Million Dollar Arm
- আজকের গল্পটি হল "Million Dollar Arm " নামক সিনেমার কাহিনি। এটি একটি সত্য ঘটনা উপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছিল।, যা Ringku, Dinesh নামের দুজন ভারতীয় যুবক, ও j.b. Barnstein নামের এক বিদেশীর কাহিনীকে ঘিরে তৈরী হয়েছিল।
- এই গল্পের প্রথম সূত্রপাত হয় j.b এর অফিসে। j.b তার বন্ধু অ্যাস বাসুদেবন এর সাথে একটি অফিস খোলে, যেখানে তারা দুজন স্পোর্ট এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।
- এদের কাজ হল ভালো ভালো প্লেয়ারকে অন্য টিমের সাথে যোগ করানো, বা কন্ট্রাক্ট সাইট করানো। যদি তারা এমন কোনো প্লেয়ারকে অন্য কোনো দলের হয়ে খেলাতে পারে, তাহলে সেই দলের থেকে কিছুটা কমিশন পায়। আর এভাবেই এদের ব্যবসা চলে। তাই এদেরকে সবসময় ভালো প্লেয়ারদের খোজ করতে হয়। কারণ এছাড়া এদের অফিসের কোনো ভ্যালু নেই...
- তাই j.b যেকোনো ভাবে নতুন কোনো প্লেয়ার চায়।
- এর জন্য সে যা কিছু করতে পারে।
- একদিন রাতে j.b ও বাসুদেবন তার বাড়িতে ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে থাকে। j.b বাসুদেবনকে বলে যে সে কোনোদিন ই ক্রিকেট বুঝতে পারে না! এটা সেরকম কোনো গেম ই নয়! যা মানুষ পছন্দ করে।
- কিন্তু বাসুদেবন তাকে বলে যে ক্রিকেট হল এমন একটি গেম যেটা ইন্ডিয়াতে প্রত্যেক বাচ্চারা খেলে।
- আর এই গেমটা খুবই জনপ্রিয়।
- আসলে এরা যখন টিভিতে ম্যাচ দেখতে থাকে, তখন সেখানে ইন্ডিয়ার ম্যাচ চলতে থাকে। তাই বাসুদেবন ইন্ডিয়ার ক্রিকেট নিয়ে এসব বলে।
- যখন বাসুদেবন তার বাড়িতে চলে যায়, তখন j.b একা একা ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে থাকে।
- আর হঠাৎ করেই তার মাথায় এক বুদ্ধি আসে।
- আর এরপর j.b ও বাসুদেবন মিস্টার চ্যাং এর সাথে দেখা করে। মিস্টার চ্যাং একজন ইনভেস্টার। যিনি এশিয়ার দেশ গুলোতে বেসবল খেলায় টাকা ইনভেস্ট করতে চায়। আর j.b ও বাসুদেবন সেকারনেই তার কাছে এসেছে।
- - j.b মিস্টার চ্যাংকে ইন্ডিয়ার ক্রিকেট সম্পর্কে বলে।
-
j.b মিস্টার চ্যাংকে এটা বোঝায় যে ---
""" ইন্ডিয়াতে ক্রিকেটকে খুব পছন্দ করা হয়।
- কিন্তু সেখানে এখন বেসবলের কোনো অস্তিত্ব নেই।
- কিন্তু আমরা যদি ইন্ডিয়াতে গিয়ে সেখান থেকে বেসবলের পিয়র ট্যালেন্টকে খুজে বের করি, আর এরপর সেই ট্যালেন্টকে আমরা কোনো ইন্টারন্যাশনাল টিমের হয়ে খেলাতে পারি, তাহলে ইন্ডিয়াতে বেসবলের এক নতুন ভবিষ্যত জন্ম নেবে!
- আর বেসবলের ভবিষ্যৎ মানেই সেখানে নতুন ব্যবসার ভবিষ্যত!! """
- মিস্টার চ্যাং তাদের বলে যে ক্রিকেট আর বেসবলের মধ্যে আকাশ- পাতালের পার্থক্য। তারা কিভাবে বেসবলের প্লেয়ার বের করবে?
- বাসুদেবন মিস্টার চ্যাংকে বলে যে --
- " বেসবলে যেমন পিচার থাকে, ক্রিকেটে তেমন বলার থাকে। একজন বলারকে প্র্যাকটিসের মাধ্যমে পিচার বানানো সম্ভব। কিন্তু এর জন্য তাদের অন্তত 2 বছরের টাইম দরকার ""
- মিস্টার চ্যাং বাসুদেবনকে জিগ্গেস করে যে তারা কি এটা 1 বছরের মধ্যে করতে পারবে?
- j.b মিস্টার চ্যাং এর কথায় রাজি হয়ে যায়।
- আর এরা দুজন এক নতুন অধ্যায় রচনার ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যেতে শুরু করে।
- এরপর j.b এমন একজনের সাথে দেখা করে, যে তাদের পিচার কোচ হিসেবে কাজ করবে। এই ব্যক্তির নাম টম হাউস। যিনি অনেক বছর ধরে পিচার কোচ হিসেবে কাজ করছেন। j.b এর কথায় টম তার খুজে আনা ছেলেদের কোচ হিসেবে কাজ করতে রাজি হয়ে যায়।
- আর এরপর j.b সিদ্ধান্ত নেয় - যে সে এখন ইন্ডিয়াতে আসবে।
- আর কদিন বাদে J.b তাই করে। সে প্রথমে একাই ইন্ডিয়াতে চলে আসে। j.b ইন্ডিয়াতে একজনের সাথে আলাপ করে যার নাম বিবেক। বিবেক j.b এর সাথে তার কাজে সাহায্য করবে।
- এখানে আসার পর j.b এর সাথে একজন ছেলের আলাপ হয় যার নাম অমিত রোহান। অমিত রোহান খুব ভালো ইংরেজি বলতে পারে। রোহান j.b কে বলে যে সে তার সাথে কাজ করতে চায়! সে এর জন্য এক টাকাও নেবেনা!
- রোহান শুধুমাত্র তার এই " 1 Million dollar amr" Competition এ থাকতে চায়।
- j.b রোহানকে তার সাথে কাজে নিয়ে নেয়। কারণ রোহান তার ইংরেজি কথা,- হিন্দিতে ট্রান্সলেট করতে পারবে।
- কারণ সবাই এখান ইংরেজি জানেনা..তাই j.b এর রোহানের দরকার হবে।
- j.b এখন এই প্রতিযোগিতার নামে রাখে " 1 million dollar arm ". যে এই প্রতিযোগিতায় প্রথম হবে - তাকে 1 Million Dollar দেওয়া হবে। আর যে এই প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হবে! তাকে 10 হাজার ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে।
- এরপর j.b রোহান ও অমিত মিলে ইন্ডিয়ার বিভিন্ন জায়গায় প্রতিযোগিতা শুরু করে।
- কিন্তু প্রথম প্রথম এমন কাউকেই পাওয়া যায়না - যে প্রতি ঘন্টায় 80 মাইল বেগে বল ছুড়তে পারে।
- যদি কোনো প্লেয়ার প্রতি ঘন্টায় 80 মাইল বেগে বল না ছুড়তে পারে! - তাহলে সে কোনোভাবেই বেসবলের পিচার হতে পারবে না!!
- তাই j.b কে বার বার হতাশ হতে হয় ।
- কারণ এখনো পযর্ন্ত তেমন কাউকেই খুজে পাওয়া যায়নি।
- কিন্তু এর কিছুদিন পর যখন j.b লখনউ শহরে প্রতিযোগিতা রাখে, তখন এখানে একটি ছেলে আসে যার নাম দিনেশ। দিনেশ খুবই গরীব ঘরের ছেলে। সে তার বাবার সাথে ট্রাক চালায়। আর দিনেশ আগে হকি খেলতো!, তাই সে এখানে তার সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে। দিনেশ এই প্রতিযোগিতা 1 million dollar নিয়ে যেতে চায়। কারণ সে এই টাকা দিয়ে তার বাবাকে নতুন ট্রাক কিনে দিতে চায় ।
- যখন দিনেশ এখানে তার প্রথম বল ছোড়ে - তখন সেটার গতিবেগ ছিল ঘন্টায় 83 মাইল!
- আর j.b এটা দেখে অবাক হয়ে যায়! আর এরপর j.b এর মধ্যে এক নতুন আশা জেগে ওঠে।
- দিনেশের ছোড়া এই বল থেকে দিনেশকে প্রথম সিলেক্ট করে নেওয়া হয়।
- কিন্তু j.b এখনো আরও একজন ছেলেকে চায়, যে এই রকম বল ছুড়তে পারবে।
- এখানে আরও একজন ছেলে আসে যার নাম রিঙ্কু।
- রিঙ্কুও আগে জ্যাভলিয়ান প্লেয়ার ছিল। সেও ক্রিকেট খেলতো না।
- যখন রিঙ্কুকে বল ছোড়ার সুযোগ দেওয়া হয়, তখন সে যেই বলটা ছোড়ে- তার গতিবেগও ঘন্টায় 80 মাইলের ওপরে হয়।
- আর এরপর j.b দিনেশ ও রিঙ্কুকে সিলেক্ট করে নেয়।
- আর এরপর এদের ফাইনাল রাউন্ড মুম্বাইতে অনুষ্ঠিত হয়।
- এখানে প্রতিযোগিতায় যে বিজয়ী হবে!- সেই 1 Million Dollar পাবে । আর যে দ্বিতীয় হবে, তার জন্য 10 হাজার ডলারের পুরস্কার রাখা হয়।
- এখানে দিনেশ ও রিঙ্কুর সাথে আরও অনেক ছেলেই Competition এ সিলেক্ট হয়। কিন্তু j.b সেই দুজন কেই আমেরিকা নিয়ে যাবে, যারা প্রথম ও দ্বিতীয় হবে।
- এখানে ফাইনাল রাউন্ড এর পর দিনেশ সেকেন্ড প্রাইজের 10 হাজার ডলার যেতে। আর রিঙ্কু প্রথম হয়ে তার 1 মিলিয়ন ডলার যিতে বাড়ি ফেরে।
- দিনেশ তার 10 হাজার ডলার থেকে, তার বাবার জন্য একটা ছোট্ট ট্রাক কেনে। আর তার বাবা তাকে জড়িয়ে ধরে বলেন " আমার বিশ্বাস যে তুমি একদিন আমাদের দেশের নাম উজ্জল করবে "!
-
- এরপর j.b দিনেশ, রিঙ্কু ও তার সাথে অমিতকেও সাথে নিয়ে U.S.A চলে আসে।
- j.b অমিতকে এজন্যই আমেরিকা নিয়ে আসে, কারণ দিনেশ ও রিঙ্কু ইংলিশ বুঝতে পারে না! তাই যদি তাদের সাথে অমিত থাকে, তাহলে সে j.b এর হয়ে ট্রান্সলেটার হয়ে কাজ করতে পারবে।
- দিনেশ, রিঙ্কু ও অমিত এই প্রথমবারের জন্য বিদেশে আসে। এরা শহরের কায়দা-কানুন কিছুই জানেনা।
- কিন্তু j.b এদের নিজের বাড়িতে রেখে আসতে আসতে কিছু শেখাতে শুরু করে।
- এখানে আসার কদিন পরেই এদের প্র্যাকটিস শুরু করা হয়। এদের কোচ হিসেবে " টম হাউস " এদেরকে গাইড করতে শুরু করে।
- এরা অনেকদিন প্র্যাকটিস করার পরেও এদের গেম সেরকম কোনো উন্নতি করতে পারেনা।
- কারণ এখানে এদের মেন্টাল সাপোর্টের দরকার ছিল। কিন্তু প্রথমদিকে j.b সেটা এদের দিতে পারছিল না।
- আর এদিকে সেই সময়টাও চলে আসে যখন এদের বেসবলের ট্র্যায়াল দিতে হয়।
- আর কদিন পরেই সেই সময়টাও চলে আসে - যখন মিস্টার চ্যাং এর 1 বছর সময় পূর্ণ হয়।
- যেদিন দিনেশ ও রিঙ্কুর ফাইনাল পরিক্ষার সময় আসে, সেদিন একটি মাঠে হাজারো মানুষ তাদের দেখতে আসে। কিন্তু দিনেশ ও রিঙ্কুর জন্য এটা একটা অসুবিধার সৃষ্টি করে। এরা দুজনে এত মানুষের ভিড় দেখে Nervous হয়ে পরে।
- আর যখন এদের ট্র্যায়াল নেওয়া হয় -তখন এদের পারফরম্যান্স একদম ই খারাপ হয়।
- j.b এদের এরকম খারাপ পারফরম্যান্স দেখে খুবই হতাশ হয়ে পরে।
- কিন্তু মিস্টার চ্যাং তবুও j.b এর সাথে আরও তিনবছরের কন্ট্রাক্ট বাড়িয়ে দেয়।
- কিন্তু দিনেশ ও রিঙ্কুর খেলা এখানেই শেষ করতে বলে। তাদের বদলে আরও নতুন ছেলেদের এনে, তাদের ট্রেনিং দেওয়ার কথা বলে।
- কিন্তু j.b এদের দুজনকে আরও একটা সুযোগ দেয়। সে এবার দিনেশ ও রিঙ্কুকে আরও কিছু সময় দেয়।
- আর এবার রিঙ্কু ও দিনেশও খুব ভালো ভাবে প্র্যাকটিস শুরু করে। আর এভাবে প্র্যাকটিস করার পর - এদের দ্বিতীয় বার ট্র্যায়াল হয়।
- আর এইবার সেই দিন আসে, যেদিন এরা দুজন ইতিহাস লিখেছিল।
- এরা সেদিন যতগুলো ডেলিভারি করেছিল, সেই সবগুলোই ছিল 90 মাইলের বেশী গতিবেগের।
- আর এদের এই পারফরম্যান্সে সবাই অবাক হয়ে যায়।
- আর বাকি সবার সাথে সাথে মিস্টার চ্যাং ও এদের প্রশংসা করে।
- আর এরাই হলেন সেই দুজন প্রথম ভারতীয়, যাদের Pittsburgh Pirates দলে দশ মাসের জন্য সাইন করা হয়েছিল।
- যা ভারতের জন্য একটা গর্ব করার মত ঘটনা।।
إرسال تعليق