The Blind Sid - সিনেমার পুরো গল্পটা বাংলাতে পড়ুন খুব সহজেই || Bangla Story || বাংলায় সিনেমার গল্প।।
Bangla motivational stories |
আমাদের আজকের গল্পটি হল - The Blind Side নামক সিনেমার। The Blind Side গল্পে এক মায়ের ভালোবাসাকে তুলে ধরা হয়েছে। যদিও এই সিনেমাটি দেখার পর অনেকেই এটাই ভাবে যে,এটিই শুধুমাত্র মনুষ্যত্বের ক্ষেত্রে।। কিন্তু এই গল্পে মনুষ্যত্বের পাশাপাশি এক মায়ের মমতার ছাপ রয়েছে। এখানে যে শুধুমাত্র মনুষ্যত্বের কথা ছিল তা নয়.. এখানে সেই কথাটাও জড়িয়ে ছিল যে - একজন মা! মা ই হয়!! তা সে জন্ম দাতা হোক বা না হোক।। প্রত্যেক মায়ের মধ্যেই প্রত্যেক সন্তানের জন্য সমান ভালোবাসা থাকে। আর এটাই এই কাহিনিতে হয়েছিল।।
আজকে আমি এই সিনেমার পুরো গল্পটা খুব সংক্ষিপ্তাকারে বলার চেষ্টা করবো। তাই যদি কিছু ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা করবেন।।।
------------------THE BLIND SIDE------------
-এই গল্পের শুরু হয় বিগ মাইক নামের একজন ছেলেকে দিয়ে। বিগ মাইক ছোট থেকে ফস্টার কেয়ারে বড়ো হয়েছে। অ্যাব্রোড ফস্টার কেয়ার মানে হল - যদি কোনো পরিবার কোনো অনাথ বা, পরিবার ছাড়া বাচ্চাদের লালন পালন করে, তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে সেই পরিবারকে টাকা দেওয়া হয়।। আর এসব পরিবারের মধ্যেই বিগ মাইককও বড়ো হয়ে ওঠে।।
- বিগ মাইকের বাবা কে? - সেটা তার জানা নেই।। আর বিগ মাইকের জন্মদাতা মা খুবই ড্রাগসের নেশায় ডুবে থাকেন। তাই তার পক্ষে বিগ মাইকের লালন-পালন সম্ভব নয়।।
-আর এই দুটো কারনেই সরকারের পক্ষ থেকে বিগ মাইককে ফস্টার কেয়ারে পাঠানো হয়।
- কিন্তু বিগ মাইক কখনোই একটি বাড়িতে বেশিদিন থাকতে চায়না! তাই বিগ মাইক বার বার থাকার জায়গা চেঞ্জ করে।
- বিগ মাইক 17 বছরের একটি ছেলে। কিন্তু তার শরীরের আকার অন্যদের থেকে অনেক গুন বেশি বলিষ্ঠ আকারের। তার দেহ কোনো পালোয়ানের থেকে কম নয়।।
- বিগ মাইক ছোটো বেলা থেকেই কোনো ভালো স্কুলে পড়াশোনার সুযোগ পাইনি! যার জন্য সে প্রত্যেকটি বিষয়ে খুবই দুর্বল।।
- একদিন বিগ মাইকের এক বন্ধুর বাবা - বিগ মাইককে তার ছেলের সাথে একটি স্কুলে ভর্তি করার জন্য নিয়ে যায়।
- স্কুলের নাম ছিল - " WINEGATE CHRISTIAN SCHOOL"-
- এখানে আসার পর বিগ মাইকের বন্ধুর বাবা - স্কুল কমিটির একজনের কাছে বিগ মাইক ও তার ছেলেকে ভর্তি নেওয়ার কথা বলেন।।
- কিন্তু সেই ব্যক্তি বলেন যে এটা তার হাতে নেই। কারণ কোথাও না কোথাও বিগ মাইক ও তার বন্ধু পড়াশোনায় অতটাও ভালো ছিল না।। তাই দুজনকে ভর্তি নেওয়ায় এত আপওি ছিল।
- কিন্তু বিগ মাইকের বন্ধুর বাবা বলেন যে - " আমার ছেলে আর বিগ মাইক খেলা ধুলায় যথেষ্ট ভালো।।
- যদি আপনি চান তাহলে এদের দুজনের খেলা দেখতে পারেন! " --
- মাইকের বন্ধুর বাবার কথা শুনে সেই লোকটি মাইক ও তার সেই বন্ধুর খেলা দেখতে শুরু করে।
- আর যখন সেই লোকটি মাইকের খেলা দেখে, - তখন সেই মাইকের খেলায় অবাক হয়ে যায়।
- কারন মাইকের শরীর! ও তার খেলা এক অদ্ভুত ধরনের।। মাইকের খেলা দেখে লোকটি বুঝতে পারেন যে মাইক সত্যি খেলায় খুবই ভালো হতে পারে।।
- আর এরপর সেই লোকটি স্কুল কমিটির সদস্যদের সাথে কথা বলেন। আর সে স্কুল কমিটিকে মাইকের খেলাধুলার সম্পর্কে বলেন.. আর এরপর স্কুল কমিটি মাইক, ও তার বন্ধুকে তাদের স্কুলে ভর্তি নিয়ে নেয়।।।
- মাইক স্কুলে ভর্তি হতে পারলেও, তার কাছে না আছে থাকার জায়গা! আর না আছে খাবার।।
- স্কুলে যখন ছেলেমেয়েরা তাদের খেলার শেষে, তাদের অবশিষ্ট খাবার ফেলে যায়, তখন বিগ মাইক সেগুলো কুড়িয়ে নেয়.. আর সেই অবশিষ্ট খাবার গুলি খেয়েই বিহ মাইককে তার পেট ভরতে হয়।।
- বিগ মাইক যেই স্কুলে পড়ে - সেখানে তার সাথে বেশি কেউ কথা বলতে চায়না।। কিন্তু সেখানে একটি ছোট হোয়াইট ছেলে,- যার নাম " সন"..
- সবাই সনকে এসজে বলে ডাকে।
- এসজে বিগ মাইকের সাথে খুব ভালো করে কথা বলে। যদিও বিগ মাইক তার থেকে অনেক বড়ো, তবুও এসজে তার সাথে বন্ধুর মত আচরণ করে।
- যখন এসজে মাইকের সাথে কথা বলতে থাকে, তখন সেখানে এসজের মা গাড়ি নিয়ে চলে আসে।
- আর এরপর সনকে তার মায়ের গাড়িতে করে চলে যেতে হয়।
- সনের মা, সনকে বিগ মাইকের সাথে কথা বলতে দেখেছিল..আর এজন্য সনের মা সনকে বিগ মাইকের বিষয়ে জিগ্গেস করেন।
- সন তার মাকে বলে যে - তার নাম বিগ মাইক..আর সে একমাস আগেই আমাদের স্কুলে অ্যাডমিশন নিয়েছে।।
- আর এরপর সন তার মায়ের সাথে বাড়িতে চলে আসে।।।
- সেই রাতেই,যখন এসজে তার পরিবারের সাথে একটি জায়গা থেকে আসতে থাকে,তখন এসজের বাবা বিগ মাইককে রাস্তায় হাটতে দেখে। তখন রাস্তায় অনেক ঠান্ডা ছিল.. কিন্তু তবুও বিগ মাইক একটি টি- শার্ট গায়ে রাস্তায় হাটছিল।
- বিগ মাইককে এরকম অবস্থায় দেখে এসজের বাবা তাকে জিগ্গেস করে যে - এত রাতে মাইক কোথায় যাচ্ছে?
- বিগ মাইক এসজের বাবাকে জানায় সে এখন স্কুলের জিমে যাচ্ছে।।
- বিগ মাইকের কথা শুনে এসজের পরিবার গাড়ি নিয়ে এগিয়ে যায়।।।
- কিন্তু এসজের মা (এন)- এটা ভাবেন যে, - এত রাতে সেই ছেলেটি জিমে কি করবে? আর এখন তো জিম বন্ধ।।।
- এন এসজের বাবাকে জিগ্গেস করে যে, সে বিগ মাইককে কতদিন থেকে চেনে?
- এসজের বাবা বলে যে - সে মাইককে একবারই দেখেছিল! - যখন সে স্কুলে অন্যর খাবার কুড়িয়ে খাচ্ছিল....
- এন এসব কথা শুনে ইমোশনাল হয়ে পরেন।।
- আর এরপর এন তাদের গাড়িটা পেছনে,- বিগ মাইকের সামনে নিয়ে আসেন।
- এন বিগ মাইককে বলেন যে - এত রাত জিম বন্ধ।। আর তুমি এখন জিমে গিয়ে কি করবে?
- বিগ মাইক এনকে বলে যে, এখন জিমে অনেক গরম থাকবে।। আর সেকারনেই আমি জিমে যেতে চাই।।
- এন মাইককে আবার জিগ্গেস করে যে, তার কাছে থাকার জায়গা আছে কিনা...
- বিগ মাইক এই প্রশ্নের উওরে না জবাব দেয়।।
- বিগ মাইকের কথায় এন একটু ইমোশনাল হয়ে পরে।। আর এরপর এন বিগ মাইককে তাদের সাথে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন।।
বিগ মাইককে বাড়িতে আনার পর এন তাকে বলেন যে, তাকে আজকের রাতটা তাদের সোফাতেই থাকতে হবে। আর এরপর বিগ মাইক সেই রাত টা তাদের সোফাতেই কাটিয়ে দেয়।।
এন বিগ মাইককে দেখে বিশ্বাস করলেও তার মনে এটা সন্দেহ হতে থাকে যে বিগ মাইক রাতে কিছু না চুরি করে নেয়।।
কিন্তু সকালে যখন এন বিগ মাইকের সোফায় দেখেন, তখন তিনি দেখেন যে বিগ মাইক সমস্ত কিছু গুছিয়ে রেখে চলে গেছে।।
এন এসব দেখে বিগ মাইককে খুজতে শুরু করে।।
আর এরপর এন বিগ মাইককে তাদের গার্ডেনে খুজে পায়।।
এন মাইককে জিগ্গেস করে যে - এখন তুমি কোথায় যাবে?
মাইক এনকে বলে যে - সে জানে না।। তার কোনো নিদিষ্ট জাওয়ার জায়গা নেই।।।
মাইকের এই কথা শুনে এন তাকে বলে যে - আজকে ছুটির দিন। আর বিগ মাইক যদি চায় তাহলে সেও এনের পরিবারের সাথে ছুটির দিনের আনন্দ নিতে পারে।।।
এনের কথা শুনে মাইক তাদের বাড়িতে আবার ফিরে যায়।। আর সারাদিন তাদের সাথেই কাটায়।।
এন সেদিন জানতে পারে যে, মাইকের মা আছেন! কিন্তু তিনি পুরোপুরি নেশায় ডুবে থাকেন। আর মাইকের এটা একদম ই ভালো লাগেনা যে সবাই তাকে বিগ মাইক বলে ডাকে।।
তাই এন মাইকের নতুন নাম দেন।। আর সেই নাম হয় মাইকেল।।
মাইকেল এনের পরিবারের কাছে থেকে এত ভালোবাসা পায় যে -মাইকেল এনের পরিবারের সাথেই থাকতে চায়।।
আর এনও সেটাই চায় যে মাইকেল যেন তাদের পরিবারের সদস্য হয়েই থাকে।।
যখন মাইকেল এনের পরিবারের সাথে থাকতে শুরু করে, তখন সোসাইটিতে এনের পরিবার নিয়ে অনেক সমালোচনা হতে শুরু করে। যে এন কিভাবে একটি ব্ল্যাক ছেলেকে নিজের বাড়িতে থাকার জায়গা দিচ্ছে।।
বাইরের লোকের এসব কথার জন্য এন এটা ডিসাইড করে যে, এন ও তার স্বামী এবার মাইকেলকে অ্যাডোপ করবেন।। আর মাইকেলকে তাদের ছেলের মত বড়ো লালন পালন করবেন।।
- এরপর এন সেটাই করেন।। এনের পরিবার মাইকেলকে সরকারি ভাবে নিজের সন্তান হিসেবে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে আসেন।। আর এরপর মাইকেল একটি নতুন পরিবার খুজে পায়।।
- এখানে এনের জন্যেই মাইকেল পরিবারের সম্পর্কটা বুঝতে পারে।। আর মাইকেল এক নতুন জীবন খুজে পায়।।
- কিন্তু এখনো মাইকেলের আসল জীবন খুজে পাওয়া বাকি ছিল।
- আর সেটা হল মাইকেলের খেলা।।
- মাইকেল পড়াশোনায় ভালো না হলেও সে খেলাধুলায় অনেক ভালো।।
- মাইকেল স্কুলের ফুটবল টিমে অনেক দিন থেকেই খেলতে থাকে। কিন্তু সে ভালোভাবে খেলতে পারছিল না।। কারণ সে তার শরীর দিয়ে অন্য কাউকে আঘাত দিয়ে চাইতো না।
- কিন্তু এন মাইকেলকে বোঝায় যে তার জন্য নিজের দলের খেলাটাই আসল।। তাকে নিজের দলের জন্য খেলতে হবে।।
- আর এনের কথা শোনার পর মাইকেলের খেলায় অনেক পরিবর্তন আসে। সে এতটাই ভালো খেলতে শুরু করে যে - মাইকেলের খেলার জন্য তাদের স্কুলের ফুটবল টিম একের পর এক ম্যাচ জিততে থাকে।।
- মাইকেলের খেলার জন্য তার নাম অনেক জায়গায় ছড়িয়ে পরে। তাকে অনেক বড়ো বড়ো ফুটবল টিম নিজেদের দলে খেলার জন্য অফার করতে শুরু করে।। আর এভাবে মাইকেলের দ্বিতীয় জীবন শুরু হয়।।
- মাইকেলের জন্য অনেক অনেক টিম তাদের ম্যাচ জিততে শুরু করে। আর অন্যদিকে মাইকেলের নাম দিন দিন ছড়িয়ে পরতে শুরু করে।।
- আর এখন মাইকেলের কাছে সেই সব ছিল যা তার দরকার ছিল।
- একটি ভালো পরিবার! - যা মাইকেল এনের কাছে থেকে পেয়েছে।
- একটি ভালো পরিচয়! - যা মাইকেল নিজের খেলার জন্য পেয়েছে।।
- মাইকেলের ভালো পড়াশোনার জন্য এন একজন প্রাইভেট টিউটরের ব্যবস্থাও করেন। যিনি মাইকেলকে ভালোভাবে পড়াতে পারবেন।।
- মাইকেল তার খেলার জন্য অনেক ফেমাস হয় যায়। আর সে তার খেলাকেই ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেয়।।
- আর সবশেষে মাইকেল মিসিসীপি ইউনিভার্সিটি থেকে তার পড়াশোনা শেষ করে।।
- আর এভাবেই মাইকেল তার নতুন একটি জীবন খুজে পায়।।
- মাইকেল তার ফুটবল ক্যারিয়ারে অনেক নাম করে গেছেন। যার জন্য তাকে সবসময়েই মনে রাখা হয়।।
- আর এইসব কিছুই হয়েছিল এনের জন্য।। এন যদি মাইকেলকে আপন করে না নিত!-তাহলে হয়তো মাইকেল কখনোই এসব খুজে পেত না।।।
- এনের নিঃসার্থ ভালোবাসা মাইকেলকে এক নতুন জীবন উপহার দেয়।।
-
-
-
إرسال تعليق