনি সেটাই জানতে পারবেন যে স্পিলম্যানের সেই কাহিনি কতটা বেদনাদায়ক ছিল..
--------------- সংক্ষেপে সিনেমার গল্প --------------
- "The Pianist " - সিনেমার গল্পটা তৈরী হয়েছিল ওয়ার্ডিক স্পিলম্যানের কিছু ঘটনা নিয়ে। এর সাথে তার পরিবার, ও সেই সমস্ত জিয়ুস মানুষের কথায় এখানে তুলে ধরা হয়েছে, যাদের ওপর জার্মানির সৈন্যরা অত্যাচার করেছিল।
- The Pianist সিনেমার গল্পটা তৈরী হয়েছে 1939 খ্রিষ্টাব্দের - পোল্যান্ডের " Warsaw- নামক জায়গার মানুষদের কষ্টের কথা নিয়ে ।
-এই কাহিনিতে জিয়ুস মানুষের সেই কথা গুলো বলার চেষ্টা করা হয়েছে, - যা তাদের সাথে হয়েছিল।
- এখানে যে সমস্ত জিয়ুসদের সাথে এরকম অত্যাচার করা হয়েছিল - তাদের মধ্যে ওয়ার্ডিক স্পিলম্যান ও তার পরিবারও ছিল।
- স্পিলম্যান একজন পিয়ানিস্ট ছিলেন। তিনি খুব ভালো পিয়ানো বাজাতেন। যার জন্য তার কাজের অনেক নামডাক ছিল। প্রথম দিকে তিনি একটি রেডিওতে স্টেশনের হয়ে পিয়ানো বাজাতেন।
- কিন্তু হটাত করেই জার্মানির সৈনিকরা সেই সমস্ত রেডিও স্টেশন গুলো নষ্ট করে দেয়। যার জন্য স্পিলম্যানকে তার কাজ হারাতে হয়।
- যখন স্পিলম্যান রেডিওতে পিয়ানো বাজাতো - তখন তার সাথে একটি মেয়ের আলাপ হয় যার নাম -- "ডোরেট " ।
- ডোরেট স্পিলম্যানকে পছন্দ করতো । আর যখন ডোরেট প্রথমবার স্পিলম্যানের সাথে কথা বলার সুযোগ পায় তখন সেখানে জার্মানির সৈনিকরা আক্রমণ করে! যার জন্য এরা দুজনে প্রথমবার কথা বলার সময় পায় না! -
- আর প্রথম দেখার পরেও স্পিলম্যানকে তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফিরে আসতে হয়।
- বাড়িতে আসার পর স্পিলম্যান দেখে যে তার পরিবারের লোকেরা তাদের সমস্ত জিনিসপত্র গুছিয়ে নিচ্ছে। কারণ তখন তাদের শহরের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিল!- যার জন্য স্পিলম্যানের পরিবার তাদের শহর ছাড়তে চেয়েছিল।
- কিন্তু স্পিলম্যান তার শহর ছেড়ে যেতে রাজি হয়না। স্পিলম্যান বলে যে সে এই শহরেই বড়ো হয়েছে! - যদি তাকে মরতে হয় তাহলে এই শহরেই মরবে।
- যখন স্পিলম্যান এসব বলতে থাকে তখন রেডিওতে খবর শোনা যে -
- " গ্রেট ব্রিটেন জার্মানির কাছে সতর্ক বার্তা প্রেরন করে, - তখন জার্মানি তার কোনো জবাব দেয়না। তাই ফ্রান্স ও ব্রিটিশ জার্মানি বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে" -
- রেডিওতে এই খবর শোনার পর স্পিলম্যানের পুরো পরিবার খুশি হয়ে যায়। আর এরা কিছুটা ভয় মুক্ত হয়।
- কিন্তু ঠিক এর কয়েক মুহুর্ত পরেই জার্মানির সৈনিকরা সেখানে জড়ো হয়। আর জার্মানির সৈনিকরা এটা ঘোষণা করে যে কোনো জিয়ুস তার বাড়িতে 2 হাজার টাকার বেশি রাখতে পারবে না ।।
- আর তার সাথে প্রত্যেক জিয়ুসকে তার হাতের মধ্যে একটি কাপড় বাধতে হবে। যাতে এটা বোঝা যায় যে সেই ব্যক্তি জিয়ুস।
- আর এভাবেই জিয়ুসদের ওপর জার্মানদের অত্যাচারের প্রথম ধাপ শুরু হয়।
- জিয়ুসদের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে তাদের কোনো রেস্টুরেন্টে ঢুকতে দেওয়া হত না।
- বা কোনো পার্কে বসার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।
- বিভিন্ন জায়গায় লেখা থাকতো যে - এখানে কুকুর ও জিয়ুসদের প্রবেশ নিষেধ।।
- স্পিলম্যানের আরও একবার ডোরেটের সাথে দেখা হয়। কিন্তু স্পিলম্যান সেখানে বেশি কথা বলতে পারেনা। তাকে বাধ্য হয়েই বাড়িতে ফিরতে হয়।
- যদিও স্পিলম্যানও ডোরেটকে পছন্দ করে!- তবুও স্পিলম্যান তার মনের কথা তার সামনে প্রকাশ করে না। কারণ জিয়ুস বা স্পিলম্যানের অবস্থা খুবই খারাপ! -
- ডোরেট যখন স্পিলম্যানকে দেখে তখন সে তার সাথে এককাপ কফি খাওয়ার কথা বলে। কিন্তু স্পিলম্যান তাকে তার অবস্থার কথা বলে - যে তাদের অবস্থা এতই খারাপ যে সে তার সাথে নাতো কোনো রেস্টুরেন্টে বসতে পারবে!- আর নাতো পার্কের বেঞ্চে বসে তার কথা বলতে পারবে।
- তাই ডোরেট আর স্পিলম্যানকে রাস্তায় দাড়িয়ে দাড়িয়েই কথা বলতে হয়।।
- এর কিছুদিন পর জার্মান সৈনিকরা আরও একটি ঘোষণা করে যে সমস্ত জিয়ুস লোকেদের তাদের ঘর ছাড়তে হবে। আর তাদের আলাদা একটি জায়গায় গিয়ে থাকতে হবে। যেখানে সব জিয়ুস লোকেদের জন্য আলাদা আলাদা জায়গা আছে।
- জার্মান সৈনিকদের এই আদেশর জন্য বাকি সব জিয়ুস লোকেদের মত স্পিলম্যানকেও তার পরিবারের সাথে তাদের স্বপ্নের বাড়ি ছাড়তে হয়।
- এরপর জার্মান সৈনিকরা তাদের সাথে সমস্ত জিয়ুস লোকেদের অন্য একটি জায়গায় নিয়ে আসে।
-
এখানে স্পিলম্যানের পরিবারের জন্য একটি বাড়ি ঘর দেওয়া হয় - যেটা খুবই ছোট!
কিন্তু স্পিলম্যানের পরিবার সেই ঘরেই নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।।। - স্পিলম্যানের পরিবারে তার মা, দুই বোন, দাদা ও তার বাবা আছে।
কিন্তু পরিবারের কারোর কাছে কোনো কাজ নেই।
যেহুতু জার্মান সৈনিকরা সমস্ত রেডিও স্টেশন নষ্ট করে দিয়েছিল! তাই স্পিলম্যানকেও তার কাজ হারতে হয়েছিল।
- কিন্তু স্পিলম্যানের অনেক নাম ডাক থাকায় সে আবার একটি জায়গায় তার কাজ পেয়ে যায়।
- জার্মান সৈনিকরা যেখানে সমস্ত জিয়ুস লোকেদের এনে রেখেছিল!- সেখানে একটি দেওয়াল তুলে দেওয়া হয়। যাতে বাইরে থেকে কেউ ভেতরে না আসতে পারে। আর সেই জায়গা থেকে কোনো জিয়ুস বাইরে পালাতে না পারে।
- যেখানে শহরের সমস্ত জিয়ুস লোকেদের রাখা হয় - সেখানে কারোর কাছে কোনো কাজ ছিলনা। সবাই নিজের জীবন বাচানোর চেষ্টায় ছিল।
- মানুষ খিদের জ্বালায় মারা যাচ্ছিল! কিন্তু এমন কেউই ছিলনা!- যে একজন অন্য আরেকজনকে সাহায্যে করবে।
- কারন সবার অবস্থা একই ছিল।।
- এভাবে দিনের পর জিয়ুসদের অবস্থা খারাপের থেকেও খারাপের দিকে যেতে থাকে।
- মানুষ যেখানে সেখানে মরে পরে থাকতো। কিন্তু কারোর কিচ্ছু করার উপায় ছিলনা।
- এমনিতেই জিয়ুসদের কোনো কাজের জায়গা ছিল না! তার ওপর জার্মান সৈনিকরা তাদের ওপর বিনা কারণেই অত্যাচার করতো। যার জন্য জিয়ুসদের মৃতের সংখ্যা দিনের পর দিন বাড়তেই থাকে।
-
- এরপর জার্মানির সৈনিকরা এই ঘোষনা করে যে প্রত্যেক জিয়ুসকে তার পরিবারের সাথে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। অর্থাত যেখানে এদের কাজ করানো হবে।
-
- আর 16 আগস্ট 1942 খ্রিষ্টাব্দের জার্মানির সৈনিকরা সমস্ত জিয়ুস মানুষের একটি যায়গায় নিয়ে আসে।
- সেখানে আনার পর সমস্ত জিয়ুসদের একটি ট্রেনে ওঠানো হয়।
- কিন্তু সবাই উঠে গেলেও একজন পুলিশ স্পিলম্যানকে সরিয়ে নেয়! সে তাকে ট্রেনে উঠতে দেয়না। কারণ যারা ওই ট্রেনে যাবে -তারা আর কখনোই ফিরে আসবে না। তাদের প্রত্যেককে মেরে ফেলা হবে।
- সেই পুলিশ স্পিলম্যানকে এজন্যই বাচিয়ে ছিল - কারন সে স্পিলম্যানকে চেনে। তাই সে স্পিলম্যানের প্রান বাচায়।
- কিন্তু সে স্পিলম্যানের পরিবারের কাউকে বাচাতে পারেনা।
- সেই পুলিশটি স্পিলম্যানের প্রান বাচানোর পর স্পিলম্যান সেখান থেকে পালিয়ে যায়। কারণ সে জার্মান সৈনিকদের হাতে ধরা পরলে হয়তো তাকেও মেরে ফেলবে।। -
- স্পিলম্যান এখান থেকে পালিয়ে একটি সেখানে যায়- যেখানে সে আগে পিয়ানো বাজাতো।
- এখানে কোনো মানুষজন ছিলনা! - কারণ জার্মান সৈনিকরা বোমা মেরে সব কিছু ধংস করে দিয়েছিল।
- তাই সেখানে কারোর না থাকাটাই স্বাভাবিক।
- কিন্তু কেউ না থাকলেও স্পিলম্যানকে সেখানেই থাকতে হয়েছিল।
- তখন তা কাছে না ছিল খাবার আর না ছিল কাজ।
- স্পিলম্যানকে বার বার তার থাকার জায়গা বদলাতে হতো। কারণ যদি স্পিলম্যান জার্মান সৈনিকদের চোখে পরে যেত তাহলে তাকে মেরেই ফেলতো।
- স্পিলম্যানকে নিজের প্রান বাচাতে দিন মজুরের কাজও করতে হতো।
- যখন সে বার বার নিজের জায়গা বদলাচ্ছিল- তখন একবার এমন একজনের ঠিকানায় সাহায্য চাইতে যায়, যাকে সে ভালোবাসতো।
- মানে ডোরেট!!
- স্পিলম্যান ডোরেটকে ভালোবাসতো! কিন্তু এখন ডোরেটের বিয়ে হয়ে গেছে!- আর সে অন্যকারোর স্ত্রী। স্পিলম্যান ডোরেটের কাছে বেশিদিন থাকতে পারেনা।
- তাই তাকে আবার তার থাকার জায়গা বদলাতে হয়।
- সে এরপর এমন একটি জায়গায় আশ্রয় নেয় -যেখানে কেউ ছিলনা।
- স্পিলম্যান পুরো একা! না তার কাছে খাবার ছিল আর না তার কাছে ভালো জামাকাপড়। কিন্তু স্পিলম্যান সেভাবেই নিজেকে মানিয়ে নিতে শুরু করেছিল।
- স্পিলম্যানকে সবসময় জার্মান সৈনিকদের নজর এড়িয়ে চলতে হতো।
- কিন্তু স্পিলম্যান যেখানে লুকিয়ে ছিল সেখানে একদিন একজন জার্মান সৈনিক আসে - যে খুব ভালো মানুষ ছিলেন।
- তার জায়গায় অন্য কোনো সৈনিক থাকলে হয়তো স্পিলম্যানকে মেরে ফেলতো! কিন্তু সেই জার্মান সৈনিক স্পিলম্যানের কোনো ক্ষতি করেনি।
- বরং তার জন্যই স্পিলম্যান বেচে ছিল। সেই সৈনিক স্পিলম্যানের জন্য খাবার এনে দিত। যা খেয়ে স্পিলম্যান টিকে থাকতে পেরেছিল।
- আর এভাবে কয়েকদিন চলার পরেই পোল্যান্ডের সেনাবাহিনী জার্মান সৈনিকদের বন্দি করে ফেলে।
- আর এসব ঘটনার সমাপ্তি ঘটানো হয়।
- স্পিলম্যানকে যেই জার্মান অফিসারটি সাহায্য করেছিল- তাকে স্পিলম্যান খোজার চেষ্টা করেছিল! - কিন্তু স্পিলম্যান তার কোনো খোঁজ পায়নি।
- কারণ তাকে হয়তো মেরে ফেলা হয়েছিল।
- আর এসবের মাধ্যমেই সমস্ত জিয়ুসদের জীবন আবার সাধারণ হয়ে ওঠে।
- আর স্পিলম্যান আবার তার কাজে ফিরে আসে
- আর 2000 সালের 6 জুলাই স্পিলম্যানের মৃত্যু ঘটে।।।
إرسال تعليق