127 Hours - সিনেমার সম্পূর্ণ গল্পটি বাংলায় পড়ুন  ||  Bangla Motivational Story Story ||



Bangla Motivational Story
Motivational Story



--------------------DISCLAIMER ---------------
এখানে আমি  এই মুভিটির গল্পের কিছু টা বলার চেষ্টা করেছি। আমি এখানে মুভিটিকে কোনো ভাবেই ছোটো বা বড়ো করে দেখানোর চেষ্টা করছি না। 
আমি গল্প ট বলে শুধুমাত্র আপনাদের বিনোদন দিতে চাইছি। আমি "   127 HOURS ""  মুভিটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশের কথা এখানে লিখেছি।   এখানকার লেখা গল্পের কিছুটা অংশ যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনারা সম্পুর্ন মুভিটি দেখে নিতে পারেন। তাতে আপনার মুভিটি আরও ভালো লাগবে। 





আজকে আমি এমন একটি মুভির গল্প লিখতে যাচ্ছি, সেই মুভিটি আপনার জীবনে একবার হলেও অবশ্যই দেখা উচিৎ। এই মুভিতে এমন একজনের কথা তুলে ধরা হয়েছে, যে তার মনের জোরে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসে। 




- মুভিটি শুরু হয় অ্যারেন রলস্টান নামে একজন ছেলেকে দিয়ে । অ্যারেনর হাইকিং এর শখ থাকে। এবং সে হাইকিং করতে বেরিয়ে পরে। যেখানে সে হাইকিং এ যায় সেই জায়গা টি পুরো জনশুন্য থাকে। সেখানে চারিদিকে শুধুমাত্র বড়ো বড়ো পাথুরে পাহাড়ের দেয়ালে ঘেড়া থাকে। - এখানে তার আলাপ হয়  আসার পর অ্যারেনের ক্রিস্টি ও বেগান এর সাথে। আসলে তারাও এখানে ঘুড়তে এসেছে কিন্তু ভুল করে তারা তাদের রাস্তা হারিয়েছে। অ্যারেন তাদের বলে যে সে তাদের সাহায্যে করতে পারে, তাই তাদের দুজনকে গাইড করতে সে তাদের সাথে যায়। 
- কিছুদুর তাদের সাথে চলার পর তারা আলাদা হয়ে যায়, অ্যারেন তাদের বলে যে আমাদের কি আবার কখনো দেখা হবে? তখন তারা বলে যে কাল রাতে তাদের বাড়িতে বিয়ার পার্টি আছে, সে চাইলে আজকে তাদের জয়েন করতে পারে। কিন্তু অ্যারেন না বলে তার হাইকিং ইনজয় করতে এগিয়ে যায়। 
-  
-  অ্যারেন এরপর খুব চাপা, সরু পাহাড়ি উপত্যকা দিয়ে যেতে থাকে! এখানের রাস্তা খুবই সরু!যার ফলে অ্যারেনের এখানে চলতে অসুবিধা হচ্ছিল।
-  এরপর সে আরও এগিয়ে যেতে থাকে এবং এরপর সে এমন একটি জায়গায় পৌছায় যেখানে দুটি পাহাড়ের মাঝে খুবই চাপা বা সরু জায়গা। এখান থেকে এগোতে সে একটা পাথরের সাহায্য নিতে চায়, -  কি সেই পাথরটি কোনো ভাবে ওপর থেকে নীচে পরে যায়! আর সেই পাথরের নীচে অ্যারেনের ডান হাত চাপা পরে যায়। সে বার বার সেখান থেকে নিজের হাত টা সেখান থেকে বের করে আনার চেষ্টা করতে থাকে! কিন্তু পাথরটা এতটাই বড়ো এবং ভারী থাকে যে সেটা অ্যারনের পক্ষে নড়াচড়া করানোই প্রায় অসম্ভব।।  এরপর অ্যারেন বুঝে যায় সে তার হাত কিছুতেই এখান থেকে বের করতে পারবে না। অ্যারেন মেগান এবং ক্রিস্টিকে জোরে জোরে ডাকতে থাকে! কিন্তু তারা এখান থেকে বহু দুরে, তাই তারা কেউ কোনো সাড়া দেয় না। অ্যারেন বুঝে যায় কেউ তাকে এখানে সাহায্য করতে এখানে আসবেনা। কারণ কেউ জানেনা যে অ্যারেন এখানে এসেছে।  আর এই জায়গাটার অনেক দুর দুর পযর্ন্ত মানুষের দেখা পাওয়া যায়না। তাই অ্যারেন বুঝে যায় যে এবার এখান থেকেই তার কঠিন সময় শুরু।
-  


-
-  এরপর অ্যারেন তার ব্যাগ থেকে সমস্ত জিনিস বাইরে বের করে। ব্যাগের ভিতরে থাকে একটি দড়ি, একটি জল ভর্তি বোতল ও একটি ছোট চায়নার তৈরী ছুরি ও অন্যান্য কিছু জিনিস। 
-  তার কাছে খাবারের জল প্রায় 350ml  এর মত থাকে, যা তার বেশি সময় চলবে না! তাছাড়া অ্যারেনের কাছে যথেষ্ট পরিমান খাবার ও থাকেনা। 
-  কিন্তু সে এখানে আটকে থাকতে চায়না!! সে এখান থেকে যেকোনো ভাবে বেরোতে চায়! সে তার কাছে থাকা ছুরিটি দিয়ে পাথর টাকে সরাতে চেষ্টা করে! কিন্তু তার হাত থেকে হটাৎ করে তার ছুরিটি নিচে পরে যায়, আর সে কোনো রকমে সেটি আবার নিজের হাতে ফিরে পায়। এভাবে আবার সে চেষ্টা করতে থাকে!  কিন্তু তার এই চেষ্টা কোনো কাজে আসেনা! এভাবেই অ্যারেনর সেদিন কেটে যায়।


-- পরের দিন সকালে, যখন একানে অ্যারেনের প্রায় 25 ঘন্টা পার হয়ে যায় তখন সে তার ক্যামেরা অন করে, এবং সে তার বিষয়ে বলতে থাকে, যে এখানে আটকে গেছে, তার কাছে বেশি জল নেই, এবং সে যে এখানে এসেছে সেটা কেউ জানেনা। এসব বলতে থাকার সময় তার মনে হয় ওপরে কেউ আছে! আর তাই সে চিৎকার করে তার উপস্থিতি জানাতে চেষ্টা করে। কিন্তু সেখানে কেউ থাকেনা। এসব তার মনের ভুল হয়। এরপর ধীরে ধীরে রাত হয়ে যায়। অ্যারেন তার কাছে যেটুকু খাবার থাকে সেটা খায়। এবং সে ক্রিস্টি ও বেগানের সেই বিয়ার পার্টির কথা (imagin) করতে থাকে! তার এটাও মনে পরে যখন সে হাইকিং এর জন্য বেরোতে যাচ্ছিল,! তখন তার মা তাকে কল করেছিল, কিন্তু সে তখন সেটা রিসিভ করতে পারেনি! যদি সে কলটা রিসিভ করে তার মা কে এখানে আসার কথা বলতো! তাহলে হয়তো এখন তাকে কেউ খুজতে আসতো।


-  তৃতীয় দিন অ্যারেন তার কাছের দড়িটা দিয়ে বিভিন্ন ভাবে সেই পাথর টা সরানোর চেষ্টা করে! কিন্তু সে কোনো ভাবেই সেটা সরাতে পারেন। 
-  সেদিন তার কাছে যেটুকু খাবার জল থাকে সেটুকুও শেষ হয়ে যায়। খাবার জল ছাড়া সে বাঁচবে না! তাই সে নিজের মূএ জলের বোতলে ভরে রাখে। এবং প্রয়োজনে সেটাই পান করতে থাকে। তার কাছে  খাবারও শেষ হয়ে যায়, তাই খাবারের প্রয়োজন মেটাতে সে ছোট ছোট পোকামাক খেতে থাকে। এরপর অ্যারেন সিদ্ধান্ত নেয় যে সে নিজের হাত কেটে এখান থেকে বেরোবে। কারণ তা করা ছাড়া তার এখান থেকে বেরোনো সম্ভব না। 
-  সে নিজের ছোট ছুরিটি দিয়ে হাত কাটার চেষ্টা করে! কিন্তু ছুরির ধাঁর না থাকায় তার হাতের চামড়া পযর্ন্ত কাটে না। এতে অ্যারেন আরও হতাশ হয়ে পরে। এবং ক্যামেরায় রেকর্ডিং শুরু করে বলে 
""-  যে কখনোই চায়নার ফালতু জিনিস কেনা উচিত না। Chaina  এর জিনিসপত্র কোনো কাজের হয় না।""!! 
- আর এভাবেই অ্যারেনের আরও একটা দিন সেই পাথরের সাথেই কেটে যায়। 
- এরপর  রাতে তার অনেকের কথা মনে পরে। তার প্রিয়জনের কথা। আর তখনই হঠাৎ করে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। সে তাড়াতাড়ি তার জলের বোতল ভর্তি করে নেয়। কিন্তু সেখানে আস্তে আস্তে জলের ধারা বইতে থাকে। অ্যারেন যেখানে আটকে থাকে সেখানে জল ঢূকে সে ডুবতে থাকে। আর এতে অ্যারেনের একটা সুবিধা হয়। কারণ সে এবার সেই পাথর টা সরাতে পারবে। কারণ জলে মাধ্যাকর্ষন শক্ত কম থাকে এবং ভারীর থেকে ভারী বস্তুও হালকা হয়ে পরে। অ্যারেন চেষ্টা সেই পাথর টা সরানোর চেষ্টা করতে থাকে। এবং সে সেটা কর‍তে সক্ষম হয়। সে পাথর টিকে সরিয়ে ফেলে! এবং দ্রুত সেখান থেকে নিজের গাড়ির কাছে চলে আসে। এবং গাড়িতে করে ক্যানিয়ন ল্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক এর দিকে রওনা হয়। 
- কিন্তু এসবই ছিল তার স্বপ্ন। অ্যারেন এখনো সেখানেই আটকে আছে। এবং এবার সে জোরে জোরে  চিৎকার করতে থাকে।



-  এর পরের দিন অ্যারেন আবার নিজের হাত কাটাএ চেষ্টা করে করে। কিন্তু এবারও সে তার হাত কেটে বেরোতে পারেনা।
-  ষষ্ঠতম দিনে অ্যারেনের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে পরে। তার কাছে জল, খাবার সব শেষ প্রায় শেষ হয়ে যায়। সে ভাবে যে  এই পাথর টা হয়তো এতদিন তার জন্যেই এখানে অপেক্ষা করে ছিল। হয়তো তার জীবন এখানেই শেষ!  তাই অ্যারেন সেখানে সেই পাথরে, (  R. I. P )  অর্থাৎ Rest in peace.. 
এবং নিজের জন্ম তারিখ ও নিজের নাম লিখে দেয়।



- এরপর অ্যারেন যখন একটু ঘুমিয়ে পরে তখন সে একটি স্বপ্ন দেখে! সেখানে সে একটি বাচ্চা ছেলেকে দেখতে পায়, যে  তার ভবিষ্যতের ছেলে। সে দেখে যে সে তার ছেলের সাথে খেলছে। আর হটাৎ করে তার ঘুম ভেঙ্গে  যায়। কিন্তু এই ছোট্ট স্বপ্নটা দেখার পর অ্যারেনের ভিতরে এক অদ্ভুত জেদ ও শক্তি চলে আসে। এবার সে ঠিক করে ফেলে যে সে তার হাত কেটেই ছাড়বে। এরপর সে সেই ছোট্ট ছুরিটি দিয়ে তার হাত কাটতে শুরু করে। বহু কষ্টের পর সে তার শরীর থেকে তার হাত আলাদা করে ফেল। এবং এরপর সে এখান থেকে খুব কষ্ট করে বাইরে বেরিয়ে আসে। এবং সে একজায়গায় জল জমে থাকতে দেখে। এখান থেকে অ্যারেন অনেক টা জল পান করে। কারণ সে অনেক দিন ধরে ভালো করে জল পায়নি। 
- জল পান করার পর সে আবার হাটতে থাকে। এরপর সে একটা পরিবার কে দেখতে পায়। তারা অ্যারেনকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। তারা এরপর security ডাকে,   Security রা হেলিকপ্টারে করে অ্যারেন কে Hospital এ নিয়ে যায়। 
- এবং এভাবেই অ্যারেনের এই কঠিন লড়াই শেষ হয়। 

Post a Comment

أحدث أقدم