Splash- A Tale Of Mermaid
এই গল্পটা শুরু হয় অ্যালেন নামের একটি ছেলেকে দিয়ে। অ্যালেনের বয়স এখন 8। অ্যালেন তার পরিবারের সাথে কেভকোডে বেড়াতে আসে। সে তার পরিবারের সাথে একটি বোটে করে সমুদ্রে যায়। এখানে অ্যালেন হটাৎ করে সমুদ্রের জলে পরে যায়। যখন অ্যালেন জলে পরে যায়, তখন সে একটা মেয়েকে দেখতে পায়.. - যে তার সমবয়সী। আর অদ্ভুত কথা হল যখন অ্যালেন সেই মেয়েটার হাত ধরে তখন অ্যালেন সমুদ্রের জলের মধ্যেও শ্বাস নিতে পারে। কিন্তু এতে অ্যালেন কিছু বুঝতে পারে না। এরপর একজন লোক অ্যালেনকে জল থেকে তুলে বাঁচিয়ে নেয় । এবং অ্যালেন যখন সেখান থেকে চলে যেতে থাকে, তখন সমুদ্রের জলে সেই মেয়েটির মাথা দেখতে পাওয়া যায়, যে অ্যালেনের হাত ধরেছিল।
অ্যালেনকে চলে যেতে দেখে সেই মেয়েটির মুখে দুঃখের ছাপ দেখা যায়।
এরপর 20 বছর কেটে যায়। এখন অ্যালেনের বয়স 28 । অ্যালেন নিউইয়র্কে তার দাদার সাথে ফল এবং সবজির দোকানে কাজ করে।
অ্যালেন যখন তার ছোটবেলার সেই মেয়েটার কথা ভাবে, যেই মেয়েটার সাথে অ্যালেন জলে হাত ধরেছিল।। তখন অ্যালেনের সেইসব ঘটনা তার মনের ভুল বলে মনেহয়।
অ্যালেনের এখনকার লাইফে অনেক প্রবলেম থাকে। তার প্রেমিকা হঠাৎ করেই তাদের দুজনের সম্পর্কটা ভেঙ্গে ফেলে। এতে অ্যালেন খুব কষ্ট পেয়ে সেই জায়গায় চলে আসে যেখানে সে ছোটবেলা এসেছিল। এখানে অ্যালেন কয়েকজন লোকজনকে দেখতে পায় যাদের কাছে বোট আছে। অ্যালেন তাদের সাথে সমুদ্রে যেতে চায়, কিন্তু তারা অ্যালেনকে তাদের সাথে নিয়ে যায় না।
কারণ এই কয়েকজন বিজ্ঞানী। এবং এই বিজ্ঞানীরা অ্যালেনকে অন্য কোনো বিজ্ঞানীর গুপ্তচর ভাবে। তাই এরা সবাই অ্যালেনকে তাদের সাথে নিতে না করেন ।
কিন্ত অ্যালেন অন্য একজন বোটম্যানের কাছে গিয়ে তার বোটে করে সমুদ্রে ঘুরতে যায়। এখানে হঠাৎ করেই অ্যালেনের বসে থাকা বোট খারাপ হয়ে পরে। আর এরপর বোটের মালিক অ্যালেনের জন্য অন্য বোট আনার জন্য সাঁতার কেটে চলে যায়। এদিকে অ্যালেন নিজেই সেই খারাপ বোট ঠিক করে চালানো চেষ্টা করে। অ্যালেন সেই বোট চালু করে ফেলে। কিন্তু তার ভুলের জন্য সে জলে পরে যায়। এবং এরপর অ্যালেনের মাথায় সেই বোটের ধাক্কা লাগে।
এই ধাক্কায় অ্যালেন তার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
যখন অ্যালেনের জ্ঞান ফেরে তখন সে তার সামনে একটি মেয়েকে দেখতে পায়। সেই মেয়েটি এরপর অ্যালেনকে Kiss করে। এবং অ্যালেনকে কিছু না বলেই সেই মেয়েটি জলে চলে যায়। অ্যালেন মেয়েটির সাথে কথা বলতে চায় কিন্তু মেয়েটি কিছু বলার আগেই জলের নিচে চলে যায়।
আর এই মেয়েটি হল সেই মেয়ে যে 20 বছর আগে অ্যালেনের হাত ধরেছিল।
আর এই মেয়েটি হল মৎসকন্যা। যে হয়তো ছোটবেলা থেকেই অ্যালেনের জন্য অপেক্ষা করছিল।
এরপর অ্যালেন সেই মেয়েটিকে না দেখতে পেয়ে সেখান থেকে চলে আসে।
এখানে সেই মৎসকন্যা অ্যালেনের ওয়ালেট খুজে পায়। অ্যালেনের ওয়ালেটে তার ঠিকানা দেওয়া থাকে। যা দেখে এই মৎসকন্যা একটি ম্যাপ বা নকশা দেখে অ্যালেনের ঠিকানা বুঝে ফেলে।
এরপর অ্যালেন নিউইয়র্ক ফিরে আসে। এবং অন্যদিকে সেই মৎসকন্যা নিজেও নিউইয়র্ক চলে আসে। যখন সে জলের বাইরে বেরিয়ে আসে তখন তার শরীরে লেজের পরিবর্তে মানুষের ঠ্যাং চলে আসে। যখন এই মৎসকন্যা জলের বাইরে আসে তখন তার শরীরে কোনো কাপড় থাকে না। এই জন্য সেখানে ভিড়ের সৃষ্টি হয়। এবং এখানে পুলিশ এসে মৎসকন্যাকে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে আসে।
এখানে এই Mermaid এর কাছে অ্যালেনের ওয়ালেট থাকে যা পুলিশকে দেখানোর পর পুলিশ অ্যালেনকে পুলিশ স্টেশনে ডেকে পাঠায়। যখন অ্যালেন পুলিশ স্টেশনে আসে তখন সে এই মেয়েটিকে দেখে খুব খুশি হয়। আর মেয়েটি অ্যালেনকে দেখতে পেয়ে আরও একবার অ্যালেনকে কিস করে।
এবং এরপর অ্যালেন এই মেয়েটিকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। যদিও মেয়েটি এখনো ইংলিশে কথা বলতে পারেনা।
যখন অ্যালেন মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে আসে তখন এই মেয়েটি অ্যালেনের সাথে physical relationship এ জড়িয়ে পরে।
পরদিন যখন অ্যালেন কাজে চলে যায় তখন এই মৎসকন্যা টিভিতে অনেক ড্রেস দেখে। এবং সে নিজে এরকম ড্রেস কেনার জন্য ব্লুম ইন ডেলস নামের একটা শপিংমলে চলে যায়। এখানে সে বিভিন্ন ধরনের ড্রেস কেনে এবং 6 ঘন্টা ধরে এক্সারাসাইজ করে। যখন অ্যালেন বাড়িতে এসে এই মেয়েটিকে দেখতে পায় না তখন সে বিল্ডিং এর সিকিউরিটির কাছে তার কথা জানতে পারে। এবং অ্যালেন নিজেও ব্লুম ইন ডেলস চলে আসে। এখানে মেয়েটি টিভি দেখে পুরোপুরি ভাবে ইংলিশ শিখেছে। এবং সে এখন ইংলিশে কথা বলতে পারে। এখানে কিছু ঘটনার পর অ্যালেন মেয়েটির কাছে তার নাম জানতে চায়। কিন্তু মেয়েটি তার নাম তার নিজের ভাষায় বলার সময় একটা তীক্ষ্ণ আওয়াজ করে। এবং সেই শপিংমলের সমস্ত টিভি ভেঙ্গে যায়। এতে অ্যালেনকে অনেক টাকা জরিমানা দিতে হয়।
যেহুতু মেয়েটি তার নাম বলতে পারেনা তাই অ্যালেন এই মেয়েটির নাম দেয় মেডিসন।
অ্যালেন মেডিসেনের কাছে জানতে চায় সে আর কতদিন এখানে থাকবে। আর সে কোথা থেকে এখানে এসেছে।
মেডিসেন এর জবাবে বলে সে আর 6 দিন এখানে থাকবে। আর সে আলাদা এক দুনিয়ায় থাকে।
একদিন রাতে মেডিসেন বাথটাবে স্নান করতে থাকে। আর তখন তার শরীরে লেজ চলে আসে। কিন্তু অ্যালেন যখন মেডিসেনের সামনে যায় তখন মেডিসেন তাড়াতাড়ি তার শরীর মোছার চেষ্টা করে। এবং একটু পরেই তার শরীর মানুষের শরীরের মতো হয়ে যায়। কিন্তু অ্যালেন এসব কিছুই দেখতে পায়না।
অন্যদিকে সেই বিজ্ঞানী খবরের কাগজে মেডিসেনকে দেখতে পায়। যে কোনো কাপড় ছাড়াই জলের ওপরে চলে এসেছিল।
খবরের কাগজে মেডিসেনের ছবি দেখে সেই বিজ্ঞানী নিউইয়র্ক চলে আসে। এবং এখানে সে আরও কয়েকজন বিজ্ঞানীর সাথে মেডিসেনের সম্পর্কে আলোচনা করে।
কিন্তু কেউ তার কথা বিশ্বাস করে না।
কিন্তু এই বিজ্ঞানী এই কথাটা জানে যে যখন মৎসকন্যারা মাটিতে থাকে তখন তাদের শরীর মানুষের শরীরের মতো হয়ে যায়। এবং যখন তাদের শরীর জলে যায় তখন তা পাল্টে যায়, এবং তাদের শরীরে লেজ চলে আসে।
এই বিজ্ঞানী এই কথাটা প্রমাণ করার জন্য অনেক চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি বার বার মানুষের ওপর জল দিতে থাকেন। এবং এর জন্য অনেক বার তাকে মার খেতে হয়।
অন্যদিকে অ্যালেন মেডিসেনের সাথে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু মেডিসেন তাকে না করে। এবং এই কথা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এবং এরপর মেডিসেন অ্যালেনের কাছে থেকে দুরে চলে যায়। অ্যালেন তাকে অনেক খোজে। কিন্তু সে তাকে খুজে পায়না।
এরপর মেডিসেন অ্যালেনের কাছে ফিরে আসে। এবং সেই রাতে তারা দুজন একটা party তে যায়। এখানে সেই বিজ্ঞানী মেডিসেনকে দেখে ফেলে। এবং সে মেডিসেনের ওপর জল ছুড়তে থাকে। যার ফলে মেডিসেন মানুষ থেকে Mermaid এ পরিণত হয়।
এবং এই ঘটনায় অ্যালেন পুরোপুরি অবাক হয়ে যায়। এরপর কয়েকজন বিজ্ঞানী মেডিসেনকে একটা জায়গায় আটকে রাখে যাতে তার ওপর বিভিন্ন গবেষণা করা যায়।
কিন্তু যখন কয়েকজন সিনিয়র বিজ্ঞানী এই বিজ্ঞানীকে, যে মেডিসেনের আসল রুপ সবাইকে দেখিয়েছে, তাকে এরা সবাই অপমান করলে এনি এটা ঠিক করেন যে, তিনি মেডিসেনকে পালাতে সাহায্য করবেন। এবং অ্যালেন ও মেডিসেনের ভালোবাসাটা নষ্ট করবে না।
এরপর অ্যালেন ও তার দাদা এবং এই বিজ্ঞানী মিলে সিকিউরিটি দের বোকা বানায়। এবং মেডিসেনকে এখান থেকে নিয়ে যায়। যখন অ্যালেন এবং মেডিসেন সমুদ্রের কাছে আসে তখন মেডিসেন অ্যালেনকে তার সাথে যেতে বলে। কিন্তু অ্যালেন প্রথমে না করে।
কিন্তু ঠিক তখনই একটা হেলিকপ্টার তাদের ওপরে চলে আসে। এবং অ্যালেন জলে ঝাপিয়ে পরে।
যখন অ্যালেন জলের নিচে শ্বাস নিতে পারেনা ঠিক তখন মেডিসেন তাকে kiss করে। এবং অ্যালেন ছোটবেলার মত যখন সে প্রথমবার মেডিসেনের হাত ধরেছিল, ঠিক তখনকার মতই এখন জলের ভেতরে শ্বাস নিতে পারছে।
এবং এরপর এই দুজন প্রেমিক প্রেমিকা সমুদ্রের গভীরে এক নতুন দুনিয়ায় চলে যায়। যেখানে এদের কেউ কিছু করতে পারবে না।
আর এর সাথেই এই গল্পটা এখানেই শেষ হয়ে যায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন