bangla short stories


Into The Wild.. 
- আমি এই সিনেমার গল্পটি এজন্যই আপনাদের বলতে চাই! - যে এই  সিনেমার কাহিনিটি বলার পর আপনি একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ! আর কাজের জিনিস শিখতে পারবেন।। 
- আমি জানিনা আপনি কি শিখবেন.. 
- তবুও আমি শেষের দিকে দুটি লাইনের মাধ্যমে তা বলার চেষ্টা করবো।।

- INTO THE WILD - সিনেমার গল্পটা তৈরী হয়েছে, - " ক্রিস্টোফার ম্যাকেনলেস " - এর জীবন কাহিনি নিয়ে। 
- ক্রিস্টোফার! এমন একটি ছেলে যার কাছে সব কিছু আছে!  ভালো পরিবার! বড়োলোক পরিবার..
- তার সাথে একটি সুখী পরিবার।। 
- কিন্তু ক্রিস্টোফার এসব থেকে দুরে থাকতে চাইতো।। সে সবসময়ই এমন একটা জায়গায় যেতে  চাইতো, যেখানে সে একা থাকবে।। আর সেখানে ক্রিস্টোফার তার নিজের জীবন টাকে নিজের মতো করে বাচবে।।

- ক্রিস্টোফারের গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট হওয়ার পর তা বাবা - মা তাকে একটি গাড়ি গিফট করতে চায়।। কিন্তু ক্রিস্টোফার সেটা নিতে রাজি হয়না।। কারণ ক্রিস্টোফার এসব থেকে দুরে যেতে চায়!-যেখানে এসব কিছুই থাকবে না।। 
- ক্রিস্টোফারের মা -বাবা তার বাকি পড়াশোনার জন্য 24,000 ডলারের একটি চেক তার নামে রেখে দেয়। 
- কিন্তু ক্রিস্টোফার সেই চেকটা নিজে না নিয়ে- একটি অনাথ আশ্রমকে দান করে দেয়।।
- আর এরপর ক্রিস্টোফার সিদ্ধান্ত নেয়, যে এখন ক্রিস্টোফার এই শহরের যানজট থেকে অন্য কোথায় চলে যাবে!- যেখানে শুধুমাত্র প্রকৃতির নিয়ম থাকবে।।

- আর ক্রিস্টোফার সেটাই করে।। 
- তার 2400 ডলার দান করে দেওয়ার পর, ক্রিস্টোফার নিজের সমস্ত ডকুমেন্ট, পরিচয়পত্র পুড়িয়ে ফেলে।। ক্রিস্টোফার সেই সমস্ত কিছু পুড়িয়ে ফেলে, যা তাকে এই আধুনিকতার সাথে বেধে রাখতে পারে।।। 
- ক্রিস্টোফার তার কাগজপত্র পুড়িয়ে ফেলার পর, তার পুরোনো একটি গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরে।। 
- ক্রিস্টোফার এখন কোথায় যাচ্ছে..তা ক্রিস্টোফার জানেনা।। 
- কিন্তু সে শুধুমাত্র এটুকুই জানে.. যে সে এমন একটা জায়গায় যেতে চায়, যেখানে তাকে কেউ চিনবে না!! আর সেখানে শুধুমাত্র মুক্ত প্রকৃতির নিয়ম থাকবে।।

- ক্রিস্টোফার তার পুরোনো গাড়ি নিয়ে অনেকটা পথ চলে যায়।। সে তার শহর থেকে অনেক অনেক দুরে যেতে চায়।। 
- তার কাছে থাকা সমস্ত টাকা পয়সাও সে পুড়িয়ে ফেলে।। 
- কারণ সে তার নতুন একটা জীবন খুজতে যাচ্ছে।। যেখানে তার অতীতের কোনো জিনিস ই থাকবে না।।

- যেদিন ক্রিস্টোফার তার নতুন জীবনের পথে বেরিয়ে পরে, সেদিন সারাদিন গাড়ি চালানোর পর,  সেই রাতে তাকে ফাকা মাঠে! তার গাড়ির মধ্যেই রাত কাটাতে হয়।।
- পরদিন সকালে ক্রিস্টোফার যখন তার চোখ খোলে, তখন সে দেখে যে তার গাড়িটা কাদার মধ্যে আটকে গেছে।। 
- আর তার চারপাশে কাদায় ভর্তি....
- আসলে ক্রিস্টোফার যেখানে রাত কাটিয়েছে, সেই জায়গাটা বন্যা প্রবন এলাকা! যার জন্য রাতে এখানে বন্যা হয়েছিল!! আর সেই বন্যার জলের জন্যই  ক্রিস্টোফারের গাড়ির চারপাশে কাদা আটকে গেছে।।

- ক্রিস্টোফার যখন বুঝতে পারে যে - তাকে এখন পায়ে হেঁটেই তার নতুন জীবনের দিকে যেতে হবে, তখন ক্রিস্টোফার তার গাড়ির সব ডকুমেন্ট নষ্ট করে দেয়।। 
- যাতে সেই গাড়ির কাগজপত্র আর Number Plate দেখে কেউ তাকে খুজতে না বেরিয়ে পরে।। 
- আর ক্রিস্টোফার এটা চায়না যে তার পরিবারের 
-লোকেরা তাকে খুজে বের করুক!!....

- গাড়ির কাগজপত্র পুড়িয়ে ফেলার পর ক্রিস্টোফার পায়ে হেঁটেই এগিয়ে যেতে থাকে।। 
- সে এখনো জানেনা যে তার গন্তব্য কোথায়!! ক্রিস্টোফার এখন কোথায় যাবে??
- এসব প্রশ্নের উওর তার কাছে নেই..  কিন্তু এসব না জানা সত্বেও ক্রিস্টোফার তার মত চলতে শুরু করে।।

- ক্রিস্টোফার এখন শুধুই হেঁটে যায়।। তার যেখানে ভালোলাগে সেখানেই শুয়ে পরে.. যেখানে ভালোলাগে সেখানেই প্রকৃতির সাথে মিশে যায়।। 
- আর হয়তো ক্রিস্টোফার এটাই করতে চেয়েছিল।।
- যেহেতু ক্রিস্টোফার এই সফরের মাধ্যমে একটা নতুন জীবন খুজতে বেরিয়েছে!- তাই ক্রিস্টোফার নিজের পুরোনো নাম টাও বদলে ফেলে! ক্রিস্টোফার নিজের নতুন না দেয় - 
- ""আলেকজান্ডার সুপারট্র্যাম্প ""..

- আর এই নতুন নামের সাথে ক্রিস্টোফার তার নতুন জীবনের পথে আরও এগিয়ে যায়।। 
- এখন ক্রিস্টোফার যেখানে খুসি বেরিয়ে যায়।। সে নতুন নতুন বন্ধুদের খুজে পায়! যারা তার মতই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেরিয়ে জীবনটাকে উপভোগ করতে চায়।। 
- আর এতদিন পর ক্রিস্টোফার সেটস করতে পারে।। 
- ক্রিস্টোফার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে তার জীবন টাকে উপভোগ করতে শুরু করে।। 
- সে বিভিন্ন নতুন নতুন বন্ধু খুজে পায়, যারা তার মতই।। 
- ক্রিস্টোফার কখনোই এক জায়গায় বেশীদিন থাকে না.. 
- যেহুতু ক্রিস্টোফার প্রকৃতির কোলে জীবন কাটাতে এসেছে!! তাই সে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে তা উপভোগ করতে শুরু করে।। 
- ক্রিস্টোফার দিনের পর দিন তার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে থাকে।।
- কখনো জঙ্গল, তো কখনো আবার কোনো পাহাড়ের দেশে।। 
-  কখনো হয়তো আবার কোনো কৃষকের সাথে তার ক্ষেতের কাজ করা।। 
-  কখনো আবার হয়তো কোনো রিটায়ার্ড আর্মির সাথে চামড়ার কাজ করা.. এসবই ক্রিস্টোফার করে ফেলেছে।। 
-  ক্রিস্টোফার নিজেই জানেনা যে -  সে কতদিন থেকে বাড়ির বাইরে আছে।। 
-  আর কবে কোথায়! কখন কার সাথে থেকে এসব সময় পার করে এসেছে।। কিন্তু এসব তার মনে না থাকলেও সে এতদিনে যার সাথেই কাটিয়েছে, আর যেখানেই কাটিয়েছে না কেন.. ক্রিস্টোফার সেই প্রত্যেকটা মুহুর্ত উপভোগ করেছ।। 
-  আর এত কিছুর পর ক্রিস্টোফার ঠিক করে যে সে আলাস্কায় যাবে!! আর সেখানেও প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যাবে।।

-  আর ক্রিস্টোফারের যেমনটি ভাবনা তেমনটাই সে ঘটিয়ে ফেলে।। 
-  বিভিন্ন বাধা বিপওির পর ক্রিস্টোফার আলাস্কার দেশে চলে আসে।। 
-  আর এখানে আসার পর, সে বাকি জায়গা গুলোর মত এখানেও নিজেকে প্রকৃতির কোলে ছেড়ে দেয়।। 
-  এখানেও ক্রিস্টোফার নিজের জীবনকে উপভোগ করতে থাকে।। 
-  সে যেই জীবনটা খুজছিল, সেটা সে পেয়েগেছে।।
-  আর এই জীবনটা নিয়েই ক্রিস্টোফার খুশী থাকতে চায়।।
-  যখন ক্রিস তার এই জীবনে সুখী থাকে, তখন ক্রিস্টোফার তার সমস্ত কথা! যা এতদিনে সে করে এসেছে!  যেটা সে চেয়েছিল!! অর্থাৎ তার নতুন জীবন নিয়ে সমস্ত কিছু!! এই সব কথাই ক্রিস্টোফার তার একটি ডাইরিতে লিখতে শুরু করে।।

-  কিছুদিন পর এখানে খুব সুখে থাকার পর, ক্রিস্টোফারের মনে হটাৎ তার পরিবারের কথা মাথায় আসে।। তার মনে হতে শুরু করে যে তার পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়া উচিত।। 
-  ক্রিস্ট তার এই নতুন জীবন নিয়ে হয়তো খুশী আছে!! কিন্তু সে এটা বুঝে যায় যে - আসল খুশী তো তখনই হওয়া যায়, - যখন সেটা সবার সাথে ভাগ করে নেওয়া যায়।। 
-  ক্রিস্টোফারের এই ভাবনার পর সে তার সমস্ত কিছু গুছিয়ে নিয়ে বাড়িতে ফেরার জন্য বেরিয়ে পরে।। কিন্তু সে যেখানে ছিল, তার সামনের নদীর রুপ এতটাই ভয়ংকর হয়ে পরে যে ক্রিস্টোফার চেয়েও সেই নদীর ওপারে যেতে পারেনা।।। তাই  বাধ্য হয়েও ক্রিস্টোফারকে নিজের জায়গায় ফিরে আসতে হয়।। 
-  কিছুদিন পর ক্রিস্টোফার ভুল করে জঙ্গলের একটি বিষাক্ত ফুল খেয়ে ফেলে।। আর এই জন্য ক্রিস্টোফারের সারা শরীরে বিষ ছড়িয়ে পরে।।
-  কিন্তু এই বিষের প্রকোপ থেকে মুক্তি পাবার কোনো ওষুধ ক্রিস্টোফারের কাছে ছিলনা।। যার জন্য ধীরে ধীরে এই বিষ তার শরীরকে গ্রাস করতে শুরু করে।।
-  ক্রিস্টোফার তার অবস্থা দেখে বুঝতে পারে যে সে আর বাচবে না.. 
-  আর 6 সেপ্টেম্বর 1992 খ্রিষ্টাব্দে ক্রিস্টোফার তার নিজের স্লিপিং ব্যাগের ভেতরে আধমরা অবস্থায় শুয়ে পরে।। আর এই মুহুর্তে সে তার পরিবারের জন্য কাদতে শুরু করে।। 
-  ক্রিস্টোফার তার বাবা - মাকে স্বরন করে।। আর তার সর্বশেষ একটি নোট সবার জন্য লিখে যায়।। যেটা ছিল -
-  "- I need youre help..
-  i am injured, near death, and to weak to hike out..
-  i am all alone.. this is no joke.. in the name of god..
-  please remain to save me.
-  i am out collecting berries close by and shall return this evening.
-  thank you.. chriss mccandless.

আর এই সর্বশেষ নোটটি সবার জন্য লিখে যাওয়ার পর, ক্রিস্টোফার মারা যান।। 
আর এখানেই তার গল্পটি শেষ হয়।।



Post a Comment

أحدث أقدم