Best bangla story


















No Country For Old Man . এই কাহিনীর  নামের সঙ্গে আপনি কোথায় এই কাহিনীর মিল খুজে পাবেন না। কিন্তু এই কাহিনীর শেষে আপনি ঠিক বুঝে যাবেন, যে কেন এর নাম  " No Country For Old Man" রাখা হয়েছে।
গল্পের শুরুতে লেভলেন মস নামের একজনকে দেখানো হয়। লেভলেন তার স্ত্রীর সাথে মেক্সিকোতে থাকে। এই সময় টা হল 1980 এর সময়।
একদিন লেভলেন মরুভুমিতে হরিণ শিকার করতে আসে। সে অনেক সময় কাটানোর পর একদল হরিণ দেখতে পায়। লেভলেনের কাছে একটা বন্ধুক আছে, যেটা দিয়ে সে হরিণ শিকার করে।
যখন লেভলেন হরিণের দল দেখতে পায়, তখন সে তার  বন্দুক দিয়ে একটা হরিণকে লক্ষ্য করে গুলি করে।
লেভলেনের বন্দুকের গুলিতে সেই হরিন আঘাতপ্রাপ্ত হয়। কিন্তু সেই গুলি লাগার ব্যথায়, সেই হরিণ সেখান থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু লেভলেন  তার শিকার কে এমনি পালিয়ে যেতে দেবেনা। তাই লেভলেন সেই হরিণের পিছু  নেয়। যেহুতু হরিণের শরীরে গুলি লেগেছে! তাই সেই হরিণের শরীর থেকে রক্ত ঝরে পরে। এবং লেভলেন সেই রক্ত অনুসরণ করে এগিয়ে যায়।  লেভলেন কিছুটা যাওয়ার পর একটা কুকুর দেখতে পায়। লেভলেন সেই কুকুরের পেছনে এগিয়ে যায়। এবং একটা জায়গা দেখা যায় যে,  অনেক লোক মরে পরে আছে। এরা আসলে ড্রাগস ডিলার। আর মেক্সিকোর ড্রাগস ডিলাররা খুব ভয়ানক হয়ে থাকে। তারা মানুষ মারতে দ্বিতীয়বার ভাবে না।
এই মৃতদেহগুলোর পাশে দুটো জিপ গাড়ি দ্বার করানো থাকে। যখন লেভলেন সেই গাড়িগুলোর কাছে যায়, তখন তার ভেতরে একজন লোক থাকে.। সেই লোকটিও আহত হয়ে আছে। লোকট যখন লেভলেনকে দেখে তখন সে লেভলেনের কাছে খাওয়ার জন্য জল চায়। কিন্তু লেভলেন বলে যে আমার কাছে জল নেই। এবং এই কথা বলে লেভলেন এগিয়ে যায়।  এরপর লেভলেন আরও একজন মৃত অবস্থায় পরে থাকতে দেখে তার দিকে এগিয়ে যায়। এবং এখানে লেভলেনের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়! এখানে লোকটির দেহের পাশে একটি ব্যাগ থাকে। লেভলেন এই ব্যাগটি খুলে দেখে এতে অনেক টাকা ভরতি। এই ব্যাগের টাকা দেখে লেভলেন বাড়িতে ফিরে আসে।
কিন্তু এদিকে সে সেই লোকটির কথা ভুলেই যায়, যে লেভলেনের কাছে জল চেয়েছিল।
লেভলেনে বাড়িতে ফিরে এই টাকার কথা তার স্ত্রীকে জানায়। সে বলে যে এতে প্রায় 2 মিলিয়ন ডলার আছে। যা তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুড়িয়ে দিতে পারে।
এরপর লেভলেন ও তার স্ত্রী শুয়ে পরে।।
কিন্তু রাতে হঠাৎ করে লেভলেনের সেই মানুষটার কথা মনে পরে, যে লেভলেনের কাছে জল চেয়েছিল।
এরপর লেভলেন তাকে জল দেওয়ার জন্য রাতেই সেখানে চলে আসে। এখানে লেভলেন এসে দেখে সেই লোকটি মারা গেছে। কিন্তু এখানে আরও দুটি গাড়ি এসেছে। এবং এই গাড়ি হল তাদেরই বা তার! যার টাকা লেভলেন নিয়েছে।
লেভলেন তাদের দেখে লুকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সেই গাড়ির লোকজন লেভলেনকে দেখে ফেলে। এবং লেভলেন কে মারার জন্য তার পেছনে ধাওয়া  করতে শুরু করে। এবং লেভলেনকে লক্ষ্যে করে অনেক গুলি চালায়.. যার মধ্যে একটি গুলি লেভলেনের কাধে লাগে।
এবং লেভলেন কোনোভাবে নিজের প্রান বাঁচিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে।
এখন এখানে সেই লোকেরা লেভলেনের খোঁজ করতে থাকে। এখানে অ্যান্টেন নামের ব্যক্তি একজন সাইকো কিলার। এবং তার টাকাই লেভলেনের কাছে রয়েছে। যখন তারা অ্যান্টেন তার লোকেদের কাছে Receiver  চায়, আর বলে যে Receiver দিয়ে কোনো কাজ হয়েছে কি না? তখন তার লোকেরা বলে যে, Receiver দিয়ে কোনো কাজ হয়নি।
তখন অ্যান্টেন তার সাথের দুজনকে মেরে ফেলে। 
এবং লেভলেনের খোঁজে লেগে পরে।
আসলে অ্যান্টেনের টাকার ব্যাগে যে ট্র্যাকার লুকিয়ে রাখা আছে, সেই ট্র্যাকার Receiver এর রেঞ্জ এর মধ্যে আসলেই তার অ্যালার্ম বাজতে শুরু করবে। এবং অ্যান্টেন তার টাকা সহজেই খুজে পাবে।


এদিকে বাড়িতে লেভলেন তার স্ত্রীকে এসব ঘটনা খুলে বলে। এবং লেভলেন তার স্ত্রীকে কয়েকদিনের জন্য তার মায়ের কাছে চলে যেতে বলে।
কারন লেভলেন যখন সেখানে গিয়েছিল তখন সে তার গাড়ি সেখানেই রেখে এসেছিল। এবং তার গাড়ি নম্বর থেকে সেই লোকেরা যেকোনো সময় লেভলেনের বাড়িতে এসে তাদের মেরে ফেলতে পারে। তাই এখন তাদের আলাদা, এবং অন্য কোথাও থাকতে হবে।

এরপর লেভলেন থাকার জন্য একটি হোটেলে রুম বুক করে। লেভলেন এই হোটেলের যেই রুম বুক করে, সেই রুমের ভেন্টিলেশন চেম্বার এর মধ্যে সেই সব টাকা লুকিয়ে রাখে। যাতে সেই টাকার খোঁজ কেউ না পায়।
অন্যদিকে তার স্ত্রী তার মায়ের কাছে চলে যায়। এদিকে অ্যান্টেন লেভলেনের গাড়ির নম্বর থেকে তার লেভলেনের বাড়িতে চলে আসে। কিন্তু এখানে অ্যান্টেন কাউকে খুজে পায়না। কারণ তার আগেই এখান থেকে সবাই চলে গেছে।
কিন্তু অ্যান্টেন তার ব্যাগের খোঁজ করতে থাকে। অ্যান্টেনের কাছে একটি যন্ত্র আছে যার মাধ্যমে সে এট বুঝতে পারবে, যে তার টাকার ব্যাগের কাছাকাছি আছে কি না..
আসলে অ্যান্টেন তার ব্যাগের ভেতরে একটা ট্র্যাকার সেট করেছিল। যাতে সে তার ব্যাগটা খুজে পেতে পারে।
অ্যান্টেন তার টাকার খোঁজ করতে করতে সেই হোটেলের সামনে এসে পরে যেখানে লেভলেন রুম বুক করেছে।  এখানে অ্যান্টেন তার গাড়ি বাইরে রেখে যায়। এবং লেভলেন যখন হোটেলের সামনে আসে তখন সে অ্যান্টেনের গাড়ি  দেখতে পায়। এবং এতে লেভলেন ভয় পেয়ে অন্য একটি হোটেলে চলে যায়। এবং অন্য হোটেলেই রাত কাটায়।
এদিকে অ্যান্টেন ও তার টাকা খুজে পায়না। তাই সে এখান থেকে বেরিয়ে পরে।
পরদিন লেভলেন অন্য হোটেল থেকে সেই হোটেলে ফিরে আসে, - যেখানে সে টাকার ব্যাগটা লুকিয়ে রেখেছে। এখানে আসার পর লেভলেন হোটেলের ম্যানেজার কে বলে অন্য একটি রুম বুক করে। কারণ সেই রুমে অ্যান্টেন পৌঁছে যেতে পারে।
এর জন্য লেভলেন কে বেশি টাকা দিয়ে তার আগে ভাড়া করা রুমের পাশেই একটা রুম নিতে হয়।
এবং লেভলেন যেই নতুন রুমটা নেয় সেই রুমের ভেন্টিলেশন চেম্বার থেকে তার টাকার ব্যাগটা সরিয়ে নেয়। আসলে এখানে দুটো রুম পাশাপাশি। এবং লেভলেন সেই কারণেই হোটেল ম্যানেজার কে বেশি টাকা দিয়েছিল। যাতে সে তাকে তার আগের রুমের পাশের রুম টাই তাকে ভাড়া দেয়।
এরপর যখন অ্যান্টেন তার টাকা  খুজতে খুজতে আবার হোটেলের সামনে আসে, তখন তার Receive টায় অ্যালার্ম বাজতে শুরু করে। এবং অ্যান্টেন বুঝে যায়, যে এই হোটেলেই তার টাকা কেউ নিয়ে বসে আছে।  এটা সেই হোটেল যেখানে লেভলেন আছে। অ্যান্টেন বন্ধুক নিয়ে সেই রুমে পৌঁছে যায় যেখানে লেভলেন ছিল। অ্যান্টেন যখন এই রুমে আসে তখন এখানে লেভলেনের বদলে অন্য কয়েকজন থাকতে দেখা যায়। কারণ লেভলেনের পর এখানে এই নতুন কয়েকজন এই রুমটি বুক করেছে।
যখন অ্যান্টেন এদের কে দেখে., তখন অ্যান্টেন এদের সবাইকে গুলি করে মেরে ফেলে। এই গুলির আওয়াজে লেভলেন বুঝে যায়, যে এখানে অ্যান্টেন চলে এসেছে। এবং তার জন্য লেভলেন তখনই সেখান থেকে পালিয়ে অন্য হোটেলে চলে আসে।
এখানে লেভলেন যখন রাতে শুয়ে থাকে, তখন তার মাথায় এই ভাবনা আসে, যে অ্যান্টেন কিভাবে জানতে পারলো যে লেভলেন সেই হোটেলে আছে..
এবং লেভলেন বুঝে যায় যে তার ব্যাগের মধ্যেই কোনো গন্ডগোল আছে। এবং এরপর লেভলেন সেই টাকার ব্যাগটি খুলে দেখে। এবং সে সেই ট্র্যাকার টি দেখতে পায় যেটা অ্যান্টেন সেট করেছে।
এবং এরপর লেভলেন সেই ট্র্যাকার টা ফেলে দেয়। 
কিন্তু এরপরেই সেখানে অ্যান্টেন চলে আসে। অ্যান্টেনের উপস্থিতি হতে দেখে লেভলেন সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু অ্যান্টেন লেভলেন কে পালানোর সময়  দেখে ফেলে।
এবং তাদের মধ্যে গুলির খেলা শুরু হয়। এতে দুজনেই আঘাত পায়। কিন্তু লেভলেন সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
এভাবে লেভলেন অনেকদিন পযর্ন্ত পালিয়ে বেড়ায়। 
কিন্তু শেষ পযর্ন্ত অ্যান্টেন তাকে মেরে ফেলে। এবং অ্যান্টেন নিজের টাকা ফিরে পায়।
অ্যান্টেন লেভলেনের স্ত্রীকেও মেরে ফেলে। কারণ সে লেভলেনের স্ত্রীকে মারার জন্য,  নিজের কাছে প্রমিস করেছিল। এবং এভাবেই এই গল্পের সমাপ্তি ঘটে।

এখন এই গল্পের নামের দিকটায় আসা যাক। এই গল্পের সময় টা হল 1980 সময়। যখন দেশে খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি এসব অনেক বেড়ে গিয়েছিল। এবং সেই সময়ে যারা বৃদ্ধ বয়সের ছিলেন, তারা তাদের সময়ে এসব কিছুই দেখেননি। তাই বলা হয়েছে " NO COUNTRY FOR OLD MAN "



x

Post a Comment

أحدث أقدم