Wonderful Night Mare
-এটি এমন একটি মেয়ের গল্প, যার প্রথম জীবনে কোনো ইমোশনের দাম ছিলনা!
- তার কাছে এসবের কোনো মানেই ছিলনা - যে কার সাথে ন্যায় হচ্ছে, আর কার সাথে অন্যায়।
- সে শুধুমাত্র নিজের টাকা পয়সা ও লাইফ স্টাইল নিয়ে ভাবতো।
- না কোনো পরিবার! - না কারোর সাথে কোনো সম্পর্ক।
- কিন্তু সেই মেয়েটির মৃত্যুর পর তার সাথে এমন কিছু ঘটে, যা তাকে পুরোপুরি বদলে দেয়।
- এই গল্পটি জ্যানেট নামের একটি মেয়ের। জ্যানেটের মা বাবা ছোট বেলাতেই মারা যায়। যখন তার বাবা মারা যায়, তখন সেই কষ্ট সহ্য করতে না পেরে, জ্যানেটের মা সুইসাইড করে নেয়!
- আর এই জন্য জ্যানেটের মধ্যে এমন এক মনোভাবের সৃষ্টি হয় -, যে জ্যানেট কোনোদিন ই কারোর উপর নির্ভর হয়ে থাকবে না! আর নাতো সে কোনোদিন কোনো পরিবারের মধ্যে থাকবে।।
- জ্যানেট তার পড়াশোনা শেষ করে একজন বড়ো উকিল হয়। জ্যানেট শুধুমাত্র তার কাজ বোঝে!, তার কাছে ন্যায় বা অন্যায় আলাদা। জ্যানেট তার হয়েই কাজ করে যে তাকে বেশি টাকা দেবে।
- জ্যানেটের হাতে এমন একটি কেস আসে,যেখানে একজন বড়োলোকের ছেলে একটি মেয়ের সাথে খারাপ কিছু করার চেষ্টা করেছে।
- জ্যানেটকে এই কেসের জন্য অনেক টাকা দেওয়া হয়। তাই সে এই কেসটি নিজের হাতে নিয়ে নেয়।
- আর জ্যানেট তার বুদ্ধিমত্তার জোড়ে এই কেসটাও জিতে যায়।
- জ্যানেটের এতে কোনো কিছুই যায় আসে না যে মেয়েটির সাথে অন্যায় হয়েছে! আর মেয়েটিকে ন্যায় বিচার দেওয়া উচিত ছিল!
- কিন্তু জ্যানেটের কাছে এসবের কোনো দাম নেই! তার কাছে দাম আছে শুধুমাএ টাকার।
- জ্যানেটকে সেই বড়োলোক লোকটি আবার একটি কেস নিতে বলে। এই কেসটি হল এমন একটি বিল্ডিং এর,যেখানে অনেক পরিবার থাকে। জ্যানেটের কাজ হল, সেই পরিবার গুলোকে বিল্ডিং থেকে বের করা। এর জন্য জ্যানেটকে অনেক টাকা অফার করা হয়, তাই জ্যানেট এই কেস টাও তার হাতে নিয়ে নেয়।
- কিছুদিন পর জ্যানেট যখন তার গাড়িতে করে বাড়ি ফিরতে থাকে, তখন হঠাৎ করেই তার গাড়ির Accident হয়ে যায় । যখন জ্যানেটের চোখ খোলে, তখন সে নিজেকে এমন একটি জায়গায় দেখতে পায়, যেখানে আরও অনেক লোক দাঁড়িয়ে আছে।
- সেখানে একটি মেয়েও থাকে, যে অন্য লোকেদের Details চেক করছিল।
- নিজেকে এরকম একটা জায়গায় দেখে জ্যানেট অবাক হয়ে যায়। সে বুঝতেই পারে না যে সে কখন আর কিভাবে এখানে এসেছে।
- জ্যানেট সেই মেয়েটিকে জিগ্গেস করে যে, সে এখানে কিভাবে এলো? আর কখন ই বা এলো?
- সেই মেয়েটি তার Details নিয়ে তাকে কিছুক্ষণ ওয়েট করতে বলে।
- এরপর জ্যানেটকে একটি রুমে ডাকা হয়। এখানে একজন "স্বর্গদূত " জ্যানেটকে ডাকে।
- স্বর্গদূত জ্যানেট কে বলে যে, জ্যানেটের এখনো মৃত্যুর সময় হয়নি! কিন্তু তাদের কোনো ভুলের জন্য তার আত্মা এখানে চলে এসেছে।
- আর জ্যানেটের শরীর এখনো পৃথিবীতেই আছে!- কিন্তু জ্যানেট সেখানে "কোমা" এর মধ্যে রয়েছে।
- স্বর্গদূত জ্যানেটকে এও বলে যে - যদি জ্যানেটকে তার শরীরের ভেতরে ফিরতে চায়, তাহলে তাকে 1 মাসের জন্য এমন একটি মেয়ের শরীরে ঢুকতে হবে, যে মারা গেছে।
- যদি জ্যানেট এটা না করতে চায়,! তাহলে সে আর কোনোদিন ই তার নিজের শরীরে ঢুকতে পারবে না।
- তাই জ্যানেটকে এমন একটি মেয়ের শরীরে ঢুকতে হয়- যে কিছুক্ষণ আগেই হঠাৎ করেই মারা গেছে।
- জ্যানেট নিজেকে এরকম অবস্থায় দেখে অবাক হয়ে যায়। সে এখন যার শরীরে আছে তার নাম ন্যান্সি। আর তার একটা পরিবার আছে। ন্যান্সির পরিবারে "এক মেয়ে "ও "এক ছেলে " আছে। তার সাথে তার স্বামী। জ্যানেট নিজেকে কখনোই এরকম একটা পরিবারে আনতে চায়নি। সে বরাবরই নিজেকে একা ও স্বাধীন রাখতে চেয়েছে।
- কিন্তু জ্যানেট এখন সেখানেই আছে, যেখানে হয়তো সে কোনোদিন ই থাকতো না।
- জ্যানেট যখন প্রথমবার ন্যান্সির পরিবারের সদস্যদের দেখে, তখন জ্যানেট তাদের থেকে দুরে দুরে থাকতে শুরু করে। ন্যান্সির পরিবার তার ব্যবহার দেখে অবাক হয়ে যায়। কারণ ন্যান্সি এর আগে কখনোই এমন কোনো ব্যবহার করেনি, যেমনটা জ্যানেট করছে।
- শরীর টা ন্যান্সির! কিন্তু তার মধ্যে যে জ্যানেটের আত্মা রয়েছে, সেটা ন্যান্সির পরিবার কিকরে জানবে..
- তাদের কাছে ন্যান্সি মানে তাদের ন্যান্সি।
- জ্যানেটের এরকম ব্যবহার দেখে স্বর্গদূত ন্যান্সির বাড়িতে আসে। এখানে স্বর্গদূত জ্যানেটকে বোঝায় যে যদি সে তার শরীরে ফিরে যেতে চায়, তাহলে তাকে 1 মাস ন্যান্সির শরীরেই থাকতে হবে। আর তাকেও সেই সব কিছু করতে হবে, যে ন্যান্সি
করতো।
- স্বর্গদূতের কথা শুনে জ্যানেট একটু আলাদা হয়। সে আসতে আসতে ন্যান্সির কাজ গুলো করার চেষ্টা করতে শুরু করে।
- জ্যানেট ন্যান্সির বন্ধুদের সাথেও দেখা করে। আর এখানে জ্যানেট ন্যান্সির নেচার ও তার ব্যবহার সম্পর্কে অনেক কিছুই শেখে। জ্যানেট বুঝতে পারে যে ন্যান্সি কেমন মানুষ ছিল।
- ন্যান্সির বন্ধুরা তাকে একটি ফর্ম দেয় যেখানে ন্যান্সির সই দরকার। আসলে এই ফর্ম এ সই করলে সেই বিল্ডার তাদের ঘর থেকে বের করতে পারবে না..
- যখন জ্যানেট এই ফর্মটা দেখে, তখন সে বুঝে যায় যে এটা সেই বিল্ডিং এর মামলা, যেটা তাকে সেই বড়োলোক লোকটি দিয়েছিল। আর জ্যানেট নিজেই এই কেসটা হাতে নিয়েছিল। তখন জ্যানেট এসবের কোনো চিন্তা করতো না!-যে তার এই কাজের জন্য কত মানুষ ঘর ছাড়া হতে পারে.. কিন্তু এখন সে এসব বুঝতে শুরু করেছে।
- দিন দিন জ্যানেট তার নিজের জীবনকে ভুলে ন্যান্সির জীবনকে আপন করে নিতে শুরু করে।
- জ্যানেট নিজের অজান্তেই ন্যান্সির স্বামীকে ভালোবাসতে শুরু করে। কারণ ন্যান্সির পরিবারের সবাই এত হাসিখুশি যে জ্যানেট সেটাকে নিজের পরিবারের মত দেখতে শুরু করে।
- জ্যানেট ন্যান্সির মেয়েকেও নিজের মেয়ের মত দেখতে শুরু করে। সে এখন ন্যান্সির শরীরেই নিজেকে দেখতে শুরু করে।
- জ্যানেট ন্যান্সির ছেলে মেয়ের সাথে সেরকম ই ব্যবহার করতে শুরু করে, যেরকম টা ন্যান্সি করতো।
- জ্যানেট ন্যান্সির স্বামীর সাথেও ভালো ব্যবহার করতে শুরু করে।
- আর ন্যান্সির পরিবারে সব কিছুই ঠিকঠাক ভাবে চলতে শুরু করে।
- কিন্তু হঠাৎ একদিন ন্যান্সির মেয়ের সাথে একটা খারাপ ঘটনা ঘটে।
- ন্যান্সির মেয়ে তার এক ছেলে বন্ধুর সাথে তার বাড়িতে যায়। আর সেখানে সেই ছেলেটা, ন্যান্সির মেয়ের সাথে খারাপ আচরণ শুরু করে।
- ন্যান্সির মেয়ে নিজেকে বাচাতে গিয়ে অনেক আঘাত পায়। আর সে তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফিরে আসে।
- বাড়িতে ফেরার পর জ্যানেট তার অবস্থা দেখে তাকে জিগ্গেস করে, যে তার এমন অবস্থা কিভাবে হয়েছে!
- তখন ন্যান্সির মেয়ে সেসব ঘটনা বলে যা তার সাথে হয়েছে।
- জ্যানেট এসব কথা শুনে খুব রেগে যায়। আর এরপর সে তার মেয়েকে নিয়ে স্কুলে চলে যায়, যেখানে সেই ছেলেটা পড়ে।
- স্কুলে সেই ছেলেটা তার বাবার ও তাদের উকিলের সাথে প্রিন্সিপাল রুমে দেখা করে। এখানে জ্যানেট ন্যান্সির মেয়েকে নিয়ে আসে।
- সেই ছেলেটার উকিল জ্যানেটকে সবকিছু সমঝোতা করতে বলে। কিন্তু জ্যানেট এর ন্যায় বিচার চায়! তাই সে চালাকি করে তাদের সব কথা রেকর্ড করে নেয়, যা সেই ছেলেটা ও তার উকিল বলেছে।
- এখানে জ্যানেট সেই ছেলেটাকেও একটা চড় মারে, - যে ন্যান্সির মেয়ের সাথে খারাপ আচরণ করেছিল।
- জ্যানেট এই কেসটার ন্যায় বিচার পেলেও - সে এটা বুঝতে পারে যে সে আগে কি ভুল করেছে!!
- সে শুধুমাত্র টাকার জন্য একজন অত্যাচারিত মেয়েকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দেয়নি!!
- যেখানে তার মেয়েটির পক্ষে কেস লড়া উচিত ছিল।
- জ্যানেট আসতে আসতে ন্যান্সির পরিবারের সাথে আরও গভীর ভাবে জড়িয়ে পরে। জ্যানেটের জীবনের সাথে সাথে ন্যান্সির পরিবারের জীবনও হাসিখুশিতে চলতে থাকে।
- কিন্তু এদের জীবনে আরও একবার খারাপ সময় নেমে আসে।
- ন্যান্সির ছেলের হটাৎ করেই এক অদ্ভুত রোগ ধরা পরে। ন্যান্সির ছেলের চোখে এক অদ্ভুত ও রেয়ার রোগ ধরা পরে, - যেটা জ্যানেটের বংশেও ছিল।
- জ্যানেট ন্যান্সির ছেলের রোগের বিষয়ে জানতে পেরে অবাক হয়ে যায়। কারণ তার বংশগত রোগ কিভাবে ন্যান্সির ছেলের মধ্যে এলো! তা জ্যানেটের ধারণার বাইরে।
- জ্যানেট এই কথাটা সেই স্বর্গদূতের কাছে জানতে চায়! -যে তার বংশগত রোগ কিভাবে ন্যান্সির ছেলের শরীরে এলো!
- স্বর্গদূত জ্যানেটকে বলে যে, যেহুতু জ্যানেটের আত্মা ন্যান্সির শরীরে রয়েছে, তাই তার শরীরের মধ্যে দিয়েই জ্যানেটের কিছু বৈশিষ্ট্য ন্যান্সির ছেলের শরীরে চলে গেছে।
- স্বর্গদূত ন্যান্সিকে এও বলে যে, জ্যানেটের এখন যাওয়ার সময় হয়েগেছে। তাকে ন্যান্সির শরীর ছেড়ে তার নিজের শরীরে যেতে হবে।
- এতে জ্যানেট পুরোপুরি ভেঙ্গে পরে! কারণ সে এখন ন্যান্সি হয়েই তার পরিবারের সাথে থাকতে চায়। জ্যানেট ন্যান্সির পরিবারকেই ভালোবাসে।
- কিন্তু স্বর্গদূত জ্যানেটকে জানায় যে - জ্যানেট যদি ন্যান্সির শরীর না ছাড়ে! তাহলে ন্যান্সির ছেলে তার রোগ থেকে ঠিক হবে না!
- তাই জ্যানেটকে ন্যান্সির শরীর ছাড়তে হয় ।
- এবং একটা Car Accident এর মাধ্যমে ন্যান্সির দ্বিতীয়বার মৃত্যু ঘটে।
- এবং জ্যানেট তার শরীরে - এক নতুন চিন্তাধারা নিয়ে আসে। জ্যানেট এখন ভালোবাসা, পরিবার ও ন্যায় - অন্যায় জিনিসটা জানে।
- সে এখন শুধুমাত্র তার কাজকে ন্যায়ের মাধ্যমে করতে চায়।
- জ্যানেট তার শরীর ফিরে পাওয়ার পর ন্যান্সির বাড়িতে যায়। কিন্তু সেখানে তার পরিবারকে দেখতে পাওয়া যায়না! হয়তো ন্যান্সির মৃত্যুর জন্যেই তারা অন্য কোথায় চলে গেছে।
- কিন্তু কিছুদিন পর - যখন জ্যানেট একটা ফ্লাইটে করে কোথায় যেতে থাকে, তখন সেই ফ্লাইটে ন্যান্সির পরিবার! অর্থাৎ একদিন তার নিজের পরিবারকে দেখতে পায়।
- আর জ্যানেট তার আসল পরিবাবকে দ্বিতীয় বারের জন্য খুজে পায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন