Jungle : - টিকে থাকার লড়াইয়ের কাহিনী! যা একবার হলেও জানা উচিৎ || Bangla short stories 




Bangla motivational stories



--------------------DISCLAIMER ---------------

এখানে আমি  এই মুভিটির গল্পের কিছু টা বলার চেষ্টা করেছি। আমি এখানে মুভিটিকে কোনো ভাবেই ছোটো বা বড়ো করে দেখানোর চেষ্টা করছি না। 

আমি গল্প ট বলে শুধুমাত্র আপনাদের বিনোদন দিতে চাইছি। আমি "   JUNGLE ""  মুভিটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশের কথা এখানে লিখেছি।   এখানকার লেখা গল্পের কিছুটা অংশ যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনারা সম্পুর্ন মুভিটি দেখে নিতে পারেন। তাতে আপনার মুভিটি আরও ভালো লাগবে। 



- jungle! এমন একটি মুভি যেখানে আমরা দেখতে পাই এমন চারজনকে, যারা জঙ্গলে যায়,  এবং এখান থেকেই শুরু হয় এক একজনের বাঁচার লড়াই। 

- এই গল্পের শুরু হয় ইয়োসি গিনবার্গ নামের এক ব্যক্তি কে দিয়ে। যে দুনিয়া ঘুরে বেরাতে ভালোবাসে। 

- সে এবার আমাজনের গভীর জঙ্গলে যেতে তাই সে লিবিয়া যায়। এখানে তার পরিচয় হয় মার্কাস বলে একজনের সাথে। মার্কাস একজন টিচার কিন্তু সেও বিভিন্ন জায়গায় ঘুড়তে ভালোবাসে। এরপর মার্কাস ইয়োসির সাথে কেভিন বলে একজনের সাথে পরিচয় করায়। কেভিন একজন ট্র্যাভেলার ও ফোটোগ্রাফার। এরপর এদের তিনজনের মধ্যে খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়। 




- পরের দিন বাজারে  ইয়োসির সাথে একজনের আলাপ হয়। সেই ব্যক্তির নাম থাকে কার্ল। কার্ল ইয়োসিকে বলে যে জঙ্গলের গভীরে কিছু আদীবাসি থাকে যারা বাইরের দুনিয়ার থেকে একদম অজানা!তারা বাইরের সভ্য জগতের কিছুই জানেনা, আর না তো  সভ্য  জগতের কেউ তাদের বিষয়ে কিছু জানে! এবং সেখানে অনেক অনেক সোনা আছে! এবং সে এসব জানে কারণ সে এর আগেও সেখানে গিয়েছিল। 

-  কার্ল ইয়োসিকে বলে - যদি তুমি চাও তাহলে আমি তোমাকে সেই অজানা জগতটাকে দেখাতে পারি। এই কথা ইয়োসির খুব" Interesting, বলে মনে হয়।

-  পরের দিন ইয়োসি কেভিন ও মার্কাসের সঙ্গে কার্লের দেখা করার এবং কার্ল তাদের তিনজনকে জঙ্গলের গভীরে যাওয়ার জন্য রাজি করায়। 

এবং তারা তাদের সফরের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস বাজার থেকে কিনে নেয়। 



-  পরের দিন এই চারজন তাদের সফরে বেরিয়ে পরে। এরপর রাতে কার্ল বাকি তিনজনকে সেই আদীমানব দের বিষয়ে বলতে থাকে। 

-  পর দিন তারা  সারাদিন হাটার পর রাতে বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে। এবং কার্ল তাদের বলে যে আমি কালকে তোমাদের ভালো কিছু খাওয়াবো! কারন  কালকের মধ্যে আমরা একটা গ্রামে পৌছে যাব। 

-  পরদিন তারা সত্যিই একটি আদীবাসি গ্রামে পৌঁছায় এবং এখানে দিন থাকার পর তারা পরের দিন নদীর রাস্তা ধরে সেই আদীবাসি গ্রামটার দিকে যেতে থাকে। নদী ধরে যাওয়ার সময় কার্ল একটি সোনার টুকরো হাতে পায়. আর সেটা সবাইকে দেখায়। এতে সবাই খুব খুশী হয়ে যায় এবং তারা কার্ল এর বলা কথা বিশ্বাস করে নেয়। 

-  



- এরপর আরও কয়েকদিন জঙ্গলে হাটার পর তাদের অবস্থা খারাপ হয়ে পরে। এবং মার্কাস এর পায়ের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। সে বলে সে আর পায়ে হেটে সফর শেষ করতে পারবে না।

- এরপর কেভিন সবাইকে বলে একটা ভেলা বানাতে যাতে তারা সবাই সেই ভেলায় করে নদী দিয়ে যেতে পারে। কেভিনের এই কথায় সবাই রাজি হয়। এবং তারা সবাই মিলে একটি ভেলা বানিয়ে নদীতে তাদের যাএা শুরু করে। কিন্তু নদী দিয়ে কিছু টা যাওয়ার পর নদীতে জলের পরিমান বাড়তে থাকে। কার্ল  বাকি তিনজনকে ভেলা থামানোর কথা বলে! কারণ নদীতে তাদের বিপদ হতে পারে। কিন্তু কেভিন তাতে রাজি হয়না! সে নদীর রাস্তা ধরেই যেতে চায় কারণ তাতে সময় এবং এনার্জি দুটোই বাচবে। 

- কিন্তু শেষে সবাই কার্লের কথায় ভেলা নদীর পাড়ে ঠেকায় কারণ তাদের চারজনের মধ্যে কার্লের অভিজ্ঞতা জঙ্গলে সবচাইতে বেশি।



- পরদিন সকালে কেভিন ও ইয়োসি যখন তাদের ভেলায় করে যাওয়ার জন্য তৈরী হয় তখন কার্ল তাদের সাথে যেতে আপওি জানায়! কারন সে সাতার জানেনা। সে পায়ে হেটে সফর শেষ করতে চায়। কিন্তু কেভিন তাতে রাজি হয়না। এরপর ইয়োসি মার্কাসকে জিজ্ঞেস করে যে সে কাদের সাথে যেতে চায় , তখন মার্কাস বলে সে কার্লের সাথে পায়ে হেঁটে যেতে চায়, কারন এখন তা পা ঠিক আছে এবং জলে গেলে তা হয়তো আরও খারাপ হয়ে যাবে। 

- এবং এভাবে তারা চারজন দুজন, দুজন করে আলাদা আলাদা হয়ে যায়। এখানে ঠিক হয় তারা আলাদা আলাদা যাবে এবং তারা সবাই সেই আদোবাসি গ্রামে গিয়ে দেখা করবে। এখানে এরপর সবাই সবাইকে বিদায় জানিয়ে বেরিয়ে পরে।




এরপর কেভিন ও ইয়োসি নদীতে করে তাদের বানানো ভেলায় করে যেতে থাকে। কিন্তু কিছু টা যেতেই নদীর অবস্থা ভয়ংকর  হয়ে যায় - তাদের ভেলা থেকে তারা আলাদা হয়ে পরে! কেভিন কোনো মতে নদীর পাড়ে পৌঁছায়! কিন্তু ইয়োসি সেটা পারে না। সে জলের সাথে বহুদুর ভেসে যায়। কেভিন শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এসব দেখে যেতে থাকে! কারণ নদীতে জলের পরিমার এতটাই যে তার কিছুই করার থাকেনা। ইয়োসি কোনো মতে একটি পাথরের সাহায্যে নদী থেকে উঠে আসে। কিন্তু সে এবার বিপদে পরে যায়! কারণ এখন তার কাছে না আছে বন্ধু এবং না আছে তার প্রয়জনীয় জিনিস। 

-  এরপর ইয়োসি কেভিনের খোঁজে নদীর পাড় ধরে  চলতে থাকে, আর হটাৎ সে নদীতে তার ব্যাগটি দেখতে পায়  এবং সে কোনো রকমে সেই ব্যাগটি উদ্ধার করে। এরপর ইয়োসি তার ব্যাগের ভিতর থেকে একটি এনার্জির ট্যাবলেট খায় এবং সে আবার কেভিনের খোঁজে হাটতে থাকে। 





-  ইয়োসি আস্তে আস্তে হতাশ হতে থাকে কারণ সে জানে না যে কেভিন কোথায় আর এটায় জানেনা সে আসলে কোনদিকে যাচ্ছে। সে জানে যে যদি সে ভুল দিকে যেতে থাকে তাহলে সে হয়তো আর বাচবে না। কারণ এটা জঙ্গল ! আর এখানে বিপদের শেষ নেই। 

-  এরপর সে তার ব্যাগ থেকে একটি ম্যাপ বের করে এবং সেই জায়গায় দাগ দিয়ে রাখে,! যেখানে তার যেতে হবে।

-  এরপর ইয়োসিন আবার হাটতে থাকে। এভাবে ইয়োসির অবস্থা খারাপ হতে থাকে। তার কাছে এখন খাবার বা ভালো জল নেই। সে বেঁচে থাকতে জঙ্গলের যেকোনো কিছু খেয়ে বেঁচে থাকতে চায়। - -- এরপর এক রাতে হটাৎ করে কেভিনের গলার আওয়াজ শুনতে পায়, আর সে তাতে খুশী হয়ে যায়। সে ভাবে কেভিন তাকে খুজে নিয়েছে, কিন্তু সে টর্চ দিয়ে দেখে  সেখানে কেউ নেই। এরপর আবার সে মার্কাস কে দেখতে পায়। কিন্তু এটাও তার মনের ভুল হয়। 

-  পরদিন সকালে ইয়োসি আবার তার মনের জোরে নদীর সাথে সাথে এগোতে থাকে। 




- অন্যদিকে প্রায় কেভিনকে দুজন লোক খুবই খারাপ অবস্থায় নদীতে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে। 

- এখানে কেভিন সুস্থ হবার পর একজন ফরেস্ট অফিসার কে ইয়োসির কথা জানায়। কেভিন সেই অফিসারের কাছে সাহায্যের চায়। কেভিন অফিসারকে বলে ইয়োসির খোঁজ করতে। 

- অফিসারটি কোনো মতে রাজি হয়। এবং কেভিনের সাথে হেলিকপ্টারের করে ইয়োসিকে খুজতে থাকে। 

-  হেলিকপ্টারের আওয়াজ শুনে ইয়োসি বুঝে যায় যে তাকে কেউ খুজতে এসেছে, তাই সে হেলিকপ্টারের পাইলটের দৃষ্টি আর্কষণের জন্য একটা লাল রং এর কাপড় নারাতে থাকে। কিন্তু জঙ্গল এতটাই ঘন থাকে যে ইয়োসি হেলিকপ্টারে থাকা কারোর নজরে পরে না। আর তাই হেলিকপ্টার টি ফিরে চলে যায়। এবং এদিকে ইয়োসি হেলিকপ্টার টিকে ফিরে যেতে দেখে আরো ভেঙ্গে পরে। 



- অন্যদিকে কেভিন ইয়োসি কে খুঁজে না পেয়ে  হতাশ হয়ে পরে। কিন্তু সে আবার একটি বোটে করে ইয়োসিকে খুজতে বেরোয়। অন্যদিকে ইয়োসি যখন জঙ্গলে হতাশ হয়ে শুয়ে থাকে তখন এক আদীবাসি মেয়ে তার কাছে আসে, এতে ইয়োসি ভয় পেয়ে যায় কিন্তু সাথে একটু খুশীও হয় কারন প্রায় 17 দিন পর সে আবার কোনো মানুষের দেখা পেল।

- কিন্তু সে মেয়েটার সাথে কোনো কথা শেয়ার করতে পারে না কারণ মেয়েটি ইংলিশ বলতে পারে না। 

- ইয়োসি মেয়েটিকে বলে তাকে ভয় না পেতে সে তাকে রক্ষা করবে। এই বলে ইয়োসি শুয়ে পরে কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই ইয়োসি দেখে যে তার পাশে কেউ নেই! সে একদম একা!।। ইয়োসি বুঝতে পারে এসব তার মনের ভুল।। 




- এরপরেও ইয়োসি জঙ্গলে চলতে থাকে! বার বার নানারকম বাধা পেরিয়ে সে একটি গাছের সামনে আসে। সেখানে সে অনেক পিপড়ে দেখতে পায় এবং সে ইচ্ছে করেই সেই পিপড়ের কামড় খেতে থাকে যাতে তার মধ্যে বেথ্যার জন্য কিছুটা অনুভূতি ফিরে আসে এবং সে দৌড়াতে দৌড়াতে কোনো ভাবে নদীর পাড়ে পৌছায়। এখানে সে একটা বড়ো করে কাঠ দিয়ে ইংরেজি "Y"  বানায়। যাতে  এটা অনেক ওপর থেকে দেখা যায় এবং কেউ তাকে খুজতে এলে এই ""Y"" টা দেখতে পায়! এবং তাকে উদ্ধার করতে পারে। 

- এখানে সে রাতে একটা কচ্ছপ দেখতে পায় কিন্তু তার পেটে খিদে থাকা সত্বেও সে  সেটা হত্যা করেনা।

- পরদিন কেভিন সেই নৌকায় করে ইয়োসিকে খুজতে খুজতে সেই নদীর পাড়ে চলে আসে যেখানে ইয়োসি কারোর অপেক্ষা করছে। কিন্তু কেভিন এখানে সেই Y  আকৃতি এবং ইয়োসির মধ্যে কাউকেই দেখতে পায় না। কেভিন হতাশ হয়ে ফিরে যেতে থাকে আর তখন হটাৎ ইয়োসির কানে বোটের ইঞ্জিনের  শব্দ যায়। আর সে দেখে তার বন্ধু কেভিন তাকে খুজতে এসেছে!  কিন্তু কেভিন তাকে দেখতে পাচ্ছে না!! ইয়োসি না খেয়ে এতোটাই দূর্বল হয়ে যে; সে  চিৎকার করে  জানাতেও পারে না। ইয়োসি মনে করে করে যে এবারও তার হাত থেকে জীবন বাঁচানোর সুযোগ সে হারিয়েছে। কিন্তু তখনই তার বন্ধু কেভিন পিছনে তাকায় এবং ইয়োসিকে দেখতে পায়। সে দ্রুত বোটে করে ইয়োসির কাছে আসে এবং তাকে জড়িয়ে ধরে। এবং এভাবেই ইয়োসির জীবন বেঁচে যায়। 



- কেভিন তাকে তার সাথে সেই জায়গায় নিয়ে আসে যেখান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছিল।  এভাবে কেভিন ও ইয়োসির জীবন বাঁচলেও কার্ল এবং মার্কাসের কোনো খবর পাওয়া যায়না। 




-- -------   🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏-----------


- JUNGLE মুভির পুরো গল্পটার কিছু অংশ আমি এখানে লিখেছি। একটি সিনেমার পুরো গল্প কখনোই লিখে বোঝানো সম্ভব না। যদি এই গল্পটা পড়ে আপনার একটুও ভালো লাগে তাহলে আপনি এই সিনেমা টা দেখতে পারেন। তাতে আপনার আরও ভালো লাগবে।। 

- ধন্যবাদ - THANKS




Post a Comment

أحدث أقدم