Anabelle Movie's Full Story Explained In Bangla || Bangla Story
bangla horror stories |
-আজকে আমি আপনাদের অ্যানাবেল মুভিটি সম্পর্কে বলবো। অ্যানাবেল বেশ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত। অ্যানাবেলের প্রথম গল্পটি -" অ্যানাবেল ক্রিয়েশন " থেকে শুরু হয়। আপনি অ্যানাবেল ক্রিয়েশন সম্পর্কে না জেনে থাকেন, তাহলে আপনি আমার ওয়েবসাইট থেকে তা পড়তে পারেন।
-আর আজকের গল্পটি, অ্যানাবেলের দ্বিতীয় গল্প।
-
- অ্যানাবেল এমন একটি পুতুল, যা এই পৃথিবীর সবচাইতে অভিশপ্ত ও ভয়ানক পুতুল।
- বলা হয়, যদি এই অ্যানাবেল মুক্ত হয়ে যায়! তাহলে সে কোনো না কোনো ক্ষতি করবেই।!
- অ্যানাবেল নামটি এখন হয়তো ভুতুড়ে! কিন্তু অ্যানাবেল নামটি ভুতুড়ে ছিল না।
- মিস্টার স্যামুয়েলের মেয়ের নাম ছিল অ্যানাবেল।
- একদিন অ্যানাবেল একটি Car Accident এ মারা যায়। অ্যানাবেলের এমন মৃত্যু তার মা বাবা মেনে নিতে পারেনি! তারা তাদের মেয়েকে ফিরে পেতে চাইতো।
- আর তাদের মেয়েকে ফিরে পাবার জন্য তারা তাদের ঘরে কালো শক্তিকে আহবান করে।
- আর তাদের আহবানে সাড়া দিয়ে সত্যি এক শক্তি তাদের ঘরে চলে আসে।
- কিন্তু সেই শক্তি তাদের মেয়ের ছিলনা...
- তাদের মেয়ের রুপে এক খারাপ কালো শক্তি, একটি পুতুলে আশ্রয় নিয়েছিল! যার নাম অ্যানাবেল।
- আর এর পরের ঘটনা আপনি অ্যানাবেল ক্রিয়েশন থেকে পড়তে পারেন। সেখানে আমি সেইসব ঘটনার কথা বলেছি.! - যে কিভাবে জ্যানিস নামের একটি মেয়ের ভেতরে সেই শয়তানের আত্মা থাকতে শুরু করে। যদি আপনি তা জানতে চান, তাহলে প্লিজ সেই গল্পটি পড়ে দেখুন।
- যদি আপনি জ্যানিসের সেই সময় টা মনে করতে পারেন!, যখন জ্যানিসকে এক দম্পতি লালন -পালন করার জন্য তাদের সাথে নিয়ে যায়, তখন জ্যানিস তার নাম অ্যানাবলে বলেছিল! এর মানে জ্যানিসের মধ্যে তখন সেই শয়তানের বাসা ছিল।
- আর তার কয়েক বছর পর, জ্যানিসকে যে দম্পতি তাদের সাথে নিয়ে আসে, তাদের ঘরে হটাৎ করেই চিৎকারের আওয়াজ শোনা গিয়েছিল..
- এর কারণ টা ছিল, জ্যানিসের মধ্যে থাকা সেই শয়তানের আত্মা, জ্যানিসের পালিত মা বাবাকে খুন করে!
- আর এখান থেকেই অ্যানাবেলের দ্বিতীয় গল্প শুরু হয়।
- যেই দম্পতি জ্যানিসকে অ্যাডপ করেছিল, তাদের পাশে " মিয়া ও জন " নামের দম্পতি থাকতো।
- মিয়া এই সময় প্রেগনেন্ট। এরা দুজন তাদের বাচ্চার আসার অপেক্ষা করছিল। তারা এই বিষয়ে খুব খুশি যে তাদের ঘরে নতুন একজন আসতে চলেছে।
- জন মিয়াকে একটি পুতুল গিফট করে - আর এই পুতুলটি অ্যানাবেল। মিয়া পুতুলটিকে দেখে খুব খুসি হয়ে যায়। এরপর মিয়া সেটাকে তার ডল কালেকশনে সাজিয়ে রাখে।
- আর এরপরের ঘটনাটা একটু আলাদা। এরপর সেই ঘটনাটা ঘটে, যা অ্যানাবেল ক্রিয়েশনের শেষে হয়েছিল! মানে যখন জ্যানিস তার মা বাবাকে খুন করে ফেলে! সেই ঘটনা।
- রাতে যখন মিয়ার হটাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায়, তখন সে তার পাশের বাড়ি থেকে চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পায়। জন সেই চিৎকার শুনে সেই ঘরের ভেতরে যায়। এদিকে মিয়া নিজেও জনের পেছনে আসে।
- কিন্তু জন হটাৎ খুব তাড়াতাড়ি সেই ঘর থেকে বেরিয়ে আসে,জনের শরীরে রক্ত লেগে ছিল! যা তার নয়!
- জন মিয়াকে হাসপাতালে ও পুলিশকে কল করতে বলে।
- মিয়া তাদের ঘরে ফিরে পুলিশকে সাহায্যের জন্য কল করে। আর তখনই তাদের ঘরে জ্যানিস চলে আসে। এখানে জ্যানিসকে দেখতে খুব ভয়ংকর দেখাচ্ছিল.. যার জন্য মিয়া খুব ভয় পেয়ে যায়।
- জ্যানিস মিয়াকে খুন করার চেষ্টা করে! জ্যানিসের সাথে তার বয়ফ্রেন্ড ও এখানে চলে আসে। তারা দুজমে মিলে জ্যানিসকে মারার চেষ্টা করে।
- আর তখনই সেখানে জন ও পুলিশ চলে আসে।
- পুলিশ জ্যানিসের বয়ফ্রেন্ডকে গুলি করে মেরে ফেলে! আর জ্যানিস নিজেই সুইসাইড করে।
- কিন্তু জ্যানিসের শরীর থেকে তার রক্ত অ্যানাবেল পুতুলের চোখের ভেতরে চলে যায়! যার মানে হল, এখন সেই শয়তান অ্যানাবেল পুতুলের ভেতরে আছে।
- এরপর মিয়া ও জনের জীবনে নতুন কালো ছায়া ঘনিয়ে আসতে শুরু করে।
- তাদের ঘরে যেই পুতুল টা আছে! সেটা যে কি করতে পারে! তা জন মিয়ার ধারনার বাইরে।
- একদিন জন যখন বাইরে যায়, আর মিয়া বাড়িতে একা থাকে, তখন তাদের কিচেনে হটাৎ করেই আগুক লেগে যায়। যখন মিয়া কিচেনে গিয়ে দেখে, তখন সেখানে ধোয়ায় অন্ধকার হয়ে পরে।
- যখন মিয়া ঘর থেকে বাইরে বেরোতে থাকে, তখন তাকে কেউ পেছন থেকে ফেলে দেয়। আর মিয়া তার পেটে আঘাত পায়।যেহেতু মিয়া প্রেগনেন্ট ছিল, তাই
- তার পাশের বাড়ির কয়েকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
- আর এরপর হাসপাতালে মিয়া ও জনের একটি মেয়ে হয় ।
- আর এখান থেকে অ্যানাবেল গল্পের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়।
- আপনি যদি অ্যানাবেল ক্রিয়েশন সম্পর্কে জেনে থাকেন, তাহলে আপনার হয়তো মনে আছে, -
- যখন জ্যানিস অ্যানাবেল রুপি সেই শয়তানের কাছে এটা জানতে চেয়েছিল যে কিভাবে জ্যানিস তাকে সাহায্য করবে?
- তখন সেই শয়তান জ্যানিসের কাছে তার আত্মা চেয়েছিল।
- যখন সেই শয়তানের আত্মা জ্যানিসকে পেয়ে যায়, তখন সে সবার থেকে দুরে চলে যায়।
- কিন্তু যেহুতু জ্যানিস সুইসাইড করেছিল! তাই এখন সেই শয়তানের এক নতুন আত্মার দরকার পরে।।
- আর সেই আত্মা সে মিয়া বা জনের থেকেই নিতে চায়।
- সেই শয়তানের আত্মা মিয়ার কাছে তার আত্মা চায়। কিন্তু মিয়া এসব কিছুই বুঝে উঠতে পারে না, যে তার সাথে এসব কেন হচ্ছে।
- সেই শয়তান অনেক বার মিয়া ও জনের মেয়েকে মারার চেষ্টা করে। কিন্তু সেই শয়তান সেটা করতে পারেনা।
- শয়তান এটা চায় যে মিয়া তার আত্মাকে যেন সেই শয়তানের জন্য উৎস্বর্গ করে। আর সেই কারনেই বার বার মিয়ার ওপর শয়তান আক্রমণ করেছিল।
- জন ও মিয়ার অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকে। মিয়া যখনই বাড়িতে একা থাকে - তখনই সেই শয়তান মিয়ার ওপর নানা ভাবে আক্রমণ করতে থাকে। মিয়া এসব দেখে খুবই ভয় পেয়ে যেত।
- তার কাছে তাদের মেয়ের জীবন সবার আগে। কিন্তু সেই শয়তান বার বার মিয়া ও জনের মেয়ের ওপর আক্রমণ করার চেষ্টা করতো।
-
- এরপর মিয়া ও জন এসব ঘটনা একজন পাদরিকে জানায়।
- সেই পাদরি মিয়া ও জনকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে। কিন্তু সেই শয়তানের আত্মা এখনো মিয়া ও তার মেয়ের আত্মার পেছনে পরে ছিল।
- সেই পাদরি জনকে বলে -
- সেই শয়তান কারোর আত্মা চায়! এবং সে যার আত্মা নেবে, তাকে তার আত্মা সেই শয়তানের উদ্দেশ্য দিতে হবে।
- কিন্তু যেহেতু জনের মেয়ে এখনো ছোট, তাই সে তার আত্মা শয়তানকে দিতে পারবেনা!
- তাই সেই শয়তান মিয়ার আত্মাকে চায়!
- আর এই কারণেই সেই শয়তান মিয়াকে বার বার মারার চেষ্টা করছিল।
- পাদরির কথা শুনে জন তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফেরে।
- বাড়িতে এসে জন দেখতে পায় যে মিয়া ঘরে আটকে রয়েছে। আর তাদের ঘরের বাইরে মিয়ার একজন বন্ধু, যে মিয়াকে সাহায্য করতে এসেছে।
- জন ঘরের দরজা খুলে ভেতরে যায়, আর এখানে সেই আত্মা মিয়াকে নিজের কন্ট্রোলে নিয়ে নিয়েছিল! যার জন্য মিয়া সুইসাইড করতে যাচ্ছিল।
- কিন্তু জন তাকে বাচিয়ে নেয়।
- আর মিয়া ও জন কে সেই শয়তানের হাত থেকে বাচানোর জন্য , মিয়ার সেই বন্ধু আত্মহত্যা করে, নিজের প্রান সেই শয়তানের উদ্দেশ্য বলিদান করে।
- আর এরপর মিয়া ও জনের পরিবার অ্যানাবেলের অভিশাপ থেকে মুক্তি পায়।
- আর এরপর অ্যানাবেল ডল কে এড ওয়ারেন ও লরেন ওয়ারেন তাদের মিউজিয়ামে ভরে রাখে।
- বলা হয় এখান থেকে অ্যানাবেল কোনোদিন মুক্ত হতে পারবে না।
- যদি কেউ অ্যানাবেল কে মুক্ত করে দেয়! তাহলে আবার কোনো না কোনো খারাপ কিছু ঘটবেই।।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন