Lion!  এটি এমন একটি হলিউড সিনেমা যেটা তৈরী করা হয়েছে এক ভারতীয় ছেলের জীবন কাহিনি নিয়ে।।। 



What is the real Story of lion movie
Wha is the real Story of lion movie



- আমাদের আজকের কাহিনিটি হল -  Lion - নামক সিনেমার। এই সিনেমার নাম Lion কেন হল তা আমি আপনাদের শেষের দিকে বলবো।
-  Lion মুভিটি একটি সত্য কাহিনীর উপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছে।
-  এই কাহিনি শারু নামের একটি ছেলে-, যে --  "মধপ্রদেশের খান্ডোয়া জেলার-,  গানেশ তালাই "- নামক গ্রামে থাকতো!- তার জীবনের একটি সত্য ও বেদনাদায়ক কাহিনী নিয়ে তৈরি হয়েছে।
-  এই কাহিনি থেকে আমরা অনেক জিনিস ই শিখতে পারি!- আমি আমারটা বুঝে নিয়েছি..
-  আপনি কি শিখতে পারলেন তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।।

---------------------   🔥🔥LION 🔥🔥-------------------
- এই গল্পের শুরু হয় শারু ও তার দাদা গুড্ডুর হাত ধরে। গল্পের শুরুতেই শারু ও তার দাদা গুড্ডু একটি ট্রেন থেকে কয়লা চুরি করে। কারণ শারুর বাড়ির অবস্থা খুবই খারাপ। তার বাবা নেই..  তার জন্য তার মা আর দাদাকে বিভিন্ন রকম কাজ করে তাদের সংসার চালাতে হয়।।
- শারু ও তার দাদা গুড্ডু কিছু পরিমাণ কয়লা চুরি করার পর, সেই কয়লা গুলো নিয়ে একটি দোকানে বিক্রি করে দেয়। আর সেই কয়লার বদলে -দোকানদার শারুর দাদার হাতে দুটো দুধের প্যাকেট ধরিয়ে দেয়।।
- যেই দোকানে শারুর দাদা কয়লা বিক্রি করে, - সেই দোকানের কর্মচারী তখন দোকানের জন্য জিলেপি ভাজতে থাকে..  সেই লোকটিকে জিলাপি ভাজতে দেখে শারু তার দাদাকে বলে যে - " ভাই আমি জিলেপি খাবো "-.
- শারুর কথা শুনে গুড্ডু তার মন রাখার জন্য এটা বলে যে একদিন না একদিন সে তাকে জিলাপি খাওয়াবেই।।।
- গুড্ডুর কথা শুনে শারু খুসি হয়ে যায়।। কারণ শারু এখন মাএ 5 বছরের একটি শিশু।। আর তার মনের সমস্ত ইচ্ছে তার দাদা গুড্ডুকে ঘিরে রয়েছে.. তাই গুড্ডুর কথা মানেই তার ইচ্ছে পূরণ হবে।।।
-
- একটা বাচ্চার মনের হাজারটা ইচ্ছে থাকে.. কিন্তু খুব কম সংখ্যক বাচ্চাদের কপালই এমন হয় যাদের সেসব ইচ্ছে পূরণ হয়।।। সবার জীবন কখনোই সমান হয়না!- যেখানে বড়োলোকের ছেলেমেয়েরা খাবার না খেয়ে ফেলে দিচ্ছে! - সেখানে লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ে দিনের পর দিন না খেয়েই দিন কাটিয়ে দিচ্ছে।।।
- আর এটাই আমাদের সমাজ! এটাই আমাদের জীবন।।
- দোকান থেকে দুধের প্যাকেট নেওয়ার পর শারু তার দাদার সাথে বাড়িতে ফিরে আসে। বাড়িতে শারুর মা জিগ্গেস করে যে - তারা দুধের প্যাকেট কিভাবে পেল?
- কিন্তু গুড্ডু আর শারু তার মাকে এসব বিষয়ে কিছুই বলেনা।।
- শারুর পরিবার বলতে শুধুমাত্র চারজন।। আর সেই চারজন হল - শারু নিজে, তার দাদা গুড্ডু, তার মা, ও শারুর ছোট বোন।
- শারুর বাবা নেই... যার জন্য তাদের সংসারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ।।
- সংসার চালানোর জন্য শারুর দাদা ও, তার মাকে বিভিন্ন কাজ করে তাদের পেট ভরতে হয়।।
- এদের কাছে না আছে টাকা! আর না আছে ভালো বাড়ি ঘর।।
- যেই রাতে শারু তার দাদার সাথে দুধ নিয়ে আসে, সেই রাতেই শারুর দাদা গুড্ডুকে আবার কাজে যেতে হতো।
- যখন গুড্ডু কাজের যাওয়ার জন্য তৈরী হতে থাকে, তখনই শারু তার দাদার কাছে আবদার শুরু করে যে - শারুও তার সাথে কাজে যাবে।
- শারুর এই কথায় গুড্ডু শারুকে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করে, কিন্তু শারু তার কথা শোনেনা।।। যার জন্য গুডডুকে বাধ্য হয়েই, শারুকেও তার সাথে কাজে নিয়ে যেতে হয়।।
- যখন শারু আর গুড্ডু রেল স্টেশনে পৌঁছায়, তখন শারু গুড্ডুর কোলেই ঘুমিয়ে পরে।
- গুড্ডু শারুকে অনেকবার জাগানোর চেষ্টা করে, কিন্তু শারু এতটাই ছোট্ট যে তার মাথা থেকে কাজের কথা বেরিয়ে যায়।। আর তার ঘুম তাকে একেবারেই জড়িয়ে ধরে! যার জন্য গুড্ডু শারুকে, রেলস্টেশনের একটি বেঞ্চের মধ্যে ঘুম পারিয়ে দেয়।
- গুড্ডু কাজে যাওয়ার আগে শারুকে বলে দেয় যে - যতক্ষণ না গুড্ডু ফিরে আসছে! - ততক্ষণ যেন শারু এই বেঞ্চের মধ্যেই তার ফিরে আসার অপেক্ষা করে।।
- শারু গুড্ডুর কথায় রাজি হয়ে যায়। আর এরপর গুড্ডু তার কাজে চলে যায়।।
- গুড্ডু কাজে চলে যাওয়ার পরেই শারু, সেই স্টেশনের বেঞ্চেই ঘুমিয়ে পরে।।
- এরপর যখন তার চোখ খোলে, তখন সে দেখে যে - পুরো স্টেশনটাই খালি।। সেখানে শারু ছাড়া আর অন্য কোনো মানুষ ই নেই।।।
- শারু এসব দেখে বেঞ্চ থেকে ওঠে দাড়ায়..আর এরপর শারু -স্টেশনে দাড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনে ওঠে পরে।।
- ট্রেনে ওঠার কিছুক্ষণ পরেই আবার শারু ঘুমিয়ে পরে।।।
- সকালে যখন শারু নিজের চোখ খোলে, তখন সে দেখে যে - শারু যেই ট্রেনে বসেছিল, সেটা এখন চলতে শুরু করেছে..  শারু এটা দেখে ভয় পেয়ে যায়। শারু বার বার চিৎকার করে তার দাদা গুড্ডুকে ডাকতে থাকে! কিন্তু কেউ তার আওয়াজ শুনতে পায়না।।
- শারু অনেকবার ট্রেনের দরজাও খোলার চেষ্টা করে! কিন্তু দরজা বন্ধ থাকায় শারু বেরোতে পারেনা।।
- আর এভাবেই শারু বেশ কয়েকদিন ট্রেনের মধ্যেই না খেয়ে আটকে থাকে।।
- আর কিছুদিন পর ট্রেনটি কলকাতায় এসে পরে।। 
- যখন ট্রেনটি হাওয়া স্টেশনে থামে, তখন শারু ট্রেন থেকে বেরিয়ে যায়।।
- আর এরপর শারু স্টেশনের টিকেট কাউন্টারে গিয়ে বলতে থাকে যে   -  "আমি বাড়ি যাবো --।
- কিন্তু এখানে সবাই বাংলায় কথা বলছিল...যার জন্য শারু এখানে কিছুই বুঝতে পারছিল না।। আর এমন কোনো ব্যক্তিও ছিল না যে শারুকে সাহায্য করবে।।
- শারু এসব দেখে খুবই হতাস হয়ে পরে। সে তার বাড়ি থেকে প্রায় 1600 কিলোমিটার দুরে রয়েছে...
- তাই তার একার পক্ষে বাড়ি ফিরে যাওয়া কখনোই সম্ভব নয়।।
- শারু কলকাতায় চলে আসার পর, দিনের পর দিন তাকে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হয়।। কখনো শারুর ভাগ্যে খাবার জুটতো.. আবার কখনো না খেয়েই তাকে দিন কাটাতে হত।।
- একদিন শারু একটি রেস্টুরেন্টের সামনে বসে থাকার সময় - একটি ছেলে শারুর এরপর অবস্থা দেখে তাকে কিছু খাবার খাওয়ায়।।
- ছেলেটি শারুর কাছে তার পরিচয় জানতে চায়..
- কিন্তু শারু এতটাই ছোট ছিল যে সে তার নাম, আর তার গ্রামের নাম ছাড়া কিছুই বলতে পারেনা।। 
- শারুর গ্রামের নাম ছিল গানেশ তাল্লাই... কিন্তু এটা এতটাই ছোট্ট গ্রাম ছিল যে কেউ শারুর গ্রামের খবর জানতো না- যে গানেশ তাল্লাই কোন রাজ্যে বা জেলার মধ্যে পরে।
- ছেলেটি শারুর এরকম অবস্থা দেখে তাকে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে আসে।
- পুলিশ স্টেশনে আসার পর, পুলিশ শারুকে নিজের বিষয়ে বলতে বলে.. কিন্তু শারু এমন কিছুই বলতে পারে না যার সাহায্য তার পরিবারকে খুজে পাওয়া যেতে পারে।।
শারুর এরকম পরিস্থিতি  দেখে পুলিশের টিম শারুকে একটি অনাথ আশ্রমে পাঠিয়ে দেয়।।
আর এখানে শারু অনেক ভালো ভাবে দিন কাটাতে থাকে।।
- প্রায় 3 মাস অনাথ আশ্রমে থাকার পর, শারুর কাছে মিসেস সুদ নামের একজন ভদ্র মহিলা আসেন।।
- তিনি শারুকে বলেন যে তারা শারুর পরিবারকে অনেক খোজার চেষ্টা করেছেন! কিন্তু শারুর পরিবারের কোনো খোজ পাওয়া যায়নি।।
- তাই এখন শারুকে এক অস্ট্রেলিয়ান পরিবার লালন পালন করার জন্য নিয়ে যেতে চান।।
- যদি শারু সেখানে যায় তাহলে শারু সেখানে খুব ভালো থাকবে।।
- সেই অস্ট্রেলিয়ান পরিবার শারুকে নিজের ছেলে হিসেবে বড়ো করবে।।।
- শারু মিসেস সুদের কথা মেনে নেয়।। আর এরপর  1987 খ্রিষ্টাব্দে শারুকে অস্ট্রেলিয়া পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
- যেই দম্পতি শারুকে অ্যাডোপ করে, তারা হলেন - মিস্টার -"জন " -ও তার স্ত্রী মিসেস - "সু" -..
- যখন প্রথমবার জন ও সু - শারুকে দেখে, তখন এরা দুজনেই খুব খুশি হয়ে যান।
- আর এরপর শারুকে তারা নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন।।
- শারুর মত একটি গরীব ছেলেকে, যে একটি বস্তিতে থাকতো! - সে অস্ট্রিয়ার মত বড়ো শহরে এসে একদম চুপচাপ হয়ে যায়।।
- কারণ শারুর কাছে এত বড়ো শহর! ও এত High Society তে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া মোটেই সহজ ছিল না।। তার জন্য তার অনেক সময় দরকার ছিল।।
- আর শারুর এই অবস্থার কথা জন ও সু ভালো করেই জানতেন।।
- তাই সু আর জন তাকে একদম সাধারণ ভাবে মানুষ করতে শুরু করেন।।
- তারা কখনোই এটা বুঝতে দেননি যে শারু তাদের নিজেদের ছেলে নয়।।
- শারু আসতে আসতে ইংরেজি ভাষাও শিখে নেয়.. আর সে জন ও সু কে তার নিজের মা বাবা বলেই মেনে নেয়।। শারু তার নিজের আসল পরিবার কথা ভুলেই যায়।।
- আর এভাবে শারু অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ধীরে ধীরে বড়ো হয়ে উঠতে শুরু করে।। আর এভাবেই আসতে আসতে 20 বছর সময় পেরিয়ে যায়।।
- 20 বছর পরে শারু তার হোটেল ম্যানেজমেন্টের পড়াশোনা করতে শুরু করে
- আর এখন শারুকে নিয়ে জন ও সু এর তার ওপর গর্ব হয়। শারুও নিজেকে জন ও সু এর ছেলে বলেই মেনে নেয়।।
- যখন শারু তার হোটেল ম্যানেজমেন্টের পড়াশোনার সময় একটি পার্টিতে যায়, তখন সেখানে আরও বেশ কয়েকজন ইন্ডিয়ান ছেলেমেয়েরাও থাকে।
- আর এতজন ইন্ডিয়ান ছেলেমেয়ে থাকার জন্য সেখানে অনেক ইন্ডিয়ান খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
- যখন শারু সবার ডিনার করতে বসে,তখন সেখানে জিলাপি রাখা ছিল..আর শারু সেই জিলেপি দেখতে পেয়ে তার অতীতের কথা মনে পরে যায়..
- যখন সে তার দাদাকে জিলেপি খাওয়ানোর কথা বলেছিল।।
- আর এসর মনে পরার পর শারু একটু ইমোশনাল হয়ে পরে।।
- অস্ট্রেলিয়ায় শারুর যতজন বন্ধ ছিল, তারা কেউ শারুর অতীত সম্পর্কে জানতো না...
- আর তাই শারু সবাইকে নিজের অতীত সম্পর্কে বলতে শুরু করে।।
- সারু সবাইকে বলে যে - তার জন্ম এখানে হয়নি।। আর সে কলকাতা থেকে এসেছিল।। তাকে তার মা বাবা - " সু ও জন " ছোট থেকে বড়ো করেছে।।
- কিন্তু এখনো শারু তার পরিবারের সম্পর্কে কিছুই জানতে পারেনি!! শারু এখনো তার বায়োলজিক্যাল মাকে খুজে পেতে চায়।।
- কিন্তু সে এখনো তার মাকে খুজে পায়নি।।
- শারুর কথা শুনে তার বন্ধুরা তাকে বিভিন্ন ভাবে তার জন্মস্থান খুজতে বলে।
- একটি মেয়ে শারুকে গুগল ম্যাপ সম্পর্কে বলে, যার সাহায্য যেকোনো জায়গাকে খুজে পাওয়া সম্ভব।।
- মেয়েটির কথা শুনে শারু তার জন্মস্থানের গ্রাম টি খুজতে শুরু করে... কিন্তু অনেক বার খোজার পরেও সে তার গ্রাম খুজে পায়না।।
- আর এজন্য শারু ও তার প্রেমিকা লুসির মধ্যেও দুরত্ব বাড়তে শুরু করে।
- শারু নিজের গ্রাম খোজার কাজে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পরে, সে লুসির সাথেও সম্পর্ক ভেঙ্গে ফেলে।।
- আর এভাবে সম্পর্ক ভেঙ্গে ফেলার পর আরও কয়েকমাস কেটে যায়।।
- কিন্তু শারু নিজের গ্রাম খুজে পায়না।।
- এভাবে কিছু সময় যাওয়ার পর শারুর সাথে আবার লুসির দেখা হয়।। আর এরা দুজন আবার তাদের সম্পর্কে ফিরে আসে।। কারণ এদের দুজনের মধ্যে কেউই কাউকে ভুলতে পারছিল না।। আর দুজনেই দুজনকে ভালোবাসে।।
- লুসির সাথে সম্পর্ক ঠিক হওয়ার পর, শারু আবার গুগল ম্যাপে তার গ্রামকে খুজতে শুরু করে।।
- শারুর শুধুমাত্র এটাই মনে ছিল যে, শারু যে গ্রামে থাকতো! - তার নাম ছিল - গানেশ তাল্লাই! আর এই নাম দিয়েই সে বার বার গুগল ম্যাপে তার গ্রামকে খুজতে থাকে।
- আর এভাবে বহুবার খোজার পর, শারু একদিন সেই জায়গাটা খুজে পায়, - যেখানে তার মা পাথর ভাঙার কাজ করতেন।।
- আর এরপর সেই জায়গাটা জুম করে দেখার পর তার পাশেই গানেশ তালাই বলে একটা গ্রাম দেখতে পাওয়া যায়।।
- আর তার এই গ্রামটা মধ্যপ্রদেশের মধ্যেই পরে।।
- শারু দীর্ঘদিন তার গ্রাম খোজার পরে, সে তার গ্রাম খুজে পায়।।
- আর সে ঠিক করে যে - শারু তার গ্রামর ফিরে আসবে।
- আর এই গ্রামটা দেখে শারু বুঝতে পারে যে এটাই তার গ্রাম! যেখানে সে জন্মগ্রহণ করেছিল।।
- শারু তার গ্রাম খুজে পাওয়ার পর, এটা লুসি, ও শারুর পালিত পরিবারকেও জানায়।।
- আর এর কদিন পরেই শারু ইন্ডিয়া চলে আসে।
- ইন্ডিয়ায় আসার পর শারু তার গানেশ তালাই গ্রামে ফিরে আসে।।
- শারু আজ থেকে প্রায় 20 বছর আগে যেই গ্রাম থেকে দুরে চলে গিয়েছিল, সেখানে আজ 20 বছর পর সে ফিরে আসে।।
- 20 বছর পর সেই সব কিছুই পাল্টে গিয়েছিল!- যা শারু ছোট্টবেলায় দেখেছিল।।
- শারু তার গ্রামে ফেরার পর তাদের বাড়ি খুজতে থাকে, যেখানে সে ছোটবেলায় থাকতো।
- কিন্তু যখন শারু তার বাড়ি খুজে পায়, তখন শারু দেখে যে সেখানে এখন কেউই থাকে না।। শারুর ছোট্টবেলার বাড়ি এখন পুরোপুরি ফাকা।।
- শারু তার বাড়ির এই অবস্থা দেখে একজন মহিলাকে জিগ্গেস করে যে - এখানে যেই পরিবার থাকতো তারা এখন কোথায়?
- কিন্তু সেই মহিলা শারুর কোনো কথাই বুঝতে পারেনা! কারণ শারু এখন নিজই হিন্দি বলতে পারেনা।। আর নাতো সে হিন্দি বুঝতে পারে।।
- কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই একজন লোক আসেন যে শারুর কথা বুঝতে পারে.. আর সেই লোকটি শারুকে ডেকে একটি জায়গায় নিয়ে আসেন।।
- আর তখন সেখানে একজন বয়স্ক মহিলাকে আসতে দেখা যায়।।
- আর শারু তা দেখে বুঝে যায়! - যে সেই মহিলাই তার জন্মদাতা মা!!
- আর এভাবেই 20 বছর পর শারু তার আসল পরিবারের কাছে ফিরে আসে।।
- শারু এখানে ফিরে আসার পর জানতে পারে যে তার দাদা গুড্ডু একটি ট্রেন দুঘটনার জন্য মারা গেছে।। আর এটা সেদিন ই হয়েছিল - যেদিন শারু হারিয়ে গিয়েছিল।।
- শারু তার মায়ের কাছে থেকে জানতে পারে যে - শারুর নাম শারু নয়! তার আসল নাম শেরু।।
- যার মানে হল সিংহ।।
- আর এজন্যই এই সিনেমার নামও রাখা হয়েছে Lion..
- এই কাহিনিতে শারু কতটা কষ্ট করেছে তা সেই বলতে পারবে।। কিন্তু যদি শারুকে জন ও সু এর মত মহান মানুষ তাদের কাছে টেনে না নিতেন! - তাহলে হয়তো শারুর কষ্টটা আরও বেশি হতে পারতো।।
- মিস্টার জন ও মিসেস সু এর মত মহান মানুষদের জন্যই শারুর মত বাচ্চারা এক নতুন জীবন খুজে পায়।।
- মিস্টার জন ও মিসেস সু নিজের সন্তান নিতে পারতেন।।
- কিন্তু তারা নিজেদের সন্তান নেননি!
- তারা এটা ঠিক করেছিলেন যে - তারা দুজন এমন দুজন বাচ্চাকে বড়ো করবেন! যারা ভালো পরিবারের সুখ পায়নি..আর তাদের এই ভাবনার জন্যেই তারা শারুকে নিজেদের কাছে টেনে নিয়েছিলেন।।
আর এখানেই আমি এই গল্পের শেষ করছি।।।।

Post a Comment

أحدث أقدم