- আমাদের আজকের মুভির কাহিনি হল The Escapist নামক মুভিটি। The Escapist মুভিটির গল্পটা সম্পূর্ণ খুটিনাটি কখনোই লিখে বোঝানো সম্ভব নয়। তাই আমি আপনাদের শুধুমাত্র এই মুভিটার শুধুমাত্র মুল গল্পটা বলার চেষ্টা করবো।।
- The Escapist সিনেমার মুল গল্পটা তৈরী হয়েছে প্যারি নামের একজনের হাত ধরে। - প্যারিকে তার এক অপরাধের জন্য একটি সারাজীবনের কারাবাস দেওয়া হয়। সে সেই জেলে প্যারি তার জীবনেই খুসি থাকে। - কিন্তু প্যারি জেলের ভেতরে থাকলেও কখনো সে জেল থেকে পালানোর চেষ্টা করেনি। কারণ প্যারি তার এই কারাগারের জীবনকেই আপন করে নিয়েছিল।। -প্যারি যেই জেলে থাকে - সেখানে তার সেলমেট হিসেবে আগে একজন ছিল। কিন্তু সেই ব্যক্তির শাস্তি পুরো হয়ে যায়, যার জন্য তাকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।। - আর এরপর প্যারির সেলের ভেতরে অন্য একটি ছেলেকে থাকতে পাঠানো হয় যার নাম লেসি।। - আর এখন প্যারি সাথে লেসি নামের ছেলেটা তার সেলে থাকবে। অর্থাৎ লেসি হল প্যারির নতুন সেলমেট। - প্যারি যেই জেলে বন্দি আছে সেখানে আরও হাজারো কয়েকদিকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। - কিন্তু এখান থেকে খুব কম মানুষ ই আছে যারা এখান থেকে পালিয়ে যেতে পেরেছে। - প্যারি যখন থেকে এই জেলে বন্দি ছিল - তখন থেকেই প্যারি তার মেয়েকে অনেকবার চিঠি লিখেছিল.. কিন্তু কখনোই প্যারির মেয়ের কাছে থেকে কোনো উএর ফিরে আসেনি। - কিন্তু একদিন হটাত করেই প্যারির কাছে একটি চিঠি আসে!- যেখানে লেখা থাকে - " যে তার মেয়ের শরীর খুব খারাপ। কারণ সে অনেক বেশি পরিমানে ড্রাগস নিয়ে ফেলেছে.. তার এখন তার অবস্থা খুবই খারাপ।।।.. - প্যারি এই চিঠিটা পড়ার পর পুরোপুরি ভেঙ্গে পরে।। কারণ প্যারির কাছে তার মেয়েই হল বেচে থাকার একমাএ কারণ।। আর যখন তার মেয়ের এই অবস্থা!- তখন প্যারিকে যেভাবেই হোক তার মেয়েকে দেখতে যেতে হবে।। - আর প্যারি এটাই সিদ্ধান্ত নেয় যে - এখন যেভাবেই হোক না কেন! - প্যারি এই জেল থেকে বাইরে যাবেই।। আর জেল থেকে পালানোর পর সে তার মেয়ের কাছে ফিরে যাবে।। - প্যারি এটা জানে যে যদি তাকে এই জেল থেকে পালাতে হয়- তাহলে তাকে অন্য কয়েকজনের সাহায্য নিতে হবে।। কারণ জেল থেকে একা একা পালানো সম্ভব নয়। - পরের দিন প্যারি যখন ওয়াশিংমেশিন থেকে তার কাপড় বের করতে যায় - তখন সেখানে প্যারি একটি এয়ারভেন্ট দেখতে পায়। যেখান থেকে ড্রায়ারের হাওয়া বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছিল। প্যারি এটা দেখে বুঝে যায় যে যদি তারা সে বা, তার টিম এই এয়ারভেন্টটা কাটতে পারে - তাহলে তার বাইরে বেরোতে পারবে।। - কারণ সেখানকার র্যারভেন্ট থেকে হাওয়া বাইরে যাচ্ছিল, আর তার সাথে একটি জলের পাইপ! - যেটা হয়তো বাইরে কোনো খোলা যায়গায় মিশেছে।। - প্যারি এসব দেখে বুঝতে পারে যে যদি তাদের বাইরে বেরোতে হয়! -তাহলে এটাই সেই একমাএ পথ যেটা তাদের বাইরে নিয়ে যেতে পারবে।। - আর তাকে পালানোর সমস্ত প্ল্যান এই এয়ারভেন্টের পথকে নিয়েই করতে হবে।।।
- প্যারি জানে যে তাকে এখান থেকে পালানোর জন্য কয়েকজন ই সাহায্য করতে পারে। - যার মধ্যে ব্রডি একজন। যখন প্যারি ব্রডিকে তার সব কথা খুলে বলে, তখন ব্রডি তার সাথে পালানোর জন্য রাজি হয়ে যায়। কিন্তু ব্রডি তাকে জিগ্গেস করে যে তারা এখান থেকে কিভাবে বেরোবে? - তখন প্যারি ব্রডিকে সেই এয়ারভেন্টের কথা বলে! যেটা শক্ত স্টিলের তৈরী। আর যদি এরা এখান থেকে বেরোতে চায় তাহলে তাদের সেই স্টিলের এয়ারভেন্টে টাকে কেটেই বাইরে বেরোতে হবে।। - কিন্তু ব্রডি এটা জানে যে - সেই এয়ারভেন্ট টাকে কেটে বেরোনো এতটাও সহজ না। কারণ সেটা শক্ত স্টিটের তৈরী.. আর তারা কোনো যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া সেই এয়ারভেন্ট টাকে কেটে বেরোতে পারবে না।। - কিন্তু প্যারির কাছে এটাও উপায় আছে। আর এরজন্য তাকে ল্যানির সাহায্যে নিতে হতো। - ল্যানি একজন ফরমার বক্সার। তার সাথে সাথে সে একজন নামকরা চোড়। তাই প্যারি যদি ল্যানির সাহায্য নেয়, তাহলে হয়তো খুব সহজেই তারা এখান থেকে বেরোতে পারবে।। - আর এরপর প্যারি তাই করে।। প্যারি ল্যানির সাথে দেখা করে তাদের সমস্ত প্ল্যানটা খুলে বলে। - প্যারির প্ল্যান শুনে ল্যানিও তার প্ল্যানে সামিল হয়। কারণ ল্যানিও এখন সেই জেল থেকে মুক্তি পেতে চায়।।। - যখন প্যারি ল্যানিকে সেই এয়ারভেন্টের কথা বলে, তখন প্যারি তাকে এটা বলে যে, তাদের সেই এয়ারভেন্টকে কাটার জন্য কোনো কিছুর সাহায্য নিতে হবে। হাত দিয়ে কখনোই তারা স্টিলের জিনিস কাটতে পারবেনা.. তাই তাদের এমন কিছু বানাতে হবে যা দিয়ে স্টিলকেও কেটে ফেলা যায়।।। - ল্যানির মাথায় প্যারির বলা পুরো প্ল্যানটা বসে যায়। আর এরপর ল্যানি একটি যন্ত্রের ফ্রেম বানিয়ে ফেলে। যার মধ্যে একটি হিরে বসালেই তা দিয়ে স্টিলের সেই এয়ারভেন্টকেও কাটা যাবে।। - ল্যানি তার সেল থেকে লোহা তো জোগাড় করে নেয়... কিন্তু তার কাছে হিরে নেই.. যেটা ছাড়া তাদের প্ল্যান কখনোই সফল হবে না। এককথায় হিরে ছাড়া কখনোই জেল থেকে বাইরবে বেরোনো সম্ভব নয়।।। তাই ল্যানিকে যেভাবেই হোক একটি হিরে জোগাড় করতেই হত।। - যদিও ল্যানির কাছে হিরে নেই.. কিন্তু ল্যানি এটা জানে যে জেলের মধ্যে কার কাছে হিরে আছে।।। - সেই লোকটি হল জেলের মধ্যে সবচাইতে শক্তিশালী এক বক্সার।। - সেই বক্সারের দাতের মধ্যে একটি হিরে বসানো আছে। কিন্তু ল্যানি সেই হিরে এমনি এমনি কখনোই হাতে পাবে না।। - ল্যানি সেই হিরে টা পাওয়ার জন্য একটা বুদ্ধি বের করে!- আর ল্যানি সেই বক্সারকে তার সাথে ফাইট করার জন্য চ্যালেঞ্জ করে বসে। - যখন ল্যানির সাথে সেই বক্সারের ম্যাচ হয় তখন সেই বক্সার ল্যানিকে খুব বাজে ভাবে আহত করে ফেলে। - কিন্তু ল্যানি এত মার খাওয়ার পরেও -ল্যানি সেই বক্সারের সেই হিরে বসানো দাতটা খুলে নিতে সক্ষম হয়।। - আর এখন তাদের প্ল্যান কাজের দিকে এগিয়ে যায়।। ল্যানি সেই হিরেটা পাওয়ার পর - সেটাকে তার বানানো যন্ত্রের মধ্যে ফিট করে বসিয়ে দেয়।। - আর এবার তাদের যন্ত্র তৈরী হয়ে যায়!- যার সাহায্যে ল্যানি, প্যারি আর ব্রডি এখান থেকে পালাতে পারবে।।
- যখন ল্যানির যন্ত্রটা তৈরী হয়েযায়, তখন এরা তিনজন আবার এদের প্ল্যানটাকে ডিসকাস করে নেয়। - এদের প্ল্যানটা হল - " প্রথমে এরা সেই Laundry তে যাবে! এরপর সেখানে সেই এয়ারভেন্ট টাকে কেটে তার মধ্যে দিয়ে বাইরে বেরাবে!- আর এরপর তারা টানেলের ভেতর দিয়ে এগিয়ে যাবে।। আর সবশেষে তারা মেট্রো স্টেশন থেকে নিজেদের মত আলাদা আলাদা হয়ে - সবাই নিজের জায়গায় চলে যাবে।। - আসলে এদের তিনজনের মধ্যে ব্রডি এই জেলের নকশা সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতো। তাই প্যারি তার প্ল্যানে সবার প্রথমে ব্রডিকেই সামিল করেছিল।। - আর যখন এদের পুরো প্ল্যান তৈরী হয়েযায় তখনই তাদের অন্য একটি বাধার সম্মুখীন হতে হয়। - যখন প্যারি স্নান করতে থাকে তখন সেখানে টোনি নামের একটি ছেলে এসে হাজির হয়। টোনি প্যারিকে এটা বলে যে - সে প্যারি ও ল্যানির সমস্ত কথা শুনে ফেলেছে। যদি প্যারি তাকে 2কেজি ড্রাগস না দেয়, তাহলে টোনি প্যারিদের সমস্ত প্ল্যান ভেস্তে দেবে। - আর প্যারি কখনোই এখান থেকে বেরোতে পারবে না।। - টোনির কথায় প্যারি চিন্তিত হয়ে পরে। কারণ টোনি হল এই জেলের এমন একজনের ভাই, যার দাদা একজন খুব ক্ষমতাসীন লোক। টোনির দাদা যখন খুশি যে কাউকে মেরে ফেলে.. আর এতে এমন কেউ নেই যে তাকে আটকাবে।। আর সেরকারনেই প্যারিকে নিজের অনিচ্ছুা সত্বেও টোনির জন্য ড্রাগস বানানোর জন্য যেতে হয়। - প্যারি যেই জেলে বন্দি আছে - সেখানেই একটি ছেলে আছে যে ড্রাগস বানাতে পারে। আর সে হল বাটিস্টা। - যখন প্যারি বাটিস্টাকে এতদিনের সব ঘটনা খুলে বলে, তখন বাটিস্টাও প্যারির প্ল্যানে সামিল হয়।। - আর বাটিস্টা প্যারির কথায় টোনির জন্য ড্রাগস বানিয়ে দেয়।
- পরদিন টোনি যখন প্যারির সেলে তার ড্রাগস নিতে আসে, তখন সে লেসির সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করে। যার জন্য লেসি প্রচুর রেগে যায়। আর এই রাগের মাথায় লেসি টোনিকে চেয়ার দিয়ে মারতে শুরু করে। - কিন্তু টোনি কোনো রকমে সুযোগ বুঝে প্যারির সেল থেকে পালিয়ে যায়।। - কিন্তু টোনির মাথায় চেয়ার দিয়ে আঘাত করার তার প্রচণ্ড রক্তক্ষরন হতে শুরু করে!! আর এরপর টোনি জেলের সিড়ি থেকে পরে গিয়ে মারা যায়।। - টোনির মারা যাওয়ায় তার দাদা রিজা প্রচণ্ড রেগে যায় ।। আর এরপর রিজা প্যারির কাছে সেই ঘটনা সম্পর্কে জানতে চায়! - যে কিভাবে টোনি মারা গিয়েছিল।। প্যারি প্রথমে সত্যিটা বলে না! কিন্তু পরে রিজা তাকে এই ভয় দেখায় যে যদি প্যারি তাকে সত্যিটা না বলে! -তাহলে রিজার লোকেরা তার মেয়েকে খুন করবে।। - রিজার এই কথায় প্যারি সমস্ত সত্যিটা বলে দেয়।। - আর রিজা প্যারিকে বলে - আজ রাতেই তুমি লেসাকে আমার কাছে নিয়ে আসবে। - রিজার কথায় প্যারি একটু চিন্তিত হয়ে পরে।। কারণ সেদিন ই তাদের পালিয়ে যাওয়ার প্ল্যান আছে। - কিন্তু প্যারি এটা জানা সত্বেও রিজার কথায় হ্যা বলে।। - প্যারি যখন নিজের সেলে ফিরে আসে তখনই তার সাথে একটি মেয়ে দেখা করতে আসে। - সেই মেয়েটি প্যারিকে খবর দেয় যে - প্যারির মেয়ে এখন আর এই দুনিয়ায় নেই.. প্যারির মেয়ে মারা গেছে।। - প্যারি যখন এই খবরটা শোনে তখম সে পুরোপুরি ভেঙে পরে। - আর এরপর সে লেসির কাছে সবটা খুলে বলে। - প্যারি লেসিকে তার মেয়ের একটি ছবি দেয়। - আর প্যারি লেসিকে বলে যে এই ছবিটা তুমি ব্রডিকে দিয়ে দিও। - আর তোমরা এখান থেকে পালিয়ে যায়।। - প্যারি তাদের সাথে যেতে চায়না কারণ সে তার মেয়ের সাথে দেখা করতেই এই পালিয়ে যাওয়ার প্ল্যান বানিয়েছিল।। কিন্তু যখন তার মেয়েই বেচে নেই! তখন তার পালিয়ে গেলেই বা কি হবে।।। প্যারির কথায় লেসি তার মেয়ের ফটোটা নিয়ে ব্রডি, বাটিস্টা ও ল্যানির কাছে চলে আসে। ব্রডি লেসিকে প্যারির কথা জিগ্গেস করে, আর লেসি তাকে প্যারির মেয়ের ছবিটা দেখায়।। ব্রডি প্যারির মেয়ের ছবি দেখে বুঝে যায় যে প্যারির মেয়ে মারা গেছে।। তাই সে আর তাদের সাথে আসবে না।।। আর এরপর এরা চারজন এ এখান থেকে বেরিয়ে যায়।। এখানে এই মুভির একটি আলাদা দিক ফুটে ওঠে। যখন লেসির সাথে বাকি সবাই পালিয়ে যায়, তখন প্যারি এটা স্বপ্ন দেখে যে সেও তাদের সাথে পালিয়ে গেছে।। কিন্তু সে আসলে তার সেল থেকে বাইরেই যায়নি।। আর টোনির খুনের জন্য তার দাদা রিজা -লেসিকে না পেয়ে প্যারিকেই মেরে ফেলে।।। আর এভাবেই এই কাহিনির সমাপ্তি ঘটে।।
إرسال تعليق